![দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়েছে সরকার : গণতন্ত্র মঞ্চ](uploads/2024/02/09/1707493676.gonotanteo mkk.jpg)
সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এমন মন্তব্য করে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, এই সরকার বিদেশি শক্তির কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব জলাঞ্জলি দিয়েছে। এদের হাতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও মানুষের জীবনও নিরাপদ নয়।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদ’ এক বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমম্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জেএসডি সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল গুলিস্তান-বায়তুল মোকাররম হয়ে পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশ মঞ্চের নেতারা বলেন, বিএসএফের গুলিতে সীমান্তে বিজেপি সদস্যসহ বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় সরকারের নীরবতা যেমন চলছে; ঠিক তেমনি মায়ানমারে উদ্ভূত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে সীমান্তে বোমার আঘাতে বাংলাদেশের দুজন সাধারণ মানুষের নিহত ঘটনার পরও সরকার নীরব। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে এই সরকার কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে পারেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গ টেনে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, ‘বিদেশি আনুকূল্যে তথাকথিত নির্বাচনের পর মন্ত্রী গিয়েছেন। কিন্তু সীমান্ত সমস্যা, পানি সমস্যাসহ সীমান্তে হত্যা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারেননি।’
সমাবেশে তারা আরও বলেন, ‘সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, তারাই সিন্ডিকেটের মূল পাহারাদার ও মূলহোতা। এই সরকার বিগত ১৫ বছরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারেনি। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনো সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের জীবনে নাভিশ্বাস ওঠা ছাড়া আর কোনো পরিণতি নেই।’