দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে দলের কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান নূরুন নাহার বেগমকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি বোর্ড সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য দু'জনকে মনোনয়ন প্রদান করেছে।
দেশের বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য হচ্ছেন। এর আগে ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে তিনি ঢাকা-১ আসন থেকে সরাসরি নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবার তিনি মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী সালমান এফ রহমানের জন্য আসনটিতে ছাড় পাননি তিনি। পরে জাপার মনোনয়ন নিয়ে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হন। ওই সংসদে সংরক্ষিত কোটায় জাপার আরও তিন নারী এমপি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। সালমা ইসলাম জাতীয় নারী পার্টির সভাপতি ও ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।
অন্যদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নূরুন নাহার বেগম এখন শুধু কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ১১টি আসনে জয় পান জাপা প্রার্থীরা। নিয়মানুযায়ী তারা দু'জন নারীকে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি পদে মনোনয়ন দিতে পেরেছেন। সালমা ইসলাম মনোনয়ন পাবেন, এমন প্রচার ছিল। তবে নূরুন নাহার বেগমের মনোনয়ন চমক হয়ে এসেছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরের নামটি বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হয়েছিল দলে।
গত একাদশ জাতীয় সংসদের এমপি অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার পদে আসীন হন শেরীফা কাদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ঢাকা-১৮ আসনটি তার জন্য ছেড়ে দেয়। কিন্তু দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে শেরীফা কাদের বিপুল ভোটে হেরে জামানত খোয়ান। এ নিয়ে জাপায় নানা বিতর্ক তৈরি হয়। পরে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অনেকে শেরীফা কাদেরের পুনরায় মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে আপত্তি জানান বলে দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানিয়েছেন।
সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে জি এম কাদের দলের তৃণমূলের নেত্রীকে মনোনয়ন দিলেন। জাপা নেতারা বলছেন, এ মনোনয়নের মাধ্যমে জি এম কাদের প্রমাণ করলেন যে তিনি তৃণমূলকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন।
এমএ/