![সরকার অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে : মান্না](uploads/2024/02/16/1708095320.mannak.jpg)
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এই সরকার এবং সরকারি দল অন্যায়ের সব সীমা অতিক্রম করেছে। আমরা যুগপৎ আন্দোলনে আছি। আরও জনগণকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পল্টন মোড়ে ‘ব্যাংক লোপাট ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে’ গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ মিছিল-পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা হাসনাত কাইয়ূম, শহিদুল্লাহ কায়সার, কামাল উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মান্না বলেন, ‘সরকার যতই গলাবাজি করুক না কেন, এতে কোনো লাভ হবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কারাবন্দি জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন, আন্দোলন জোরদার হবে, সরকারের পতন হবে। ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে, জনগণের সরকার আসবে।’ তিনি চলমান আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
নাগরিক ঐক্যর সভাপতি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংক সারা বিশ্বে পরিচিত একটি ব্যাংক। দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিলে তিলে এই ব্যাংকটি গড়ে তুলেছেন। কিন্তু ড. ইউনূসকে তার গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সরকারপন্থি গুণ্ডাদের শকুনের থাবা পড়েছে। আগেই গ্রামীণ ব্যাংক দখল করেছে, এখন বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করে সেগুলোও ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। এতে সারা দেশে সেবা পাওয়া এই এক কোটি দরিদ্র মানুষও অসহায় হয়ে পড়বেন।’
মান্না আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে মানুষ জর্জরিত। সরকারের সিন্ডিকেট এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের রক্ত চুষে নিচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নিজে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবেন বলেছেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।’
সফিক/এমএ/