![বিদ্যুৎ লুটের মাশুল জনগণ দেবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ](uploads/2024/02/22/1708612351.Gonotrontro_Mancho.jpg)
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জনসম্মতিহীন অবৈধ এই সরকারের লুটপাট ও কতিপয় তোষণ নীতির কারণে দেশের বিদ্যুৎ খাত এক ভয়ঙ্কর লুণ্ঠনের ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের ভুলনীতি, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তার দায় জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে বারবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। সরকারের এই লুণ্ঠন ও কতিপয় দূষণ নীতির মাশুল জনগণ দেবে না।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় এসব কথা বলেন নেতারা।
মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
নেতারা বলেন, ‘দুর্নীতি বন্ধ করে ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হলেও লুটপাট দুর্নীতির স্বার্থে সেই দিকে সরকার অগ্রসর হচ্ছে না। বরং রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট কেটে কতিপয় তোষণ নীতি অব্যাহত রেখেছে। শুধু তাই নয়, ব্যাংকসহ আর্থিকখাত গভীর সংকটে নিপতিত। বাজার নিয়ন্ত্রণের হাঁকডাক সত্ত্বেও সিন্ডিকেটের কারসাজি বেড়েই চলেছে। দ্রব্যমূল্যের বেপরোয়া ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের জীবন আরও দুর্বিষহ হচ্ছে। জনগণের পকেট হাতিয়ে নেওয়া দুর্বৃত্তদের স্বার্থ রক্ষার্থেই কাজ করছে সরকার।’
সভায় তারা অভিযোগ করেন, “আমি-ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা এই সরকার সর্বত্র ভয়-ত্রাস আর দমন পীড়ন করে মানুষের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর খামারবাড়ি এলাকায় নাগরিক ঐক্যের ‘গণতন্ত্রের পক্ষে গণস্বাক্ষর’ কর্মসূচিতে হামলা করে নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ারকে গুরুতর আহত করার ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।”
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।
সবুজ/সালমান/