![বেশি মাত্রায় দুর্নীতি করতেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে: ১২ দলীয় জোট](uploads/2024/03/03/1709462182.12-Dol.jpg)
আওয়ামী লীগ সরকার আরও বেশি মাত্রায় দুর্নীতি করতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
তারা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের পকেট কেটে সরকারি দলের লোকজন বিত্তবৈভবের মালিক হচ্ছেন। তাদের লুটেরা সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য লাগামহীন বাড়ছে। আর মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।’
বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের দাম না কমালে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
রবিবার (৩ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পলওয়েল মার্কেট, পল্টন চায়না টাউন শপিং সেন্টার, জোনাকি সুপার মার্কেট, স্কাউট মার্কেটসহ আশাপাশের এলাকায় ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন ও আগ্রাসন প্রতিরোধে রুখে দাঁড়ান’ শীর্ষক লিফলেট বিতরণের সময় জোটের শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
জোটের শীর্ষ নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে গণতন্ত্রবিহীন সরকার ব্যবস্থা কায়েম করেছে। আমরা রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা কারও হাতে তুলে দিতে পারি না। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমরা সবাই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো ইনশাআল্লাহ।’
জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘প্রতিবেশি দেশ ভারত বাংলাদেশকে করদ রাজ্যে পরিণত করেছে। সিকিম বানানোর চক্রান্ত চলছে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাখির মতো গুলি চালিয়ে হত্যা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দিয়েছে। তারা কখনও বাংলাদেশকে সিকিম হতে দেবে না। জনগণ সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে আগ্রাসন প্রতিরোধ করব ইনশাআল্লাহ। আমাদের আন্দোলন চলছে এবং অব্যাহত থাকবে।’
জোট নেতারা বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে আওয়ামী লীগ আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে অবিলম্বে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’
পাশাপাশি বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের বর্ধিতমূল্য প্রত্যাহার এবং প্রতিবেশি দেশের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান ১২ দলের নেতারা।
লিফলেটে বলা হয়েছে- ‘আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে ভোট চুরির মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করে আসছে। তারা লুটপাট করতেই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে। এই সিন্ডিকেট সরকারকে না বলুন।’
একইসঙ্গে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে প্রতিবেশি দেশের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানানো হয়।
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিতি ছিলেন- জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম মেম্বার নোয়াব আলী আব্বাস খান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জামিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলামসহ জোট নেতারা।
শফিকুল ইসলাম/অমিয়/