ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বিএনপি নির্বাচনে না আসার চক্রান্ত হয়েছিল ২৮ অক্টোবর: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
বিএনপি নির্বাচনে না আসার চক্রান্ত হয়েছিল ২৮ অক্টোবর: মির্জা আব্বাস
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে ২৮ অক্টোবর সেই চক্রান্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

এ দিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর যেটা হয়েছে সেটা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা। এমন নারকীয় ঘটনা ’৭১ সালে পাক বাহিনীরাও ঘটায়নি বাংলাদেশে। ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই প্রথম থেকে একটা চক্রান্ত হচ্ছে একটা নকশা করে, একটা ডিজাইন করে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকেই বেছে বেছে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করা হয়।’

শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

বিদ্যুৎ, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। পরে মির্জা আব্বাসসহ দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা পথচারী ও দোকানদারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।

জেলখানার অবস্থা তুলে ধরে মির্জ্জা আব্বাস বলেন, ‘১৫ বছরে বার বার জেলখানায় গিয়েছি। এবারে করুন অবস্থা আমি বর্ণনা করতে পারব না। এতো করুণ অবস্থায় আমাদের নেতাকর্মীদের রাখা হয়েছিল। এবার নিপীড়ন অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে যেটা সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটবেই।’ 

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার এবং বাকস্বাধীনতার আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি, সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আজকে না হয় কালকে, এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে। এদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ 

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে। আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই শুধুমাত্র আর কিছুই না। আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, আমাদের এই অহিংস আন্দোলন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন, বাকস্বাধীনতার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন সারা বাংলাদেশে চলবে।

মনোবল ঠিক রাখা ও নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে নেতাকর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। অনেক সহ্য করেছেন, আরো সহ্য করতে হবে। কতদিন? সেটা বলা সম্ভব না।’

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদল যুগে যুগে লড়াই করে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে। ছাত্রদল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, লড়াই করে যাবে। ইনশাআল্লাহ।

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদল বদ্ধপরিকর। আগামী আন্দোলনে ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পাশে থাকবে। ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল নেতা মুঞ্জুরুল আলম রিয়াদ, জকির উদ্দিন আবির, মামুন দেওয়ান, সাফি আহমেদ, শাহজাহান শাওন, রঞ্জুসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরে লিফলেট বিতরণ করেছেন নেতাকর্মীরা। 

সকালে বেইলি রোডে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির রফিকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুমন, আকরামুল হাসান, যুব দলের জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাহিদুল কবির প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতি/অমিয়/ 

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। মূলত তরুণদের কাছে দলের বার্তা, দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।’

বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মিডিয়া সেলেরও একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘টিকটকের বেশি ভিউয়ার হচ্ছে দেশের তরুণ ও টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি।’ 

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/