![বিএনপি নির্বাচনে না আসার চক্রান্ত হয়েছিল ২৮ অক্টোবর: মির্জা আব্বাস](uploads/2024/03/09/1709975414.Abbas.jpg)
বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারে ২৮ অক্টোবর সেই চক্রান্ত হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
এ দিনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ওপর যেটা হয়েছে সেটা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা। এমন নারকীয় ঘটনা ’৭১ সালে পাক বাহিনীরাও ঘটায়নি বাংলাদেশে। ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই প্রথম থেকে একটা চক্রান্ত হচ্ছে একটা নকশা করে, একটা ডিজাইন করে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে। সেজন্য দুই বছর আগে থেকেই বেছে বেছে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করা হয়।’
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রঘোষিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। পরে মির্জা আব্বাসসহ দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা পথচারী ও দোকানদারদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।
জেলখানার অবস্থা তুলে ধরে মির্জ্জা আব্বাস বলেন, ‘১৫ বছরে বার বার জেলখানায় গিয়েছি। এবারে করুন অবস্থা আমি বর্ণনা করতে পারব না। এতো করুণ অবস্থায় আমাদের নেতাকর্মীদের রাখা হয়েছিল। এবার নিপীড়ন অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে যেটা সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটবেই।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার এবং বাকস্বাধীনতার আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি, সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আজকে না হয় কালকে, এই ফ্যাসিস্ট দখলদার সরকারের পতন ঘটবেই এই জনতার হাতে। এদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকের কর্মসূচি দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতির প্রতিবাদে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, বাড়ছে, বাড়বে। আমরা এটাই জনগণকে জানাতে চাই শুধুমাত্র আর কিছুই না। আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, আমাদের এই অহিংস আন্দোলন, গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন, বাকস্বাধীনতার আন্দোলন, ভোটের অধিকারের আন্দোলন সারা বাংলাদেশে চলবে।
মনোবল ঠিক রাখা ও নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে নেতাকর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকারকে পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। অনেক সহ্য করেছেন, আরো সহ্য করতে হবে। কতদিন? সেটা বলা সম্ভব না।’
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ছাত্রদল যুগে যুগে লড়াই করে যাচ্ছে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করতে। ছাত্রদল গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, লড়াই করে যাবে। ইনশাআল্লাহ।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদল বদ্ধপরিকর। আগামী আন্দোলনে ছাত্রদলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে পাশে থাকবে। ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদল নেতা মুঞ্জুরুল আলম রিয়াদ, জকির উদ্দিন আবির, মামুন দেওয়ান, সাফি আহমেদ, শাহজাহান শাওন, রঞ্জুসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এ ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরে লিফলেট বিতরণ করেছেন নেতাকর্মীরা।
সকালে বেইলি রোডে লিফলেট বিতরণ করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির রফিকুল ইসলাম, মাহমুদুর রহমান সুমন, আকরামুল হাসান, যুব দলের জাকির হোসেন সিদ্দিকী, স্বেচ্ছাসেবক দলের জাহিদুল কবির প্রমূখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম/ইসরাত চৈতি/অমিয়/