![চট্টগ্রাম বিএনপির ‘কন্ট্রোল’ নোয়াখালীতে](uploads/2024/03/24/1711256373.ctg.jpg)
বিএনপির একসময়ের দুর্গ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম। একসময় চট্টগ্রাম বিএনপির নীতিনির্ধারক ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। এখন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সে তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে প্রবীণ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান। রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম হলেও নেতাদের পদ-পদবি আর কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার ‘কন্ট্রোল’ মূলত নোয়াখালীর নেতাদের হাতে। বিভাগজুড়েই তাদের সিন্ডিকেটের আধিপত্য। কিন্তু তেমনভাবে নতুন নেতৃত্ব উঠে না আসায় চট্টগ্রাম বিএনপি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে বলেও দাবি একাধিক নেতা-কর্মীর। তাদের দাবি, বর্তমানে ‘মাইম্যান’ স্থান পাচ্ছে সর্বস্তরে। যদিও রাজপথের কর্মসূচিতে সাধারণ নেতা-কর্মীরাই বেশি সক্রিয়।
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি; লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান ও ফেনী জেলা বিএনপির কার্যক্রম চলছে আহ্বায়ক কমিটিতে। আর খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। প্রতিটি জেলায় নিজস্ব বলয়ের রেশ পড়েছে অঙ্গসংগঠনগুলোর ওপরও। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ভাষ্যমতে, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলা কমিটি গঠন নিয়ে রয়েছে বাণিজ্যের অভিযোগ। বিগত আন্দোলনে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ভূমিকা ছিল চোখের পড়ার মতো। বাকি জেলাগুলো ছিল সুপার-ডুপার ‘ফ্লপ’। গত বছরের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার পর থেকেই প্রায় জেলায় কার্যালয় খোলা হয় শুধু কোনো কর্মসূচি থাকলে।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যস্ত থাকায় ও নানা বাধায় এতদিন কমিটি গঠন করতে পারিনি। এ ছাড়া উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলনের জন্য জায়গা নিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।’ তার দাবি, ‘কোনো গ্রুপিং নেই, আছে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই কর্মসূচি পালন করেছে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে।’
চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি
চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি- এই তিন ইউনিট গ্রুপিং-কোন্দলে জড়িয়ে হযবরল অবস্থা। তিন মাসের জন্য করা আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে কয়েক বছর। কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকলেও কমিটি না পেয়ে আহ্বায়ক কমিটির ওপর অনেকেই নাখোশ। মহানগর বিএনপি হরতাল-অবরোধে সক্রিয় থাকলেও পিছিয়ে ছিল জেলা বিএনপি।
২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করে গঠিত হয় আহ্বায়ক কমিটি। তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কমিটি করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কখনো দায়িত্ব পান। আবার কখনো আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে এতদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বিগত আন্দোলনে সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল। মহানগরের সঙ্গে জেলা বা অঙ্গসংগঠনগুলো কর্মসূচি সমন্বয় করেনি। তাই কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিটের কমিটি গঠন করলে ফলাফল ভালো আসবে।’
পাঁচ বছরে ধরে আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক এবং মোস্তাক আহমদকে সদস্যসচিব করে দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অন্যদিকে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করে উত্তর জেলা কমিটি গঠিত হয়। এই দুই আহ্বায়ক কমিটি কোন্দল থামানোর পরীক্ষায় ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত এখন নেতা-কর্মীরা। এতদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা।
বর্তমানে চট্টগ্রামে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ভাতিজা হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল এবং দক্ষিণের সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক এনামের পৃথক বলয় রয়েছে। উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনগুলোর বেশির ভাগ ইউনিট কমিটির মেয়াদ নেই। ২০২৩ সালের আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল।
নোয়াখালী
এই জেলা বিএনপির হাই প্রোফাইল নেতাদের ঘাঁটি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন। একসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সক্রিয় থাকলেও এখন তিনি প্রয়াত। তার জায়গায় (নোয়াখালী-৫) সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবসায়ী নেতা মো. ফখরুল ইসলাম। অন্য প্রতিটি আসনে তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে ‘অ্যান্টি’ গ্রুপ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহজাহান ও সদরের সাবেক পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদের গ্রুপিং বেশি। আজাদের অনুসারীরা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছেন। সদর উপজেলা ছাড়া বাকিরা আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে পারেননি। দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের বিভক্তি দৃশ্যমান।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, আন্দোলনে জেলা ও উপজেলায় সক্রিয় ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যার প্রমাণ ২৮ অক্টোবরের পর প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং ৫০০-এর বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে সবাই জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
জানা গেছে, ২০১৭ সালে ২৪ এপ্রিল এ জেড এম গোলাম হায়দারকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানকে সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। জেলার ৯ উপজেলা ও ৮ পৌরসভার বেশির ভাগ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। কয়েক বছর ধরে নেই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটির মেয়াদ।
ফেনী
খালেদা জিয়ার বাড়ি হওয়ায় একসময় ফেনী ছিল বিএনপির ঘাঁটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় ক্রমেই শক্তি কমছে। বিগত আন্দোলন ফেনী পৌর ও সোনাগাজী উপজেলার রাজপথের আন্দোলন ছিল চোখে পড়ার মতো। বাকি উপজেলাগুলোর পারফরম্যান্স ছিল হতাশজনক। অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি মাঠে।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে ২ অক্টোবর শেখ ফরিদ বাহারকে আহ্বায়ক ও আলাল উদ্দিন আলালকে সদস্যসচিব করা হয়। ৫ বছরে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। দীর্ঘদিন জেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের কমিটি না পেয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে বাড়ছে বিভক্তি।
আলাল উদ্দিল আলাল বলেন, থানা, পৌর ও উপজেলার সম্মেলনের জন্য কোনো জায়গা বুকিং দিলে পুলিশ এসে তা দখল করছে। তার দাবি, হরতাল-অবরোধে শহর ও হাইওয়েতে লড়াই করেছি।
লক্ষীপুর
এক দশক ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কমিটি গঠনের উদ্যোগ বারবার নিলেও ভেস্তে যায়। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আহ্বায়ক ও সাহাব উদ্দিন সাবুকে সদস্যসচিব করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। তবে ৩ মাস মেয়াদের আহ্বায়ক কমিটি আড়াই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। বরং কমিটি গঠন নিয়ে এ্যানি-সাবুর মধ্যে বিরোধ রয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল আগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর দুই বছর কমিটি ছাড়াই চলেছে দলীয় কার্যক্রম। গ্রুপিং-কোন্দলের কারণে সেই সময়েও কমিটি গঠন করতে পারেনি বিএনপি। বর্তমানে জেলার ৫ উপজেলা, ৬ থানা ও ৪ পৌরসভাসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। ২০১৮-১৯ সালের কমিটি দিয়ে চলছে অঙ্গসংগঠনগুলো। আগে রাজপথে সক্রিয় থাকলেও গত বছর ১৮ জুলাই চোরাগুপ্তা হামলায় কৃষক দল কর্মী শিমুল নিহত হওয়ার পর থেকেই দাঁড়াতে পারছে না। এই ঘটনায় মামলায় আসামিও করা হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের।
এ বিষয়ে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সাবুকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
বান্দরবান
বর্তমানে বোমাং রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে। ১৯৯১ সালের নির্বাচন থেকেই জেলা বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য সাচিংপ্রু জেরী ও বর্তমান সভাপতি মাম্যাচিং মারমা মধ্যে বিরোধ চলছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি, প্রার্থী দেওয়া এবং কর্মসূচিও পালনের ঘটনা ঘটছে।
মাম্যাচিং মারমা বলেন, কার সঙ্গে গ্রুপিং করব? যারা খালেদা জিয়াকে মানে না, নামেমাত্র লোকজন নিয়ে কর্মসূচি পালন করে তাদের সঙ্গে? আমরা চাই, দ্রুত জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হোক।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের মার্চে মাম্যাচিং মারমাকে সভাপতি ও জাবেদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যর বান্দরবান জেলার আংশিক কমিটি গঠিত হয়। এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দিলেও ৭ বছরে হয়নি। ইতোমধ্যে কমিটির দুজন ভাইস চেয়ারম্যান বহিষ্কার হয়েছেন। দুজন মারা গেছেন ও একজন গুরুতর অসুস্থ। সাত উপজেলার কমিটির মেয়াদ থাকলেও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে।
সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা বলেন, আন্দোলনে নেতা-কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। মামলার আসামি থেকে শীর্ষ নেতা থেকে কর্মী কেউই বাদ যাননি।
খাগড়াছড়ি
বিএনপির নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থানবিষয়ক সহসম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে রাজপথে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নেতা-কর্মীরা। তার নেতৃত্বেই বিএনপি এখনো বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে। দুই দশক ধরে খাগড়াছড়ি জেলার বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘বিগত আন্দোলনের হরতাল-অবরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছি। জেলার অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। যদি সারা দেশে একইভাবে আন্দোলন হতো তাহলে আমরা চূড়ান্তভাবে সফল হতাম।’ তিনি বলেন, দেশের একমাত্র খাগড়াছড়িতে ২ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। ১৯টি কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল, ২০-২৫টি কেন্দ্রে চার-পাঁচটির বেশি ভোট পড়েনি।
জানা গেছে, ২০১৯ সালে ১৬ মার্চ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। ২০১৮-১৯ সালের কমিটি দিয়ে চলছে অঙ্গসংগঠনগুলো। ৯ উপজেলা কমিটির মধ্যে শুধু গুইমারা উপজেলার মেয়াদ নেই। তিন পৌর কমিটির দুইটিই মেয়াদোত্তীর্ণ।
রাঙামাটি
২০২২ সালে ৯ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন দীপন তালুকদার দীপু এবং সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন। এরপর ২০২৩ সালের ১২ মার্চ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। ১০ উপজেলা, ২ পৌর কমিটির মেয়াদ নেই। কয়েক বছর আগেই শেষ অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটি মেয়াদও। রাজপথে জোরালো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি বলে দাবি নেতাদের।
দীপন তালুকদার দীপু বলেন, আন্দোলনে নির্বাচনের আগে ও পরে নেতা-কর্মীরা রাজপথে লড়াই করেছেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলা-মামলায় জর্জরিত তারা। সম্প্রতি প্রায় ৫০টির বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ছাত্রদল, যুবদলসহ ইউনিটগুলোর কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা বলেছি।
কক্সবাজার
বিগত আন্দোলনে কক্সবাজার জেলা বিএনপির তেমন ভূমিকা চোখে পড়েনি। কার্যালয়ও ছিল তালাবদ্ধ। কমিটির বেশির ভাগ পদধারী নেতারাই ছিলেন আড়ালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলকে মাঠে দেখা গেলেও অন্যদের দেখা যায়নি। নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য মাঠে সক্রিয় ছিলেন না তারা। বড় দ্বন্দ্ব না থাকলেও তিনটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে।
২০১৯ সালে সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট শামীম আরাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। বেশির ভাগ উপজেলা, পৌর এবং অঙ্গসংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ।
শামীম আরা বলেন, বিগত আন্দোলনে নেতা-কর্মীরা মাঠে ছিলেন না, এটা ঠিক নয়। তার প্রমাণ হলো উখিয়াতে একজন কর্মী র্যাবের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। দলে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে এমন কথা বলতে পারেন।