ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রাম বিএনপির ‘কন্ট্রোল’ নোয়াখালীতে

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯ এএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:১০ এএম
চট্টগ্রাম বিএনপির ‘কন্ট্রোল’ নোয়াখালীতে

বিএনপির একসময়ের দুর্গ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম। একসময় চট্টগ্রাম বিএনপির নীতিনির্ধারক ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌধুরী) ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। এখন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সে তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে প্রবীণ নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান। রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু চট্টগ্রাম হলেও নেতাদের পদ-পদবি আর কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার ‘কন্ট্রোল’ মূলত নোয়াখালীর নেতাদের হাতে। বিভাগজুড়েই তাদের সিন্ডিকেটের আধিপত্য। কিন্তু তেমনভাবে নতুন নেতৃত্ব উঠে না আসায় চট্টগ্রাম বিএনপি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে বলেও দাবি একাধিক নেতা-কর্মীর। তাদের দাবি, বর্তমানে ‘মাইম্যান’ স্থান পাচ্ছে সর্বস্তরে। যদিও রাজপথের কর্মসূচিতে সাধারণ নেতা-কর্মীরাই বেশি সক্রিয়। 

দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি; লক্ষ্মীপুর, বান্দরবান ও ফেনী জেলা বিএনপির কার্যক্রম চলছে আহ্বায়ক কমিটিতে। আর খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলা কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। প্রতিটি জেলায় নিজস্ব বলয়ের রেশ পড়েছে অঙ্গসংগঠনগুলোর ওপরও। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের ভাষ্যমতে, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলা কমিটি গঠন নিয়ে রয়েছে বাণিজ্যের অভিযোগ। বিগত আন্দোলনে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ভূমিকা ছিল চোখের পড়ার মতো। বাকি জেলাগুলো ছিল সুপার-ডুপার ‘ফ্লপ’। গত বছরের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার পর থেকেই প্রায় জেলায় কার্যালয় খোলা হয় শুধু কোনো কর্মসূচি থাকলে। 

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, ‘দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যস্ত থাকায় ও নানা বাধায় এতদিন কমিটি গঠন করতে পারিনি। এ ছাড়া উপজেলা ও পৌর কমিটির সম্মেলনের জন্য জায়গা নিতেও বাধা দেওয়া হয়েছে।’ তার দাবি, ‘কোনো গ্রুপিং নেই, আছে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা। রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই কর্মসূচি পালন করেছে এবং প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছে।’ 

চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি 

চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি- এই তিন ইউনিট গ্রুপিং-কোন্দলে জড়িয়ে হযবরল অবস্থা। তিন মাসের জন্য করা আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে কয়েক বছর। কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকলেও কমিটি না পেয়ে আহ্বায়ক কমিটির ওপর অনেকেই নাখোশ। মহানগর বিএনপি হরতাল-অবরোধে সক্রিয় থাকলেও পিছিয়ে ছিল জেলা বিএনপি।

২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করে গঠিত হয় আহ্বায়ক কমিটি। তিন বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা। 

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কমিটি করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা কখনো দায়িত্ব পান। আবার কখনো আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে এতদিনেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘বিগত আন্দোলনে সমন্বয়হীনতার অভাব ছিল। মহানগরের সঙ্গে জেলা বা অঙ্গসংগঠনগুলো কর্মসূচি সমন্বয় করেনি। তাই কাউন্সিলের মাধ্যমে ইউনিটের কমিটি গঠন করলে ফলাফল ভালো আসবে।’

পাঁচ বছরে ধরে আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর আবু সুফিয়ানকে আহ্বায়ক এবং মোস্তাক আহমদকে সদস্যসচিব করে দক্ষিণ জেলা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। অন্যদিকে ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকারকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করে উত্তর জেলা কমিটি গঠিত হয়। এই দুই আহ্বায়ক কমিটি কোন্দল থামানোর পরীক্ষায় ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত এখন নেতা-কর্মীরা। এতদিনেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি তারা। 

বর্তমানে চট্টগ্রামে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ভাতিজা হুম্মাম কাদের চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তার ছেলে নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার, সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল এবং দক্ষিণের সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক এনামের পৃথক বলয় রয়েছে। উপজেলা ও অঙ্গসংগঠনগুলোর বেশির ভাগ ইউনিট কমিটির মেয়াদ নেই। ২০২৩ সালের আহ্বায়ক কমিটিতে চলছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল। 

নোয়াখালী

এই জেলা বিএনপির হাই প্রোফাইল নেতাদের ঘাঁটি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন। একসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সক্রিয় থাকলেও এখন তিনি প্রয়াত। তার জায়গায় (নোয়াখালী-৫) সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ব্যবসায়ী নেতা মো. ফখরুল ইসলাম। অন্য প্রতিটি আসনে তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে ‘অ্যান্টি’ গ্রুপ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহজাহান ও সদরের সাবেক পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদের গ্রুপিং বেশি। আজাদের অনুসারীরা পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছেন। সদর উপজেলা ছাড়া বাকিরা আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে পারেননি। দীর্ঘদিন কাউন্সিল না হওয়ায় নেতা-কর্মীদের বিভক্তি দৃশ্যমান। 

সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, আন্দোলনে জেলা ও উপজেলায় সক্রিয় ছিলেন নেতা-কর্মীরা। যার প্রমাণ ২৮ অক্টোবরের পর প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং ৫০০-এর বেশি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে সবাই জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ২৪ এপ্রিল এ জেড এম গোলাম হায়দারকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানকে সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। জেলার ৯ উপজেলা ও ৮ পৌরসভার বেশির ভাগ কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। কয়েক বছর ধরে নেই অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটির মেয়াদ। 

ফেনী

খালেদা জিয়ার বাড়ি হওয়ায় একসময় ফেনী ছিল বিএনপির ঘাঁটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় ক্রমেই শক্তি কমছে। বিগত আন্দোলন ফেনী পৌর ও সোনাগাজী উপজেলার রাজপথের আন্দোলন ছিল চোখে পড়ার মতো। বাকি উপজেলাগুলোর পারফরম্যান্স ছিল হতাশজনক। অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি মাঠে। 

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ২ অক্টোবর শেখ ফরিদ বাহারকে আহ্বায়ক ও আলাল উদ্দিন আলালকে সদস্যসচিব করা হয়। ৫ বছরে তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেননি। দীর্ঘদিন জেলা বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের কমিটি না পেয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে বাড়ছে বিভক্তি।

আলাল উদ্দিল আলাল বলেন, থানা, পৌর ও উপজেলার সম্মেলনের জন্য কোনো জায়গা বুকিং দিলে পুলিশ এসে তা দখল করছে। তার দাবি, হরতাল-অবরোধে শহর ও হাইওয়েতে লড়াই করেছি। 

লক্ষীপুর

এক দশক ধরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে কমিটি গঠনের উদ্যোগ বারবার নিলেও ভেস্তে যায়। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে আহ্বায়ক ও সাহাব উদ্দিন সাবুকে সদস্যসচিব করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। তবে ৩ মাস মেয়াদের আহ্বায়ক কমিটি আড়াই বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। বরং কমিটি গঠন নিয়ে এ্যানি-সাবুর মধ্যে বিরোধ রয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল আগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এরপর দুই বছর কমিটি ছাড়াই চলেছে দলীয় কার্যক্রম। গ্রুপিং-কোন্দলের কারণে সেই সময়েও কমিটি গঠন করতে পারেনি বিএনপি। বর্তমানে জেলার ৫ উপজেলা, ৬ থানা ও ৪ পৌরসভাসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। ২০১৮-১৯ সালের কমিটি দিয়ে চলছে অঙ্গসংগঠনগুলো। আগে রাজপথে সক্রিয় থাকলেও গত বছর ১৮ জুলাই চোরাগুপ্তা হামলায় কৃষক দল কর্মী শিমুল নিহত হওয়ার পর থেকেই দাঁড়াতে পারছে না। এই ঘটনায় মামলায় আসামিও করা হয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের।

এ বিষয়ে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও সাবুকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। 

বান্দরবান

বর্তমানে বোমাং রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে জেলা বিএনপির রাজনীতিতে। ১৯৯১ সালের নির্বাচন থেকেই জেলা বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য সাচিংপ্রু জেরী ও বর্তমান সভাপতি মাম্যাচিং মারমা মধ্যে বিরোধ চলছে। পাল্টাপাল্টি কমিটি, প্রার্থী দেওয়া এবং কর্মসূচিও পালনের ঘটনা ঘটছে। 

মাম্যাচিং মারমা বলেন, কার সঙ্গে গ্রুপিং করব? যারা খালেদা জিয়াকে মানে না, নামেমাত্র লোকজন নিয়ে কর্মসূচি পালন করে তাদের সঙ্গে? আমরা চাই, দ্রুত জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি হোক।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের মার্চে মাম্যাচিং মারমাকে সভাপতি ও জাবেদ রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যর বান্দরবান জেলার আংশিক কমিটি গঠিত হয়। এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দিলেও ৭ বছরে হয়নি। ইতোমধ্যে কমিটির দুজন ভাইস চেয়ারম্যান বহিষ্কার হয়েছেন। দুজন মারা গেছেন ও একজন গুরুতর অসুস্থ। সাত উপজেলার কমিটির মেয়াদ থাকলেও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। 

সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা বলেন, আন্দোলনে নেতা-কর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। মামলার আসামি থেকে শীর্ষ নেতা থেকে কর্মী কেউই বাদ যাননি।

খাগড়াছড়ি

বিএনপির নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থানবিষয়ক সহসম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে রাজপথে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন নেতা-কর্মীরা। তার নেতৃত্বেই বিএনপি এখনো বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে। দুই দশক ধরে খাগড়াছড়ি জেলার বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘বিগত আন্দোলনের হরতাল-অবরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছি। জেলার অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। যদি সারা দেশে একইভাবে আন্দোলন হতো তাহলে আমরা চূড়ান্তভাবে সফল হতাম।’ তিনি বলেন, দেশের একমাত্র খাগড়াছড়িতে ২ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। ১৯টি কেন্দ্র ভোটশূন্য ছিল, ২০-২৫টি কেন্দ্রে চার-পাঁচটির বেশি ভোট পড়েনি।

জানা গেছে, ২০১৯ সালে ১৬ মার্চ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়। ২০১৮-১৯ সালের কমিটি দিয়ে চলছে অঙ্গসংগঠনগুলো। ৯ উপজেলা কমিটির মধ্যে শুধু গুইমারা উপজেলার মেয়াদ নেই। তিন পৌর কমিটির দুইটিই মেয়াদোত্তীর্ণ।     

রাঙামাটি

২০২২ সালে ৯ জুন সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন দীপন তালুকদার দীপু এবং সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন। এরপর ২০২৩ সালের ১২ মার্চ ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। ১০ উপজেলা, ২ পৌর কমিটির মেয়াদ নেই। কয়েক বছর আগেই শেষ অঙ্গসংগঠনগুলোর কমিটি মেয়াদও। রাজপথে জোরালো ভূমিকা রাখার চেষ্টা করলেও পুলিশি বাধায় তা সম্ভব হয়নি বলে দাবি নেতাদের।

দীপন তালুকদার দীপু বলেন, আন্দোলনে নির্বাচনের আগে ও পরে নেতা-কর্মীরা রাজপথে লড়াই করেছেন। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের হামলা-মামলায় জর্জরিত তারা। সম্প্রতি প্রায় ৫০টির বেশি মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ছাত্রদল, যুবদলসহ ইউনিটগুলোর কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের কথা বলেছি। 

কক্সবাজার

বিগত আন্দোলনে কক্সবাজার জেলা বিএনপির তেমন ভূমিকা চোখে পড়েনি। কার্যালয়ও ছিল তালাবদ্ধ। কমিটির বেশির ভাগ পদধারী নেতারাই ছিলেন আড়ালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলকে মাঠে দেখা গেলেও অন্যদের দেখা যায়নি। নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য মাঠে সক্রিয় ছিলেন না তারা। বড় দ্বন্দ্ব না থাকলেও তিনটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে।
২০১৯ সালে সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট শামীম আরাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়। বেশির ভাগ উপজেলা, পৌর এবং অঙ্গসংগঠনের মেয়াদোত্তীর্ণ।

শামীম আরা বলেন, বিগত আন্দোলনে নেতা-কর্মীরা মাঠে ছিলেন না, এটা ঠিক নয়। তার প্রমাণ হলো উখিয়াতে একজন কর্মী র‌্যাবের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন। দলে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে এমন কথা বলতে পারেন।

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৮ এএম
এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল বিএনপি
ছবি: সংগৃহীত

এবার টিকটকে অ্যাকাউন্ট খুলল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। মূলত তরুণদের কাছে দলের বার্তা, দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পৌঁছে দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার রাত ১২টার দিকে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির টিকটক অ্যাকাউন্টে ফলো দিয়ে সঙ্গে থাকুন।’

বিএনপির এই টিকটক অ্যাকাউন্টটি দলের তথ্য ও প্রযুক্তি দপ্তর পরিচালনা করবে।

জানা গেছে, বিএনপির মিডিয়া সেলেরও একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘টিকটকের বেশি ভিউয়ার হচ্ছে দেশের তরুণ ও টিএনজাররা। তাদের কাছে বিএনপির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ অ্যাকাউন্টটা করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ এবং বিদেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের কাছে দলীয় ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও ব্যবহার করছে দলটি।’ 

হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পিএম
হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে বরগুনার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাক্ষাৎ
ছবি : সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বরগুনা জেলার স্থানীয় পর্যায়ে নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। 

বুধবার (৩ জুলাই) বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার নেতৃত্বে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় তার সরকারি বাসভবনে তারা সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় বেতাগী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র এবি এস গোলাম কবীর ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সালমান/

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৬:১০ পিএম
সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ: রিজভী
নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে হাসপাতালে রুহুল কবির রিজভী

সরকারের নির্দেশেই বিএনপি নেতাদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারপ্রধানের নির্দেশেই এই বর্বরোচিত আক্রমণটা করা হয়েছে বাচ্চুর ওপর। কারণ বিএনপি নেতাদের রক্ত দেখলেই সরকারপ্রধান আনন্দিত ও খুশি হন। এই কারণেই একটি দোয়ার অনুষ্ঠান এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে বর্বরোচিত হামলা করা হয়েছে। এই হামলা শুধু ন্যক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত নয়, আওয়ামী লীগ যে একটি বর্বর সংগঠন সেটির বহিঃপ্রকাশ।’

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন গুরুতর জখম নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুকে দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু একজন বর্ষীয়ান ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। যাকে গোটা উত্তরবঙ্গের মানুষ সজ্জন হিসেবেই চেনেন। জেলার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এমনকি জেলার তিনি প্রধান নেতা। তার গায়ে আদিম বন্য হিংস্রতায় এভাবে আক্রমণ করে তার হাত, পা, শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। আজকে তাকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে কী আনন্দ পেলেন সেখানকার আওয়ামী লীগ এবং এমপি শিমুল সাহেব?’ শহীদুল ইসলাম বাচ্চুর সুস্থতা কামনা করেন তিনি।

এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নাটোর জেলা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে হামলায় গুরুতর জখম হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চু। 

মিজানুর রহমান/সালমান/

 

দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে সরকার : মান্না
ছবি : খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, ‘আজ পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারতকে ট্রানজিট দিলে ক্ষতি কী? আপনি তো ট্রানজিট দেননি, দিয়েছেন তো করিডোর। তাদের দেশ থেকে ট্রেন ঢুকবে, সেই ট্রেন আবার তাদের দেশে যাবে। সেখানে কী থাকবে আমরা জানি না।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে ‘সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে’ এ প্রতিবাদ সভা হয়। 

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার কিছু কিছু মানুষকে হঠাৎ করে সামনে আনেন। খুব রসিকতা করে, হাসি-ঠাট্টা করে তাকে সর্বোচ্চ দায়িত্ব দিয়ে দেন। আজ রাষ্ট্রের প্রধান, এক নম্বর ব্যক্তি রসিকতা করতে করতে খুনিদের মুক্তির সনদে স্বাক্ষর করে দেন। রসিকতা করতে করতে তাদের আত্মীয়স্বজনদের আরও প্রমোশন দিয়ে দেন। এরা জালিম সরকার, প্রতারক সরকার।’

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ কিন্তু তিনি বেনজীর আহমেদ, আজিজ আহমেদ, মতিউরসহ তাদের প্রথম দেখেছেন? আজিজের ভাইদের তিনি প্রথম দেখেছেন? তাকে তিনি প্রমোশন দেননি, প্রশ্রয় দেননি আর আমাদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বেড়াতে গেছে। এই ২০০ কোটি টাকা ট্যাক্স ফাঁকির মামলা কি আছে? এই নিয়ে কোনো মামলা হয়েছে কি? এই নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম নিউজও করেছে। আর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেছেন, ‘এরা আমাদের দলের কেউ নয়’।”

মান্না বলেন, ‘পুলিশের একটি সিপাহি পদে চাকরি দিতে গেলে আগে তার পরিবারের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে। তার পরিবারের কেউ, দূর সম্পর্কের কেউ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে থাকলে তার চাকরি হয় না। কিন্তু সরকার একজন মানুষকে সামরিক বাহিনী থেকে ধীরে ধীরে বাহিনীপ্রধান বানিয়ে দিলেন, তার পরিবারের খোঁজ নেননি। তার আপন ভাই জেলে আছে এটা জানতেন না?’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার আমার-আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারে না। কিন্তু কোর্টকে দিয়ে কোটা তুলে দিতে পারে। কোর্টকে দিয়ে এমন এমন কাজ করে যাতে জনগণের অধিকার খর্ব হয়। জনগণের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে।’ 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না। এই সরকার জিনিসের দাম কমাতে পারে না, জনগণের ভরণপোষণ দিতে পারে না, ভোট দিতে দেয় না, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় না, মানুষের ওপর অত্যাচার করে, নির্যাতন করে, এখন পর্যন্ত জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর হামলার বিচার করা হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভরসা রাখেন, আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে সেরকম আন্দোলনই গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।’ 

মিজানুর রহমান/সালমান/

বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:২১ পিএম
বিতর্কিত কারিকুলাম ও সিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে: চরমোনাই পীর
ছবি : সংগৃহীত

বিতর্কিত কারিকুলাম ও পাঠ্যসিলেবাস মেধাশূন্য প্রজন্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। 

তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম ১০০ শতাংশ কারিগরিনির্ভর হওয়ায় শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। শুধু তাই নয়, এই কারিকুলামের পাঠ্যসিলেবাস লজ্জাহীন প্রজন্ম উপহার দিতে চলেছে।’ 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার লাকসামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করীম বলেন, ‘ধর্মীয় ও ইসলামী শিক্ষার অভাবে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ ও উঠতি বয়সীদের কিশোর গ্যাংসহ ভয়াবহ অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, “৯ম শ্রেণির ‘জীবন- জীবিকা’ বইয়ে ‘নারীরূপী পুরুষের অন্তর্বাসে ভরপুর ছবি সম্বলিত কিউআর কোড ব্যবহার’ করে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইচ্ছাকৃতভাবেই এসব করা হলেও কর্তৃপক্ষ বেখবর। প্রয়োজনে এসব পাঠ্যপুস্তক বাতিল করে আবারও অভিজ্ঞ, দক্ষ, রুচিশীল স্কলারদের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। যেন ধর্মীয় চেতনায় বেড়ে উঠা আমাদের সন্তানরা চরিত্রহীন হয়ে না যায়।”

তিনি বলেন, ‘সমাজ ও রাষ্ট্রে ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জালিমদের কবল থেকে আলেমদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ওলামায়ে কেরামকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ 

জেলা সভাপতি মুফতি শাসছুদ্দোহা আশরাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াসের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীশ আবরার, কেন্দ্রীয় নেতা ও কুমিল্লা জেলা উত্তর সভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহবুবুর রহমান আশরাফী।

এনাম আবেদীন/সালমান/