ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলার ৭ নম্বর হাকিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মনিরুজ্জামান। সম্পর্কে ওয়াহিদুজ্জামানের ভাই মনিরুজ্জামান। তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (বরিশাল-খুলনা)।
মঙ্গবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এই নেতার সঙ্গে ইউনিফর্মসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার থাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমার ভাই আমার সঙ্গে ফরম জমা দেওয়ার সময় গিয়েছিলেন। তবে ফরম তো তার হাত দিয়ে দেওয়া হয়নি। তখন তিনি আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন, দাঁড়িয়ে ছিলেন। এতে তো কোনো সমস্যা দেখছি না। আমার ভাই আমার সঙ্গে যেতেই পারেন।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে গিয়েছি, অসুবিধা কোথায়? আমি তো আর ইলেকশন (নির্বাচন) করতে যাইনি। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কোনো দলের কার্যালয়ে গিয়ে ভাইয়ের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মনিরুজ্জামান বলেন, আইনি কোনো বাধা আছে কি না, আমার জানা নেই।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের বাবা প্রয়াত শিকদার মোশারফ হোসেন সোনা শৈলকূপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পুলিশের পোশাক পরে মনিরুজ্জামানকে দেখে উপস্থিত অনেকেই কানাঘুষা করতে থাকেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দুই ভাইয়ের ছবি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
গত ১৬ মার্চ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে ঝিনাইদহ-১ আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে উপনির্বাচন হবে আগামী ৫ জুন। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে এই আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৫ জন।