![উন্নয়নের উচ্চ প্রবৃদ্ধি লোক দেখানো ফুটানি: ইনু](uploads/2024/06/09/Hasanul_Haque_Enu-1717936816.jpg)
উন্নয়নের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি লোক দেখানো ফুটানি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
রবিবার (৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) আয়োজিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, এই বাজেট ছিল ধাক্কা সামলানোর বাজেট। সুতরাং এটাকে আমি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বাজেট বলব। কিন্তু এখানে যেমন এবার প্রবৃদ্ধি ধরেছে, এবার কী দরকার ছিল প্রবৃদ্ধি ধরার? আমাদের তো দরকার মূল্যস্ফীতি কমানো। সবাই জানে বেশি টাকা খরচ করলে বাজারে টাকা যাবে, জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। প্রবৃদ্ধিতে বেশি না বাড়িয়ে প্রকল্প কাটছাঁট করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষা খাতে টাকা বাড়িয়ে মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনা যেত। উন্নয়নের এই উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে লোক দেখানো ফুটানি।
সরকারকে উদ্দেশ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, যারা ধনী, সামর্থ্যবান তাদের কর জালে আনেন। দাগি বড়লোকদের গলায় পা দিয়ে কর দিতে বাধ্য করেন। দাগি ঋণখেলাপিদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে তড়িঘড়ি করে একটা ব্যবস্থা করেন। উপজেলায় রাজস্ব অফিস নেই কেন? একটা ইউনিয়নে পাঁচটা গ্রোথ সেন্টার আছে। ইউনিয়নে যারা স্থায়ী দোকান নিয়ে ব্যবসা করে তাদের করজালে আনেন। সেখানে লাখো-কোটি টাকা রাজস্ব বাড়াতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের পরিচালক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “এখন আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলের অনেক মুদি দোকানেও বছরে কোটি টাকার লেনদেন হয়। তাই আমাদের এখন উপজেলা পর্যায়েও ‘কর’ অফিসগুলো নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন এসেছে।”
লিখিত বক্তব্যে জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে পিষ্ট সাধারণ মানুষের কাছে বাজেট মানে আতঙ্ক। সাধারণ মানুষ কোন জিনিসের দাম কতটুকু বাড়বে, তাদের জীবনযাপন ব্যয় কতটুকু বাড়বে, এগুলো নিয়ে চিন্তিত।
এ সময় তিনি বাজেটের ঘাটতি ৪.৫ শতাংশ থেকে ৩.৫ শতাংশ নামিয়ে আনার প্রস্তাব নিয়ে বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি কাটছাঁট করা ও রাজনৈতিক বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয় নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করা, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার রোধে রাজস্ব বোর্ডের ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে শক্তিশালী করা, ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা, রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও ডলারসংকট কাটাতে বেসরকারি-ব্যক্তি খাতে ব্যক্তি মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে উৎপাদন হোক বা না হোক ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়ার চুক্তি সংশোধন করে ‘নো প্রোডাকশন নো চার্জ’ চুক্তি করা, দুর্নীতি ও অর্থ পাচার রোধ করা, সামাজিক সুরক্ষা বাস্তবায়ন, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে জিডিপির ২ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের ৮ শতাংশ বরাদ্দ এবং মোবাইল ফোনের টকটাইম-ইন্টারনেট ডাটার ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান।