![মিলারের সেঞ্চুরির পরও প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ে ধস](uploads/2023/11/16/1700141778.David_Miller.jpg)
পুরো আসরজুড়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে ম্লান হয়ে ওঠে তাদের সেই ধারাবাহিকতা। বেলুনের মতো চুপসে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। আঁধারের মধ্যে থাকা জোনাকি পোকার মতো মিটিমিটি আলো জ্বালান ডেভিড মিলার। তার ১০১ রানের ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেয় লড়াইয়ের পুঁজি। দলের মোট রানের ৪৭.৬৪ শতাংশই আসে তার ব্যাটে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) কলকাতায় টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার কারণ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানান, আবহাওয়া ও নিজেদের শক্তির জায়গা বিবেচনায় ব্যাটিং নিয়েছেন তারা। শক্তির সেই ধারাবাহিকতা ছিল না প্রোটিয়া শিবিরে। দুই ওপেনার উইকেটে স্থায়ী হন মাত্র এক ওভার। প্রথম ওভারের একদম শেষ বলে বাভুমা আউট হলে ভাঙে প্রোটিয়াদের উদ্বোধনী জুটি। পরের তিন ব্যাটারও পারেননি ধস ঠেকাতে। যার ফল ২৪ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। পুরো টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে নিয়মিত রান পাওয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক এদিন দেখাতে পারেননি নিজের সেরা ছন্দ। ১৪ বলে ৪ রান করে আউট হন তিনি।
এইডেন মার্করাম-রসি ফন ডার ডুসেনও পুরো বিশ্বকাপে নিয়মিত রানের দেখা পেয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেটা দেখাতে পারেননি তারা। দুজনের ব্যাটে আসে যথাক্রমে ৬ ও ১০ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম চার ব্যাটারের মধ্যে একমাত্র ফন ডার ডুসেনের ব্যাটে আসে বাউন্ডারি। বাকি তিনজনের কেউ বল পার করাতে পারেনি সীমানা দড়ি।
টসের সময় অধিনায়ক বাভুমার ধারণা ছিল, ইনিংসের মধ্যেই হানা দেবে বৃষ্টি। ইনিংস শুরুর পর সত্যি হয়েছে বাভুমার ধারণা। বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে খেলা বন্ধ ছিল মিনিট বিশেকের মতো। ওই বৃষ্টিই সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকাকে দেখায় আলোর মুখ। বৃষ্টির পর ম্যাচে নেমে দুই দুটি বড় জুটি গড়ে দলটি। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় তারা।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে হেনরিখ ক্লাসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৯৫ রানের জুটি গড়েন ডেভিড মিলার। ৪৮ বলে ৪৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্লাসেন। তখনই ভাঙে এই জুটি। ক্লাসেন অর্ধশতক না পেলেও ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন মিলার। তার ১১৭ বলে ১০১ রানের ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ৫ ছক্কা। এটি ছিল তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক।
ক্লাসেনের বিদায়ের পর জেরাল্ড কোয়েটজেকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তম উইকেটে গড়েন ৫৩ রানের জুটি। সেখানে কোয়েটজের অবদান ছিল মাত্র ১৯ রান। বাকি ৩৪ রান আসে মিলারের ব্যাটে। দলীয় ১৭২ রানে ফেরেন কোয়েটজে। তার বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে ৪০ রান যোগ করেই অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বোলিংয়ে দারুণ ছন্দে ছিলেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। দুজনেই নেন তিনটি করে উইকেট। তবে সেরা ছিলেন স্টার্ক। ৩৪ রানে তিন উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নেন জশ হ্যাজলেউড ও ট্রাভিস হেড।
পার্থ/সালমান/