![লক্ষ্য ঘরের মাঠে আধিপত্য](uploads/2023/11/28/1701144909.BD-NZ-1st Test-PC-Shanta-Partha.jpg)
ওয়ানডেতে দেশের মাঠে বাংলাদেশের জয় একরকম অবধারিত। সাদাপোশাকে বদলে যায় সেই চিত্রপট। দেশ-বিদেশ যাই হোক, সাদাপোশাকে প্রতিপক্ষের সঙ্গে ন্যূনতম প্রতিরোধের দেখা মেলে না। সেই চিত্র বদলাতে চান ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুটা চান ঘর থেকে। শান্তর লক্ষ্য দূরে নয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে কাজটা শুরু করতে মরিয়া। এর আগে শান্তর চাওয়া ভারমুক্ত হওয়া। নিয়মিত লম্বা মেয়াদে অধিনায়ক হওয়ার দাবিটাও পরোক্ষভাবে রেখেছেন এই ব্যাটার।
প্রথম টেস্টের আগে গতকাল সিলেটে শেষবারের মতো অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। সেখানে ছিল না কোনো পেসারদের উপস্থিতি। স্পিন নির্ভর অনুশীলনে দিন পার করে পুরো দল। তাতে কিছুটা অনুমিত যে, সিলেটের উইকেটে থাকবে স্পিন রাজত্ব। অধিনায়ক শান্তর কাছে প্রশ্ন ছিল উইকেট নিয়ে। ডিপ্লোমেটিক উত্তরে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘কেমন উইকেট হবে তা তো এখানে বলতে পারব না, তবে আমরা সবাই যতটুকু সম্ভব ধারণা নিয়েছি। ওই অনুযায়ী আমরা কালকে মাঠে আসব।’ তবে তার কথায় আভাস ছিল, সিলেট টেস্টে টস হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। টস ভাগ্যে যাই হোক, সেটার জন্যই প্রস্তুত শান্ত বলেন, ‘যা দেখেছি, তাতে আমার কাছে মনে হয় টসটা গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে যে কোনো কিছুর জন্যই আমি প্রস্তুত, ব্যাটিং বা বোলিং যাই করি।’
ম্যাচের পাশাপাশি শান্ত কথা বলেন অধিনায়কত্ব ইস্যুতে। তার চাওয়া লম্বা সময়ের জন্য অধিনায়ক হওয়া। কেন দীর্ঘ মেয়াদে দায়িত্ব চান সেটার ব্যাখ্যায় শান্তর ভাষ্য, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় অধিনায়ক হওয়ার সক্ষমতা আমার আছে। আর যেই অধিনায়ক হবে, সে যদি লম্বা সময়ের জন্য হয়, তাহলে তার পরিকল্পনা করাটা সুবিধার হবে । সে যদি লম্বা সময় ধরে থাকে, তাহলে সুবিধা হবে।’
লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলে কী করতে চান, সেই পরিকল্পনাও স্পষ্ট অধিনায়ক শান্তর। বলেন, ‘দেশের মাটিতে যে খেলাগুলো হবে, সেগুলো আমাদের জিততে হবে। ম্যাচগুলো আমরা কীভাবে জিততে পারি, সেটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে গিয়ে কীভাবে লড়াই করতে পারি, আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আমি বিশ্বাস করি দেশের মাটিতে জেতার মতো দল আমাদের আছে। আস্তে আস্তে নিয়মিত ম্যাচ জয়ের অভ্যাস গড়তে হবে।’
টেস্টে বাংলাদেশে পথচলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৭৩ ম্যাচে মাত্র ১২ জয় টাইগারদের। বাকি ৬৪ টেস্টে বাংলাদেশের ফল- ৪৭ হার ও ১৪ ড্র। এমন দুর্দশা কাটিয়ে এখন জয়ের ধারা তৈরিতে মরিয়া বাংলাদেশ। সেই শুরুটা নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই করতে চান অধিনায়ক শান্ত। জয়ে ধারা তৈরির যে ইঙ্গিত দিয়েছেন সেই পথচলায় সবাইকে নিজের সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার আহ্বান ছিল শান্তর কণ্ঠে। তাতে অধিনায়কের কাজ সহজ হবে বলেও বিশ্বাস তার। তিনি বলেন, ‘প্লেয়াররা যদি পারফর্ম করে, তাহলে দল ভালো একটা অবস্থানে যাবে। যে অধিনায়ক হবে, সে তার দায়িত্ব পালন করবে। যে যার ভূমিকা, সেটা পালন করলে দল ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।’
নিজের চাওয়া পূর্ণ করতে অভিজ্ঞদের পাশে পাচ্ছেন না অধিনায়ক শান্ত। অভিজ্ঞদের ছাড়াই নামতে হবে নিউজিল্যান্ড সিরিজে। তাই এটাকে শান্ত ভাবছেন বড় সুযোগ হিসেবে। তিনি বলেন, ‘একদমই বলব না যে আমরা নতুন দল। তবে অভিজ্ঞতা কম। অবশ্যই এটা একটা না একটা সময় হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে। সাকিব ভাই, তামিম ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই এখন খেলছেন। এমন একটা সময় আসবে যখন তারা আর খেলবেন না। আমরা যারা তরুণ আছি, দলে নতুন এসেছে, তাদের জন্য সুযোগ বলব আমি।’ সিনিয়রদের না থাকাকে সুযোগ হিসেবে দেখা শান্ত চান চ্যালেঞ্জ, ‘এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়া উচিত। সবাই এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’