ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষ পর্যন্ত হলো না

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১১ এএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩৯ এএম
শেষ পর্যন্ত হলো না
ছবি : সংগৃহীত

হলো না! এবারও বড় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জেতা হলো না। অতীতে অস্ট্রেলিয়া (২০১৭) ও নিউজিল্যান্ডের (২০২২) বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের দিগন্ত প্রসারিত সুযোগ এসেছিল। কিন্তু হেরে গিয়ে ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল টাইগারদের। এবার তৃতীয়বারের মতো সেই সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট ১৫০ রানে জিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল সেই সুযোগ। কিন্তু ৪ উইকেটে ম্যাচ হেরে অতীতের মতো এবারও পুড়তে হয়েছে আফসোসের বেড়াজালে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই টেস্টের সিরিজ হয়েছে ১-১ ড্র। প্রথম টেস্ট জিতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ১২ পয়েন্ট। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নিউজিল্যান্ডেরও পয়েন্ট ১২। দুই দলই এই সিরিজ দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা শুরু করে। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান চারে, নিউজিল্যান্ডের তিনে। দুই ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপর পাকিস্তান। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ভারত।

অতীতের দুইবারের চেয়ে এবার বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল বেশি। বলা যায় বাংলাদেশের মুখের খাবার কেড়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া ও ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ের কোনো ক্ষেত্রই তৈরি করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে ও নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ১১৭ রানে হেরেছিল। এবার জয়-পরাজয়ের দোলায় দুলতে দুলতে হেরেছে। ঘূর্ণি বলের ভেল্কিতে নিউজিল্যান্ডের সামনে টার্গেট ছিল মাত্র ১৩৬ রান অতিক্রম করা। সেই রান অতিক্রম করতে গিয়ে তাদের হয় ত্রাহি অবস্থা। একপর্যায়ে হারের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত সপ্তম উইকেট জুটিতে গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারের অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানে ম্যাচ জিতেছে ৪ উইকেটে। ৬ উইকেটে ৬৯ রান থেকে পরে বিনা উইকেটে যোগ হয় ৭০ রান।

নিউজিল্যান্ডের হারের শঙ্কা কিংবা বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কীভাবে তৈরি হয়েছিল? ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের সামনে জয় ঘোলাটে হয়ে হারের শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পেস ও স্পিনের যুগলবন্দি আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েন কিউই ব্যাটাররা। শুরু করেন পেসার শরিফুল ডেভন কনওয়েকে আউট করে। এরপর শুরু হয় মিরাজ-তাইজুলের স্পিন ভেল্কি। দুজনে তুলে নেন ৫ উইকেট। মিরাজ নিকোলাস, ড্যারেল মিচেল ও টম ল্যাথামকে এবং তাইজুল কেন উইলিয়ামসন ও টম ব্লুন্ডেলকে শিকার করে দলের রানকে পরিণত করেন ৬ উইকেটে ৬৯। জয়ের জন্য তখনো নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৬৮ রানের। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটের পতনের আগে ফিলিপস আউট হতে পারতেন যদি মিরাজের বলে প্রথম স্লিপে নাজমুল ক্যাচ ছেড়ে না দিতেন। তখনো ফিলিপস রানের খাতা খোলেননি। তার এই জীবন পাওয়াই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের জন্য ‌‘কাল’ হয়ে ওঠে। ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ব্লুন্ডেল আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটার মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে ফিলিপস আর পেছনে ফিরে তাকাননি। দলকে একেবারে জয়ী করে তবেই মাঠ ছাড়েন। ৬ উইকেটে যেখানে রান ছিল ৬৯, সেখানে পরে ১২.৫ ওভারে ৭০ রান যোগ হয় কোনো উইকেট না হারিয়ে।

প্রথম ইনিংসে ফিলিপস দলের বিপর্যয়ে আক্রমণকে হাতিয়ার বানিয়ে খেলেছিলেন ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস। এবার তিনি ঝোড়ো ইনিংস খেলেননি। ৪৮ বলে ১ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু ঝোড়ো ইনিংস খেলেন স্যান্টনার। তিনি ৩৯ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। এই দুজনের ব্যাটিংয়ে নিউজিল্যান্ড কঠিন ম্যাচকে অনেকটা সহজ করে জিতে নেয়।

মিরপুর টেস্ট গড়িয়েছে চতুর্থ দিনে। আসলে সময়ের হিসেবে খেলা হয়নি দুই দিনও। দুই দিনে খেলা হয় ১৮০ ওভার। সেখানে চার দিনে খেলা হয়েছে ১৭৮.১ ওভার। এর মাঝেই দুই দল দুইবার করে চারবার ব্যাটিং করছে। উইকেট পড়েছে ৩৬টি। এই ৩৬ উইকেটের মাত্র ৪টি ছিল পেসারদের দখলে। তারা বোলিং করেন ২৪.১ ওভার। বাকি সব ওভার করেছেন স্পিনাররা।

প্রথম দিন ৭৮.২ ওভার খেলা হয়েছিল। উইকেট পড়েছিল ১৫টি। দ্বিতীয় দিন খেলা হয়নি। তৃতীয় দিন মাত্র ৩২.৩ ওভারে উইকেট পড়েছিল ৭টি। আর চতুর্থ দিন ৬৬.৪ ওভারে উইকেট পড়েছে ১৪টি। যার ৮টিই ছিল দিনের প্রথম সেশনে। এই সব কটিই ছিল বাংলাদেশের। দুই স্পিনার এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার মিলেই বাংলাদেশের সব কটি উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় সেশনে নিউজিল্যান্ডের উইকেট পড়ে ৬টি। শেষ সেশনে তাদের কোনো উইকেট পড়েনি।

বৃষ্টির কারণে প্রথম তিন দিনে খেলা হয়েছিল মাত্র ১১১.৩ ওভার। নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের পুরোটাই এবং বাংলাদেশের ৮ উইকেট বাকি ছিল। পিচে স্পিনারদের রাজত্ব থাকলেও চতুর্থ দিনই খেলা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কমই ছিল। কিন্তু সেই অসম্ভব কাজটিই সম্ভব করে তোলেন মূলত নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা। বিশেষ করে দুই স্পিনার এজাজ প্যাটেল ও মিচেল স্যান্টনার। দুজনেই পিচ থেকে সুবিধা পাওয়াতে অধিনায়ক টিম সাউদি দিনের ইনিংসের ২৭ ওভারের মাঝে নিজে করেন ৪ ওভার। বাকি ২৩ ওভার মিলেমিশে করেন প্যাটেল-স্যান্টনার জুটি। বাংলাদেশের ইনিংসে আঘাত হানতে খুব বেশি সময় নেননি তারা। দিনের তৃতীয় ওভারেই মুমিনুলকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে এজাজ শুরু করেন। এই এজাজই পরে ‘ঘাতক’ হয়ে ওঠেন। ৮ উইকেটের ৫টিই তুলে নেন তিনি। আগের দিন নিয়েছিলেন ১ উইকেট। ৫৭ রানে নেন ৬ উইকেট। ১৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে এটি ছিল তার চতুর্থবার ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া। স্যান্টনার নেন ৩ উইকেট। দুজনের পাল্টাপাল্টি উইকেট নেওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যান ওপেনার জাকির হাসান। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। তার ৮৬ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চার সাজানোর ইনিংসে ইতি ঘটে প্যাটেলের বলে ড্যারেল মিচেলের হাতে ধরা পড়ে। ৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন ৭৯ বলে। দুই ইনিংসে ৮৭ ও অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন গ্লেন ফিলিপস। আর দুই টেস্টে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হন তাইজুল ইসলাম।

দেশে ফিরেছেন রোহিত শর্মারা, অপেক্ষা উৎসবের

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
দেশে ফিরেছেন রোহিত শর্মারা, অপেক্ষা উৎসবের
ছবি- সংগ্রহীত

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৈরি আবহাওয়ার কারণে বার্বাডোজে আটকা পড়েছিল ভারতীয় দল। পরিবেশ ঠান্ডা হলে বিশেষ এক ফ্লাইটে ১৬ ঘণ্টার বিমান যাত্রার পর নিজ দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছায় তারা।

সকালে নয়াদিল্লিতে পৌঁছানো ভারতীয় দল আপাতত অবস্থান করছে সেখানকার আইটিসি হোটেলে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের। সেখানে মুম্বাইয়ে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে হবে রোড শো।

ভারতীয় দলের দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে সকাল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে সমর্থকরা। সবাই ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় পুরো দলকে।

দিল্লির আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুম্বাইয়ে ভারতীয় দল। সেখানে মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা বাসে হবে শিরোপা উৎসবের রোড শো। এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর মুম্বাইয়ে হয়েছিল রোড শো।

বিসিবিতে বাড়ল দেশি কোচ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
বিসিবিতে বাড়ল দেশি কোচ
ছবি- সংগ্রহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে দেশি কোচের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিসিবিতে চুক্তিবদ্ধ কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক তিন ক্রিকেটার রাজিন সালেহ, তুষার ইমরান ও তারেক আজিজ। রাজিন সালেহ ও তুষার ইমরান নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে। তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বোলিং কোচ হিসেবে।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে হচ্ছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্প। ইতোমধ্যে সেখানে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রাজিন। পাশাপাশি আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি। তিন মাসের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যাটিং কোচ তুষার ইমরান ও বোলিং কোচ তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিন বছরের জন্য। তারেক আজিজ বাংলাদেশ টাইগার্সের সঙ্গে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাজ শুরু করেছেন।

এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার নাদিফ চৌধুরীকে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন
তাসকিন আহমেদ

ভারত ম্যাচের আগে তাসকিন আহমেদের ঘুমকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা। সেই সমালোচনার মধ্যে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাসকিন। দিয়েছেন নিজের ব্যাখ্যা।

বুধবার (৩ জুলাই) তাসকিনের দেওয়া সেই পোস্ট খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ অ তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এজন্য ইতোমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭-এ উঠেছিলাম ও ৮:৪৩-এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সকাল ৯:০০-এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০-এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০-এ। আমরা সকাল ১০:১৫-এ জাতীয় সংগীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০-এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না ওঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না।

এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেব যাতে কেউ ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসেবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।’

পার্থ/সালমান/

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।