ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

এশিয়ার সেরা বাংলার যুবারা

প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
এশিয়ার সেরা বাংলার যুবারা
ছবি : সংগৃহীত

১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছর পূর্তি উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে বাংলার জমিনে। সেই রাশ কাটতে না কাটতেই পরের দিন ১৭ ডিসেম্বর ১৭ কোটি বাঙালিকে আবারও নতুন করে উৎসবে রাঙিয়েছেন বাংলা মায়ের একদল সূর্যসন্তানরা। মরুর বুকে উড়িয়েছেন লাল-সবুজের নিশান। এনে দিয়েছেন এশিয়ার ক্রিকেটে যুবাদের শ্রেষ্ঠত্ব। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন এশিয়ার সেরা। ভারতের সাম্রাজ্যে আঘাত হেনে প্রথমবারের মতো নাম লিখিয়েছেন শিরোপাধারীদের তালিকায়। যে তালিকায় এর আগে ভারত ছাড়া নাম ছিল শুধুই আফগানিস্তানের। ৯ আসরের মাঝে ভারত ছিল আটবারেরই চ্যাম্পিয়ন। এর আগে যুবারা ২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

বাংলাদেশের যুবারা প্রথমবারের মতো নিজেদের এশিয়ার সেরা প্রমাণ করতে সামনে পেয়েছিল স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে। কিন্তু স্বাগতিকদের বহুজাতিক (ভিন দেশের ক্রিকেটারদের নাগরিকত্ব দিয়ে দল গড়া) বাহিনী দাঁড়াতেই পারেনি লাল-সবুজ বাহিনীর কাছে। শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের যুবারা এক কথায় উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকদের। নতুন রেকর্ড গড়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বি বাহিনী। জিতেছে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলির ১২৯ রানে ভর করে গড়ে ৮ উইকেটে ২৮২ রানের নির্ভার স্কোর। রান তাড়া করতে নেমে আবার বাংলাদেশের যুবাদের তোপে পড়ে মাত্র ২৪.৫ ওভারে অলআউট হয় ৮৭ রানে। এশিয়া কাপের ফাইনালে রানের ব্যবধানে এটিই সবচেয়ে বড় জয়। আগের বড় জয় ছিল আফগানিস্তানের, ১৮৫ রানে। ২০১৭ সালে তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছিল।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চরম ব্যর্থতায় দেশবাসীকে যখন হতাশার সাগরে ডুবিয়েছিল, অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, তখন যুবাদের এই সাফল্য নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে। ফাইনালে সাধারণত কোনো প্রতিপক্ষই দুর্বল থাকে না। কিন্তু আরব আমিরাতকে পাওয়ার পরই বাংলাদেশের শিরোপা জেতার পাল্লা অনেকটা ভারী হয়ে ওঠে। সেই ধারণাই শতভাগ বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায় ২২ গজের লড়াইয়ে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একতরফা ফাইনাল হয়েছে। 

যুবাদের আসরে সাধারণত দর্শক-আগ্রহ থাকে কম। কিন্তু স্বাগতিকরা ফাইনালে ওঠায় মাঠ সরগরম করে তুলতে আয়োজকরা গ্যালারি উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। সেখানে ভিড় করেছিলেন প্রচুরসংখ্যক প্রবাসী বাঙালি। তারা শুধু টস হারের মুহূর্তটা বাদে বাকি পুরোটা সময় কাটিয়েছেন হইহুল্লুড় করে। বাংলার তুর্কি তরুণরা ক্ষণে ক্ষণে উল্লাস করার উপলক্ষ এনে দিয়েছেন। ব্যাট হাতে ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি (১২৯) যেমন সেঞ্চুরি করার পথে চার-ছয়ে মেরে হাত তালি দেওয়ার উপলক্ষ এনে দেন, তেমনি আবার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান (৬০), আরিফুল ইসলাম (৫০) হাফ সেঞ্চুরি সেখানে বাড়তি উপলক্ষ এনে দেন। এই তিনজনের বাইরে দুই অঙ্কের রান করেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি (২১)।

শুরুতে ওপেনার জিসান আলম (৭) ফিরে যাওয়ার পর আশিকুর ও রিজওয়ান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ২৫.৪ ওভারে ১২৫ রান যোগ করে দলের ভিত মজবুত করে দেন। ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা রিজওয়ান ৬০ (৭০ বলে ১ ছয় ও ৪ চার) রান করে ফিরে যাওয়ার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে আশিকুর ও আরিফুল ১২.২ ওভারে ৮৬ রান যোগ করে দলের ভিত আরও বেশি করে পাকাপোক্ত করে তোলেন। ৬ চারে ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে পরের বলেই আউট হয়ে যান আরিফুল। কিন্তু দুই অঙ্কের ফিগারকে তিন অঙ্কে রূপ দিয়ে সমর্থকদের বিপুল করতালির বৃষ্টিতে সিক্ত হন আশিকুর। আউট হওয়া দুই ব্যাটারের মাঝেই তিনি শতরান পূর্ণ করেন ১২৯ বলে ১০ চারে। আসরে এটি ছিল তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে গ্রুপ পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি করেছিলেনব অপরাজিত ১১৬ রান। আশিকুর আউট হন একেবারে ইনিংসের শেষ প্রান্তে এক বল বাকি থাকতে আয়মান আহমেদের বলে ডি সুজার হাতে ধার পড়ে। তার ১৪৯ বলের ১২৯ রানের ইনিংসে ছিল এক ছক্কা ও ১০ চার। এই আয়মানই ছিলেন স্বাগতিকদের সফল বোলার। ৫২ রানে নেন ৪ উইকেট।

ব্যাটাররা দর্শকদের যতটা না উল্লাস করার উপলক্ষ এনে দিয়েছেন, তার চেয়ে বেশি উপলক্ষ এনে দেন বোলাররা। সেই উপলক্ষ কতটা ঘন ঘন এসেছে, তা বোঝা যায় প্রতিপক্ষের উইকেট পতন দেখেই। ৫০ ওভারের খেলা শেষ হয়ে যায় মাত্র ২৪.৫ ওভারে। দলীয় ৫০ রানের আগেই পাঁচ-পাঁচবার এ রকম উপলক্ষ আসে বাংলাদেশের শিবিরে। মারুফ মৃধা দুটি আর রহমত দৌল্লাহ বর্ষণ ৩টি উইকেট নিয়ে এই উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন। এরপর শুরু করেন শাকিল পারভেজ জীবন ও ইকবাল হোসেন ইমন। দুজনে নেন দুটি করে উইকেট। এই দুজনের মাঝে ভাগ বসান মারুফ মৃধা এক উইকেট নিয়ে। ফলে ৮৭ রানেই শেষ হয়ে যায় আরব আমিরাতের ইনিংস। যুবাদের ফাইনালে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। আগের সর্বনিম্ন রান ছিল ২০১৭ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের ৬৩ রান। আরব আমিরাতের পক্ষে দ্রুভ প্রসার ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়া দুই অঙ্কের রান করেন শুধু রাজ ১১। বর্ষণ ২৬ ও মারুফ ২৯ রানে তিনটি করে এবং জীবন ৭ ও ইমন ১৫ রানে নেন দুটি করে উইকেট। ১২৯ রানের ইনিংস খেলে যেমন ম্যাচসেরা হয়েছেন আশিকুর, তেমনি দুই সেঞ্চুরিতে ৩৭৮ রান করে আসরের সেরাও তিনি।

দেশে ফিরেছেন রোহিত শর্মারা, অপেক্ষা উৎসবের

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:২৬ পিএম
দেশে ফিরেছেন রোহিত শর্মারা, অপেক্ষা উৎসবের
ছবি- সংগ্রহীত

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বৈরি আবহাওয়ার কারণে বার্বাডোজে আটকা পড়েছিল ভারতীয় দল। পরিবেশ ঠান্ডা হলে বিশেষ এক ফ্লাইটে ১৬ ঘণ্টার বিমান যাত্রার পর নিজ দেশে ফিরেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছায় তারা।

সকালে নয়াদিল্লিতে পৌঁছানো ভারতীয় দল আপাতত অবস্থান করছে সেখানকার আইটিসি হোটেলে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে তাদের। সেখানে মুম্বাইয়ে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে হবে রোড শো।

ভারতীয় দলের দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে সকাল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করে সমর্থকরা। সবাই ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় পুরো দলকে।

দিল্লির আনুষ্ঠানিকতা শেষে মুম্বাইয়ে ভারতীয় দল। সেখানে মুম্বাইয়ের মেরিন ড্রাইভে ছাদখোলা বাসে হবে শিরোপা উৎসবের রোড শো। এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর মুম্বাইয়ে হয়েছিল রোড শো।

বিসিবিতে বাড়ল দেশি কোচ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০১:১১ পিএম
বিসিবিতে বাড়ল দেশি কোচ
ছবি- সংগ্রহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে দেশি কোচের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিসিবিতে চুক্তিবদ্ধ কোচ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক তিন ক্রিকেটার রাজিন সালেহ, তুষার ইমরান ও তারেক আজিজ। রাজিন সালেহ ও তুষার ইমরান নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাটিং কোচ হিসেবে। তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বোলিং কোচ হিসেবে।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে হচ্ছে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্প। ইতোমধ্যে সেখানে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রাজিন। পাশাপাশি আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি। তিন মাসের জন্য তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যাটিং কোচ তুষার ইমরান ও বোলিং কোচ তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তিন বছরের জন্য। তারেক আজিজ বাংলাদেশ টাইগার্সের সঙ্গে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কাজ শুরু করেছেন।

এছাড়া সাবেক ক্রিকেটার নাদিফ চৌধুরীকে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
ঘুমকাণ্ডের ব্যাখ্যা দিলেন তাসকিন
তাসকিন আহমেদ

ভারত ম্যাচের আগে তাসকিন আহমেদের ঘুমকাণ্ড নিয়ে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা। সেই সমালোচনার মধ্যে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুখ খুলেছেন তাসকিন। দিয়েছেন নিজের ব্যাখ্যা।

বুধবার (৩ জুলাই) তাসকিনের দেওয়া সেই পোস্ট খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানতে পেরেছি যে সম্প্রতি শেষ হওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের একটি ঘটনা নিয়ে অনেক হৈচৈ করা হচ্ছে।

প্রথমত, আমি সবাইকে জানাতে চাই যে বেশিরভাগ সংবাদ অ তথ্য যা ছড়ানো হচ্ছে তা কেবল গুজব এবং আমি আশা করি ভক্তরা এটি সেইভাবে দেখবেন।

দ্বিতীয়ত, আমি ঘটনাটি সেদিন আসলে কী ঘটেছিল তা পরিষ্কার করতে চাই। আমি স্বীকার করি যে আমি স্বাভাবিকের চেয়ে পরে উঠেছি এবং এজন্য ইতোমধ্যে পুরো দল এবং ম্যানেজমেন্টের কাছে ক্ষমা চেয়েছি।

আমি সকাল ৮:৩৭-এ উঠেছিলাম ও ৮:৪৩-এ লবিতে গিয়েছিলাম এবং আমার রাইড প্রস্তুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি সকাল ৯:০০-এ হোটেল ছেড়েছি। আমি সকাল ৯:৪০-এ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছি, ম্যাচ টসের ২০ মিনিট আগে সকাল ১০:০০-এ। আমরা সকাল ১০:১৫-এ জাতীয় সংগীত গেয়েছিলাম এবং ম্যাচটি সকাল ১০:৩০-এ শুরু হয়েছিল।

এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে এই তথাকথিত ক্রীড়া সাংবাদিকরা গুজবের ভিত্তিতে খবর প্রচার/মুদ্রণ করছে এবং যাচাই না করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে যা জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন খেলোয়াড় হিসাবে।

যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন আমি আমাদের দেশকে কতটা ভালোবাসি এবং বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কতটা নিবেদিত, উৎসাহী এবং গর্বিত। আমি জানি আমি সময়মতো টিমের বাসে না ওঠার একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি, কিন্তু আমি টসের আগেই স্টেডিয়ামে ছিলাম। আমার চূড়ান্ত দলে নির্বাচিত না হওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত ছিল। যা সঠিক টিম কম্বিনেশন পাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি আমার টিম বাসে না ওঠার ব্যর্থতার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না। তাই, আমি আশা করি মিডিয়া এবং ক্রীড়া সাংবাদিকরা মিথ্যা গল্প লেখার আগে আরও সতর্কতা অবলম্বন করবেন এবং একটি বিষাক্ত পরিবেশ তৈরি করবেন না।

এটি কেবল আমাদের খেলোয়াড়দের ক্ষতি করে না বরং আমাদের দেশের সামগ্রিক চিত্রকে ক্ষুণ্ন করে। আমি বিশ্বাস করি আমরা সবাই সৎ এবং পেশাদার সাংবাদিকতা আশা করি যাতে জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারি।

ভবিষ্যতে, আমি আইনিভাবে এই ধরনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেব যাতে কেউ ক্রীড়াবিদ বা মানুষ হিসেবে আমার সুনাম বা অখণ্ডতা ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা না করে। আমার ভক্তদের ধন্যবাদ তাদের অব্যাহত সমর্থনের জন্য।’

পার্থ/সালমান/

মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১১:৫০ এএম
মুশতাকে আগ্রহী বিসিবি
ছবি- সংগ্রহীত

সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের স্পিন বোলিং পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন মুশতাক আহমেদ। স্বল্প সময়ে তার হাত ধরে সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল। এবার তার চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

আজ দুপুর তিনটায় বিসিবির বোর্ড সভায় মুশতাক আহমেদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স, পূর্বাচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্বকাপসহ দুই মাস বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে কাজ করেছেন মুশতাক আহমেদ। তার অধীনে নিজেকে আরও বেশি শানিয়ে তুলেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তার কাজে খুশি হয়ে আপাতত চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী বিসিবি।

বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৭ এএম
বেলজিয়ামকে বিদায় করে কোয়ার্টারে ফ্রান্স
ছবি: সংগৃহীত

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের অবস্থান পাশাপাশি। তবে মাঠের খেলায় সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার দেখা মেলেনি। অবশ্য সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বেলজিয়ামের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ছিল ফরাসিরা। তার প্রমাণ পুরো ম্যাচজুড়ে আধিপত্য কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যান্তেনিও গ্রিজম্যানদের। মাঠের প্রভাব অবশ্য বোঝা যায়নি ফল দেখে। কারণ, গোল পেতে ফরাসিদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত। নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফ্রান্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে দেন জ্যান ভার্টোনেন।

ডুসেলডর্ফে ম্যাচের শুরু থেকে বেলজিয়ামের ওপর ছড়ি ঘোরায় ফরাসিরা। একের পর এক আক্রমণ করেও বলার মতো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ফরাসি স্ট্রাইকারদের একের পর এক ব্যর্থতায় মনে হচ্ছিল খেলা হয়তো গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ডেডলক ভাঙেন কোলো মুয়ানি। বেলজিয়ামের জাল উদ্দেশ করে নেওয়া তার শট ভার্টোনেনের পায়ে লেগে জড়ায় জালে। তাতে ফরাসিদের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়।