![রান পাহাড়ে চাপা পড়ে সিরিজ হারল মেয়েরা](uploads/2023/12/24/1703391841.BD Women.jpg)
শেষ ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পারলেই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের সুযোগ ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। যদিও সেই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের তান পাহাড়ে চাপা পড়ে হেরেছে নিগার সুলতানার দল। হারিয়েছে সিরিজ জয়ের সুযোগও।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) উইলোমুর পার্কে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা। স্বাগতিকদের দুই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ৩১৬ রান তোলে স্বাগতিকেরা। এটি আবার মেয়েদের ওয়ানডে ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
৩১৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের মেয়েরা ম্যাচের শুরুতেই হারিয়ে বসে ২৮ রানে নিজেদের প্রথম ৪ উইকেট। আর সেখানেই ফিকে হয়ে যায় ম্যাচ জেতার সকল সম্ভাবনা। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হক, অধিনায়ক নিগার সুলতানা, ফর্মে থাকা মুরশিদা খাতুন ও ওপেনার শামীমা সুলতানা—স্বীকৃত সব ব্যাটারই সাজঘরে ফিরেছেন আউট হয়ে।
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশের মেয়েদের হারের ব্যবধান ২১৬ রানের। স্কোরবোর্ডে সবমিলিয়ে রান যোগ হয় মাত্র ১০০। রানের হিসেবে এটিই বাংলাদেশের মেয়েদের ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় হার। আগের রেকর্ডটিও একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১৫৪ রানের ২০১৮ সালে।
দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী জুটিতে দু্ই ওপেনার লরা ভলভার্ট ও তাজমিন ব্রিটস যোগ করেন ২৪৩ রান। ৪৩তম ওভারের প্রথম বলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে মেয়েদের ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেটেই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ জুটি গড়ে ফেলেন ভলভার্ট-ব্রিটস। বাংলাদেশের মেয়েদের বিপক্ষেও যে কোনো উইকেটে এটি রেকর্ড।
দুই ওপেনার রেকর্ড গড়ার পথে ১২৬ রান করেছেন ভলভার্ট, ব্রিটস করেছেন ১১৮। ৪৩তম ওভারে বাংলাদেশের পেসার মারুফ আক্তার ভলভার্টকে বোল্ড করার পরের ওভারেই ব্রিটসকে ফিরিয়ে দেন মিডিয়াম পেসার রিতু মনি। এরপর আনিকা বশ (১৯ বলে ২৮) ও সুনে লুসের (১৭ বলে ৩৪) ঝড়ে শেষ ৬.৩ ওভারে ৬৫ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।