![তামিম থাকছেন না কেন্দ্রীয় চুক্তিতে](uploads/2023/12/25/1703480988.Tamim BCB Central Contract.jpg)
নতুন বছর শুরু হলেই বিসিবিতে শুরু হয় কেন্দ্রীয় চুক্তির তোড়জোড়। ২০২৪ সালের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের তালিকা প্রস্তুতে কাজ চলছে বিসিবিতে। বড় খবর হলো এবারের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই ওপেনার তামিম ইকবালের নাম। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বিসিবি তাকে সরিয়ে দেয়নি, বরং নিজ ইচ্ছায় সরে গেছেন তিনি। বিষয়টি গতকাল গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত হবে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের তালিকা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে বসবে বিসিবির বোর্ড সভা। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের তালিকা।
তামিমের না থাকার ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, ‘কীভাবে সে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, তার নিজস্ব একটা প্ল্যান আছে। তার আগে যেন আমরা তাকে কন্ট্রাক্টে না রাখি সেটা সেও চেয়েছিল।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম পুরোদমে ফিরলে তামিমকে পাওয়া যাবে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের তালিকায়। এই নিয়ে জালাল বলেন, ‘পরবর্তী সময় বসার পরে (বিসিবি সভাপতির সঙ্গে বৈঠক) পরিকল্পনা ফাইনাল করলে তখন আমাদের জানাবে সে কি করতে যাচ্ছে।’
এদিকে এবারে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য চালু হতে পারে নতুন নিয়ম। বছরে নির্দিষ্টসংখ্যক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বেশি খেলতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান জানান, চুক্তিতে বিষয়টি উল্লেখ না করা হলেও ক্রিকেটারদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘এবার হয়তো আমরা সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্টে রাখতে পারি। অথবা না রাখলেও হয়তো বলে দেব সারা বছরে তোমরা একটি বা দুটি খেলবা। আমরা এটি এখনো ডিসাইড করিনি।’ তামিমের সঙ্গে বাদ পড়তে পারেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ২০২৩ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। তবুও ছিলেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট আইপিএলে দল পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলের অন্যতম সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসের ডেরায় নাম লিখিয়েছেন। তার আইপিএলে খেলা নিয়ে কোনো বাধা নেই বলেও নিশ্চিত করেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে দিয়ে দিয়েছে (এনওসি)।’ একই সময়ে তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামকে আইপিএলে খেলতে না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন জালাল ইউনুস। তার কথায়, ‘তাসকিন-শরিফুলকে না দেওয়ার কারণ হচ্ছে তাদের ইনজুরি। তাসকিন কিন্তু এখনো প্র্যাকটিস করছে। কালকেও আমার সঙ্গে কথা হয়েছে সে বলছে আমি অলমোস্ট ফিট। এই দুজন কিন্তু ইনজুরিপ্রণ প্লেয়ার। আপনারা জানেন যে, বিশ্বকাপে তাসকিন কিন্তু পুরোপুরি ফিট ছিল না। সে কিন্তু ফিফটি পার্সেন্ট ফিট হয়ে খেলেছে।’
আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলে আর্থিকভাবে খানিকটা লাভবান হতেন শরিফুল ও তাসকিন। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জানান, ‘ক্ষতিপূরণের কথা খারাপ শোনায়।... বাট এটা বোর্ড আর প্লেয়ারের মধ্যে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং।’