ক্রিকেট মাঠে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে চেয়ে দুবার আইসিসির বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার উসমান খাজা। ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষদের প্রতি সমর্থন জানানোর বেলায় পরপর দুবার বাঁধাগ্রস্ত হওয়ায় আইসিসির সমালোচনা করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তী পেসার মাইকেল হোল্ডিং।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে উসমান খাজাকে অনুমতি না দেওয়ায় আইসিসির সমালোচনা করার পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ বা ‘এলজিবিটিকিউ’ আন্দোলনের পক্ষে কিছু করার অনুমতি কেন দেওয়া হয়েছিল।
পার্থ টেস্টে অজি ব্যাটার নামেন কালো আর্মব্যান্ড পরে। আইসিসির কাছ থেকে আগে অনুমতি না নেওয়ায় নিয়মের লঙ্ঘন হয়েছে, এমন অভিযোগে খাজাকে ভর্ৎসনা করে আইসিসি। এবার মেলবোর্ন টেস্টে জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রার স্টিকার নিয়ে নামতে চেয়েছিলেন খাজা। তবে এবারও ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনুমতি দেয়নি।
এমন অবস্থানের কারণে আইসিসির কড়া সমালোচনা করেছেন হোল্ডিং। দ্য অস্ট্রেলিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০২০ সালে ‘ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার’ আন্দোলনের সময় বেশ সরব হোল্ডিং বলেছেন, ‘আমি খাজাকে নিয়ে উদ্ভূত গোলমালের ব্যাপারটি অনুসরণ করছি। আইসিসির অবস্থানে বিস্মিত হয়েছি, তা ঠিক বলতে পারছি না।’
কেন বিস্মিত হচ্ছেন না, সে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হোল্ডিং বলেন, ‘অন্য বেশির ভাগ সংস্থা, যারা নিজেদের মনোভাব নিয়ে একটু ধারাবাহিকতার আভাস দেখিয়েছে, তারা এমন করলেও আমি বিস্মিত হতাম। তবে তাদের (আইসিসি) ক্ষেত্রে নয়। তারা আরেকবার তাদের দ্বিচারী মনোভাব এবং সংস্থা হিসেবে নৈতিক কোনো অবস্থানের ঘাটতির ব্যাপারটি দেখাল।’
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সময় বর্ণবৈষম্য উপজীব্য করে ‘হোয়াই উই নিল, হাউ উই রাইজ’ নামে বই লেখা হোল্ডিং এরপর বলেন, ‘আইসিসির নিয়ম বলে, 'রাজনৈতিক, ধর্মীয়, বর্ণের কোনো আন্দোলনের কোনো বার্তা দেওয়া যাবে না। তাহলে বিএলএমের (ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার) সময় কীভাবে মানুষকে হাঁটু গেড়ে সংহতি জানানোর অনুমতি দেওয়া হলো? কীভাবে স্টাম্প এলজিবিটিকিউয়ের রঙে ঢেকে দেওয়া হলো?