পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে এই সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার সে ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন আগেই। এরপর তৃতীয় টেস্টের আগে ঘোষণা দিয়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটটাও তিনি ছেড়ে দিচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়দের একজন এই ডেভিড ওয়ার্নার। যিনি টেস্টে অভিষেক করেছিলেন মাইকেল ক্লার্কের অধীনে ২০১১ সালে।
শুরুর সময়ে তার প্রতিভা তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিল, সে এমনকিছু করতে পারতেন যা বাকিরা পারতেন না। তার এই দক্ষতাই বাকিদের চেয়ে তাকে আলাদা করে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তি ছিন্ন হওয়া বন্ধ হতে কাজে দিয়েছিল বলে মনে করেন অষ্ট্রেলিয়ার এই সাবেক অধিনায়ক। যে সময়টায় বোর্ডের অনেকেই তার চুক্তির বিপক্ষে ছিল।
ক্লার্ক নেতৃত্বে থাকাকালীন ২০১৩ সালে বার্মিংহামে একটি বারে জো রুটের সাথে বিবাদে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হন দুই ম্যাচ। যেই কারণে সেবার অ্যাশেজের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি ওয়ার্নার। তবে ওয়ার্নারের ক্যারিয়ারের বিতর্কিত সময়টি ছিল ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনায় জড়িতে হয়ে নিষিদ্ধ হওয়া। তখনও তার চুক্তি বাতিল হয়নি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে তার বিশেষ গুরুত্বের কারণে।
ওয়ার্নারের মতো ক্রিকেটারকে যে কেউ দলে চাইবে এমনটা উল্লেখ করে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর উইকেট শোতে অষ্ট্রেলিয়ার পঞ্চম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেন, ‘ডেভিড খুবই অদম্য চরিত্র, যাকে আমি দলে পেতে পছন্দ করতাম। সেই অভিপ্রায়, সেই আক্রমণাত্মক মনোভাব। কিন্তু মাঠের বাইরে সে ছিল ছোট্ট ষাড়। যে কিনা চলতি পথে হালকা বিপদে পতিত হতো।’
‘বোর্ড ও সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ সে অনেক সহযোগিতা পেয়েছে দলের চুক্তিতে থাকার ক্ষেত্রে। ছোট একটা লড়াইও হয়েছে তাকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যেহেতু সে দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন ছিল। তার অধিনায়ক হিসেবে সেই আত্মবিশ্বাস ছিল তার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই। শুরুতে আমরাও তরুণ ছিলাম এ পথে আমাদেরও শিখতে হয়েছে।’
‘সর্বোচ্চ স্তরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে সে খেলাটাকে রপ্ত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে যা সহজ নয়। এটার জন্য সে কৃতিত্ব পাবে।’
ক্লার্ক আরও যোগ করেন, ‘শুরু থেকেই ওয়ার্নারের স্বাভাবিক প্রতিভা প্রমাণ হিসেবে কাজ করেছে তারপরও তাকে পরাজিত করতে হয়েছে তাদের যাদের তাকে নিশ্চিত ছিল না। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট নিয়ে যেখানে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের আগে তার অভিষেক হয়েছিল।’
ক্লার্ক এটাও মনে করেন যে, ‘সিডনি টেস্টটাই সম্ভবত উপযুক্ত সময় ওয়ার্নারের জন্য সব ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার। এটাই আদর্শ সময় বলে মনে করি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর। কিন্তু, সে টি-টোয়েন্টি খেলতে চায়। এখন ভারসাম্যটা বজায় রাখতে হবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পা রাখা। এই ফরম্যাটে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সবসময়। এরপরও তাকে কৃতিত্ব দিতে হয় সে তিন ফরম্যাটেই খেলা চালিয়ে গেছে।’