![জামাল-হামজার প্রতিরোধে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের](uploads/2024/01/03/1704273440.PAK-VS-AUS-TEST.jpg)
দুই টেস্ট হেরে সিরিজ জেতার কোনো আশাই নেই পাকিস্তানের। হোয়াটওয়াশ এড়ানোর আশায় তৃতীয় টেস্টে মাঠে নেমে শুরুতেই এক বিব্রতকর রেকর্ড গড়ে পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে দুই ব্যাটারই ফিরেছেন ০ রানে। সিডনিতে দুই ওপেনারের রানের খাতা খোলার আগে বিদায়ে বিপদে পড়ে সফরকারীরা। পরে অবশ্য সেখান থেকে দারুণভাবে ফিরে এসেছে পাকিস্তান।
মাঝখানে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আঘা সালমানের পর আমের জামালের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৩১৩ রানে।
পাকিস্তান অলআউট হওয়ার পর প্রথম দিনের শেষে ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। এক চারে ছয় রান করে অপরাজিত আছেন ক্যারিয়ারে শেষ টেস্ট খেলতে নামা ওয়ার্নার। সাথে আছেন আরেক ওপেনার উসমান খাজা।
৩১৩ রানে পাকিস্তানের ইনিংস থামলেও শুরুটা মোটেও সুখকর ছিল না তাদের জন্য। রানের খাতা না খুলেই ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই মিচেল স্টার্কের বলে স্টিভেন স্মিথকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফেরেন আবদুল্লাহ শফিক। পরের ওভারেই আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুবকে রানের খাতা খুলতে দেননি জশ হ্যাজলউড। উইকেটের পেছনে অ্যালেক্স ক্যারির গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক শান মাসুদ ও বাবর আজম চাপ সামালের চেষ্টা করেন। দুইজনে যোগ করেন ৩৫ রান। প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ২৬ রান করে ফেরেন বাবর। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাউদ শাকিলও। তার বিদায়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আরো চাপে পড়ে পাকিস্তান।
দলীয় ৯৬ রানে ৩৫ রান করে অধিনায়ক শান মাসুদ ফিরে গেলে শতরানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এরপর আগা সালমানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুজনের জুটিতে পাকিস্তানের বোর্ডে যোগ হয় ৯৪ রান। উভয়ই তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে ফিরতে হয়েছে রিজওয়ানকে। দলীয় ১৯০ রানের মাথায় ৮৮ রান করা রিজওয়ানকে ফেরান কামিন্স। এরপর একে একে ফেরেন সাজিদ খান (১৫), আগা সালমান (৫৩) এবং হাসান আলী (০)। তাতে ২২৭ রানে ৯ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
এর পরেই শুরু হয় আমের জামাল ও মির হামজার প্রতিরোধ। নয়ে নামা আমের জামাল খেলেছেন অবিশ্বাস্য এক ইনিংস। অজি বোলারদের দাপটের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন এই দুইজন।
২২.১ ওভার ক্রিজে থেকে এই দুজন যোগ করেছেন ৮৬ রান। জামাল তার ৮২ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন ৯টি চার এবং চারটি ছক্কায়। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন হামজা। ৪৩ বল খেলে করেছেন ৭ রান। নাথান লায়নের বলে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া পাকিস্তানকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন আমের জামাল। অজিদের প্রথম ইনিংস কোথায় গিয়ে থামে সেটাই এখন দেখার।