![স্টাম্পিং ও কনকাশনের নিয়ম বদলেছে আইসিসি](uploads/2024/01/04/1704367268.ICC-NEW-RULE.jpg)
ক্রিকেটের নিয়মে দুটি বদল আনার ঘোষণা দিয়েছে আইসিসি। স্টাম্পিং আউট ও কনকাশন বদলির ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালুর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
আইসিসির নির্ধারণ করা নতুন নিয়ম অনুযায়ী মাঠের আম্পায়ার তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে স্টাম্পিং আউটের আবেদন পাঠানোর পর ব্যাটসম্যান ক্যাচ আউট হয়েছেন কি না! সেটা তৃতীয় আম্পায়ার দেখতে পারবেন না।
সাধারণত স্টাম্পিংয়ের আবেদনে নিশিচত থাকলে লেগ আম্পায়ারই সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেন। তবে মাঠের আম্পায়ারকে সহায়তা নিতে হয় নিশ্চিত না হলে তৃতীয় (টিভি) আম্পায়ারের। টিভি আম্পায়ার স্টাম্পিং আউটের আবেদন যাচাইয়ের সময় ব্যাটসম্যানের ব্যাট ছুঁয়ে বল উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়েছে কি না, সেটাও দেখে নেন।
কিন্তু এখন থেকে আড় সেই সুযোগ নেই। স্টাম্পিংয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই আউট নিয়েই সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন টিভি আম্পায়ার। অর্থাৎ, স্টাম্পিংয়ের আবেদন হলে শুধু সাইড অন রিপ্লে দেখা হবে। যেখানে ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা শরীরের কোনো অংশ বেল ফেলার সময় ক্রিজের ভেতর ছিল কি না, সেটা যাচাই করা হবে।
তবে কোনো উইকেটকিপার যদি মনে করেন, বল ব্যাটারের ব্যাট স্পর্শ হয়ে সরাসরি তার হাতে এসেছে এবং তিনি স্টাম্পিংও করেছেন, সেক্ষেত্রে রিভিউ (ডিআরএস) নিতে হবে আলাদাভাবে। এই পরিবর্তন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো আইসিসির সংশোধনীতে যা বলা হয়েছে, তার কিছু অংশ প্রকাশ করেছে, ‘পরিবর্তিত রিভিউ শুধুমাত্র স্টাম্পড আউট পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্য আউটের (যেমন-কট বিহাইন্ড) ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দল যেন একটি ফ্রি রিভিউ না পায়, সেটা প্রতিরোধ করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
এ ছাড়া কনকাশন বদলির নিয়মেও এসেছে পরিবররত্ন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটারকে যদি কনকাশন বদলি হিসেবে খেলাতে হয়, তাহলে মাঠ ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটারের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তিনিও বল করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে এটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে কোনো ক্রিকেটার চোট পেলে মাঠে ৪ মিনিটের বেশি চিকিৎসা নিতে পারবেন না।