![বেকেনবাওয়ার মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান ফুটবল দুনিয়া](uploads/2024/01/09/1704781196.Beckunbauer.jpg)
মারিও জাগালোর মৃত্যুর তিন দিনের মধ্যেই অন্যলোকে পাড়ি জমালেন আরেক খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপজয়ী ফুটবল ব্যক্তিত্ব জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। ৭৮ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তিনি। তার মৃত্যুতে শোকে মূহ্যমান ফুটবল বিশ্ব।
১৯৭৪ সালে সেই সময়ের পশ্চিম জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বেকেনবাওয়ার। পরে কোচ হিসেবে ১৯৯০ বিশ্বকাপেও জেতেন শিরোপা। জার্মানির শীর্ষ লিগের ট্রফি জয়ের স্বাদ পান তিনি বায়ার্নের খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে।
অনেকের দৃষ্টিতে তিনি জার্মান ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। যেমনটা মনে করেন জাতীয় দলের জার্মান কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান।
‘আমার কাছে ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার জার্মান ইতিহাসের সেরা ফুটবলার। একজন ফুটবলার এবং পরে কোচ হিসেবেও তিনি ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি সবকিছুর ওপরে ছিলেন।’
গোটা ফুটবল বিশ্বের জন্যই একটা ‘লেগ্যাসি’ রেখে গেছেন বেকেনবাওয়ার এমনটা মনে করেন জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) সভাপতি বার্ন্ড নিউয়েনডর্ফ। ‘আমরা তার জীবনের কর্মকে সম্মান এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে দেখি। আমরা একজন অনন্য ফুটবলার ও প্রিয় এক ব্যক্তিকে হারালাম। ‘ডের কাইজার’ (বেকেনবাওয়ারের ডাক নাম) ছিলেন আমাদের খেলার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন।’
‘ডিএফবি ও সামগ্রিক ফুটবলের জন্য একটি দারুণ লেগ্যাসি রেখে গেছেন।’
জার্মানির ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপ শিরোপা জেতা দলের কোচ ছিলেন বেকেনবাওয়ার। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন লোথার মাথেউস। বিশ্বকাজয়ী এই অধিনায়ক মনে করেন, বেকেনবাওয়ার মাঠের বাইরেও ছিলেন সেরাদের একজন। ‘ধাক্কাটা অনেক বড়। যদিও আমি জানতাম যে, ফ্রাঞ্জ শারীরিকভাবে ভালো বোধ করেছিলেন না। তার মৃত্যু ফুটবল এবং সামগ্রিকভাবে জার্মানির জন্য বড় ক্ষতি। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে তিনি ছিলেন সেরাদের একজন, মাঠের বাইরেও তাই।’
‘ফ্রাঞ্জ শুধুমাত্র ফুটবলেই অসামান্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন না, তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিত ছিলেন। যারা তাকে চিনতেন তারা সবাই জানেন, ফ্রাঞ্জ মহান এবং উদার ব্যক্তি ছিলেন।”
বেকেনবাওয়ারের মৃত্যু ছুঁয়ে গেছে সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ও বর্তমানে ফুটবল বিশেষজ্ঞ গ্যারি লিনেকারকে। ‘ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার মারা গেছেন শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আমাদের খেলার সত্যিকারের গ্রেটদের একজন। ডের কাইজার ছিলেন ফুটবলারদের মধ্যে সুন্দরতম, যিনি সবকিছু জিতেছিলেন সহজাত সৌন্দর্য্য এবং মাধুর্য্য ছড়িয়ে।’
জার্মানি ও বায়ার্নের ফরোয়ার্ড টমাস মুলার লিখেছেন, ‘বায়ার্নের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। শান্তিতে ঘুমান ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। জার্মানির ফুটবলে আপনি যা দিয়েছেন, আপনাকে কখনই ভুলব না আমরা।’
বায়ার্নের সভাপতি হের্বার্ট হাইনার বলেছেন, ‘দারুণ একজন ব্যক্তিত্ব, শ্রদ্ধাবোধ দিয়ে তিনি সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। জার্মান ফুটবল তার ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বকে হারাল। আমরা তাকে অনেক বেশি মিস করব। প্রিয় ফ্রাঞ্জ, সবকিছুর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’