ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

নতুনের আবাহন না পুরাতনকে বরণ

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
নতুনের আবাহন না পুরাতনকে বরণ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন এখন খুবই ব্যস্ত। একসঙ্গে আসর চলছে তিনটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা আর ইউরো। এদিকে আবার দরজায় কড়া নাড়ছে প্যারিস অলিম্পিক। এসবের ভিড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আবার ক্রীড়ামোদিদের কাছে পেছনের সারিতে। ফুটবল নিয়ে যে মাতামাতি, তার কাছাকাছিও নেই ক্রিকেট। নিউ জার্সিতে কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার খেলা নিয়ে যে উন্মাতাল ভাব দেখা গেছে, সে রকমটি কিন্তু দেখা যায়নি টি-টোয়েন্টিতে। বিশ্ব ক্রিকেট মানেই যেন উপমহাদেশ। আলাদা করে বললে ভারত। এই ভারতকে আবার বিশেষ সুবিধা দিতে আইসিসি কোনো রকম রাখঢাক করে না। ভারতের কোটি কোটি দর্শকের কথা চিন্তা করে তাদের খেলা ভারতের সময় অনুযায়ী রাতে রাখা হয়। ভারতের পৃষ্ঠপোষকদের টাকায় আইসিসি চলে বলে ফাইনাল পর্যন্ত ভারতকে রাখতে আইসিসির পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ভারত আগেই বিদায় নিলে আসর নাকি সুপার ফ্লপ মারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইসিসি এখানে সফল  হতে পারে না। কিন্তু এবার আইসিসি সফল। ভারত ফাইনাল খেলছে। ভারতের এই ফাইনালে আসা নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু ফাইনালে অপর প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার উঠে আসা নিয়ে কেউ সমালোচনা করেননি। তাই বার্বাডোসের আজকের ফাইনাল নতুন আর পুরাতনের। ভারতের একাধিকবার ফাইনালে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু খেলছে প্রথমবারের মতো। ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে বিশ্ব  ক্রিকেটের জন্য নতুন কিছু হবে না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন হলে নতুন নাম যোগ হবে আইসিসির রোল অব অনারে। যেখানে আগে থেকে নাম আছে দুবার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের, একবার করে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়ার। 

আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার নামটি ‘চোকার্স’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ইতিহাস সবারই জানা। গোটা আসরে দুর্দান্ত খেলার পর নকআউট স্টেজে দক্ষিণ আফ্রিকা আর পেরে ওঠে না। যে কারণে ১৯৯৯ সালে নকআউট (বতর্মানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) বিশ্বকাপের প্রথম আসরই এখন পর্যন্ত তাদের একমাত্র ফাইনাল আর  শিরোপা জেতার সাক্ষী হয়ে আছে। এবার তারা সে ইতিহাস বদলে দিয়েছে। সেই বদলে যাওয়া ইতিহাসের পূর্ণতা পাবে যদি শিরোপা জিততে পারে। একবার মাত্র ফাইনাল খেলায় বলা যায়, ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনো হারেনি। ভারতের জন্য ফাইনাল খেলাটা আবার নানাবাড়ির দুধ-ভাতের মতো সহজলভ্য হয়ে গেছে। কিন্তু শিরোপা জেতা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। সেই ২০০৭ সালের প্রথম আসরে তারা ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছিল। এরপর ২০১৪ সালে তারা ফাইনাল খেলেছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কার কাছে ৬ উইকেটে হেরে গিয়েছিল। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল ৬ উইকেটে। শুধু কি এই দুটি আসরই? আইসিসির নতুন করে শুরু হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরেও ফাইনালে উঠে একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ভারত। প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে, দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২০৯ রানে হেরে গিয়েছিল তারা। তাই ফাইনালের ক্ষেত্রে ভারতও এক ধরনের ‘চোকার্স’। তাই ফাইনালে হবে দুই চোকার্সের লড়াই।

ফাইনালে কিন্তু আছে বৃষ্টির চোখ রাঙানি। এবারের আসরে ক্রিকেটের আজন্মশক্রু এই বৃষ্টি বেশ ভুগিয়েছে। এমন কী ভারত-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেমিতেও বৃষ্টি হানা দিয়েছিল। যদিও  ছিল  না কোনো রিজার্ভ ডে। তবে ফাইনালে রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কিন্তু রিজার্ভ ডেতেও বৃষ্টির হানা আছে। সে ক্ষেত্রে প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ ওভার করেও খেলা না হলে দুই দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। 

ফাইনালে উঠে আসার পথে গ্রুপপর্ব ও সুপার এইটে দুই দলই বাধার সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু সেমিতে যেন দুই দলই নিজ নিজ প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়েছে। তা এমনইভাবে যে, যা দেখে মনেই হয়নি আসরের সেরা দল খেলছে ফাইনালে। এবারের আসরের চমক আফগানিস্তানকে তো তাদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৫৬ রানের লজ্জায় ডুবিয়ে অলআউট করে ম্যাচ জিতেছিল ৯ উইকেটে। অপর সেমিতে ভারত আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭১ করার পর ইংল্যান্ডকে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট করে ম্যাচ জিতেছে ৬৮ রানে। সেমির এই লড়াইয়ে দুই দলই বুঝিয়ে দিয়েছে শিরোপা জিততে তারা বদ্ধপরিকর। আসুক যত বাধা। দেখার বিষয় আজ কে কার বাধা হয়ে ওঠে! 

সেমিতে ভারত তাদের স্পিন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করলেও দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু পেস অ্যাটাক দিয়েই কাজ সেরেছে। তাদের স্পিনাররা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহযোগিতার হাত। তাই বলে ভারতকে স্পিননির্ভর ভাবার কারণ নেই। কারণ দুই পেসার আর্শদীপ সিং ১৫ ও বুমরাহ ১৩ উইকেট নিয়ে আছেন শীর্ষ উইকেট শিকারির তালিকার ওপরের দিকে। সেখানে দুই স্পিনার কুলদীপ যাবদের ১০, অক্ষর প্যাটেলের উইকেট ৮টি। দক্ষিণ আফ্রিকাও একই পথের কাণ্ডারি। নর্টজে ১৫ ও রাবাদা ১২ উইকেট নিয়ে ১১ উইকেট নেওয়া তাবারিজ শামসির ওপরেই আছেন। আবার কেশব মহারাজের উইকেটও ৯টি।  আর সেমিতে আফগানিস্তানকে গুঁড়িয়ে দেওয়া পেসার মার্কো জানসেন ৬ উইকেটের ৩টিই পেয়েছিলেন সেই ম্যাচে।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসলে বোলারদের লড়াই হয়ে উঠেছে। যে কারণে ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনের মুগ্ধকর ব্যাটিং দেখা যায়নি। বিরাট কোহলি (৭ ম্যাচে ৭৫ রান) পুরো ফ্লপ। অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৭ ম্যাচে ২৪৮ রান), সূর্যকুমার যাদব (৭ ম্যাচে ১৯৬ রান), রিশাভ পন্থ (৭ ম্যাচে ১৭১ রান) হার্দিক পান্ডিয়া (৭ ম্যাচে  ১৩৯ রান) শিভাম দুবে (৭ ম্যাচে ১০৬ রান) রান যেন মানায় না। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংলাইন ভারতের মতো অনিন্দ্যসুন্দর না হলেও তাদের ডি কক ২০৪, ডেভিড মিলার ১৪৮, ক্লাসেন ১৩৮, টি স্টাবস ১৩৪, মার্করাম ১১৯, রেজা হেন্ডরিকস ১০৯ রান করে ভারতের বোলিংকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার স্বপ্নে বিভোর।   

ফাইনাল ম্যাচের আগে ব্রিজটাউনে এবারের আসরে খেলা হয়েছে মোট ৮টি। এখানে যেমন দুই শর ওপরে রান হয়েছে, তেমনি আবার শতরানের নিচেও। ওমান-নামিবিয়ার টাই ম্যাচও হয়েছে এখানে। কাজেই ব্যাটিং, না বোলিং উইকেট ম্যাচের শুরুর আগে এই তথ্য খুব একটা কাজে দেবে না। তবে ফিরে যাওয়া যেতে পারে ২০১০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার করা ৬ উইকেটে ১৪৭ রান ইংল্যান্ড ১৭ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। 

কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব হারান বাবর আজম। কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে সেই বাবরের কাছেই পাকিস্তান আরেকবার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। তাতেও লাভ হয়নি, এবারও ভরাডুবি হয়েছে দলটির। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এরপর থেকে আবারও শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা। আরেকবার শঙ্কায় তার নেতৃত্ব।

পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তাকে খেলতে হবে সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ভ্যানকুবার নাইটসের হয়ে খেলবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে রিজওয়ানের নেতৃত্বে খেলতে হবে বাবরকে।

রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল টি-২০ এর চতুর্থ সিজনের জন্য ভ্যানকুভার নাইটস অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ঘোষণা করছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা আর দক্ষ উইকেটকিপিং দিয়ে তিনি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে যেতে তৈরি। তৈরি হও নাইটসরা!’

দলটিতে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীকে। 

ডেথ ওভারের কিং বুমরাহ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
ডেথ ওভারের কিং বুমরাহ
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো জিতেই যেত। তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। তখনো ৫ ওভার বাকি। হাতে রয়েছে ৬টি উইকেট। এমন ম্যাচেও তারা হেরেছে। আর হারের দ্বারপ্রান্তে থাকা ভারত জয় পেয়েছে ৭ রানে। ভারতের এমন জয়ে অনন্য অবদান রেখেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। শেষ ৫ ওভারের মধ্যে দুই ওভার হাত ঘুরান বুমরাহ। মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন ১ উইকেট। তাতে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

শুধু ফাইনাল ম্যাচেই নয়। এবার বিশ্বকাপে ভারতের প্রায় সব প্রতিপক্ষ ডেথ ওভারে বুমরাহর ছোবলে দিশেহারা হয়েছে। তাতে ‘ডেথ ওভারের কিং’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন এই ফাস্ট বোলার।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত ১৭৭ রানের টার্গেট দেয়। ডি ককের পর ক্লাসেনের ব্যাট আশার আলো দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫তম ওভার শেষে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। অথচ শুধু ১৫তম ওভারেই ২৪ রান নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে জয়টি যেন শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল। ভারতের সমর্থকদের কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। হয়তো ফের ফাইনালে হেরে যাচ্ছে তারা।

তবে ১৬তম ওভারেই বুমরাহর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৬ বলে মাত্র ৪ রান দিয়ে রান-বলের ব্যবধান বৃদ্ধি করেন বুমরাহ। ফের ১৮তম ওভারে বুমরাহকে নিয়ে আসেন রোহিত। এই ওভারেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নের কবর রচনা করেন। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ওভারটিতে মাত্র ২ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। তাতে শেষ ২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার হয় ২০ রানের। বলে বলে যেখানে রান হলে জয় নিশ্চিত, সেখানে এমন ব্যবধানেই যেন হকচকিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ১২ বলে তারা ১১ রান নিতে পারলেও আগের ঘাটতি আর পূরণ করতে পারেনি।

বুমরাহর বোলিং ছোবল শুধু ফাইনালেই নয়। টুর্নামেন্ট শুরুই করেছেন প্রতিপক্ষকে লণ্ডভণ্ড করে। প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৬ ওভারে অল আউট করতে বড় অবদান রাখেন তিনি। ৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এরপর ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হারায় ভারত। সেই ম্যাচে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার বুমরাহ হন ম্যাচসেরা। এবারের বিশ্বকাপের চমক আফগানিস্তানও ‘কিং বুমরাহ’র ছোবল থেকে রেহাই পায়নি। সুপার এইট পর্বের ম্যাচটিতে বুমরাহর রেকর্ড অনন্য। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে একটি মেডেনসহ তিনটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। ম্যাচটা ৪৭ রানে জিতে ভারত। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষেও কম রান দেন তিনি। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান। তুলে নেন দুটি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাই স্কোরিং ম্যাচেও আলো ছড়ান। ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া বুমরাহর করা ১৭তম ওভারে মাত্র ৫ রান নিতে পারে। যার ব্যাটে স্বপ্ন আঁকছিল অজিরা, সেই ট্রাভিস হেডের উইকেটটাও নেন বুমরাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২.৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরাহ। আর ফাইনালের গল্পটা এখনো সবার মনে তাজা হয়েই থাকার কথা। সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন বুমরাহ। এমন সাফল্যের রহস্য হিসেবে বলেছেন নিজেকে শান্ত রাখা, ‘আমি শান্ত রাখতে চেষ্টা করি।’ বিশ্বকাপ জয়কে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমার ছেলে, আমার পরিবার আছে এখানে। আমরা এটা অর্জন করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এর চেয়ে আনন্দের কিছু নেই।’

ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-ইংল্যান্ড
ছবি : সংগৃহীত

ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। নবাগত জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেওয়ার রাতেই জুড বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছে বাদ পড়তে যাওয়া ইংল্যান্ড।

রবিবার (৩০ জুন) শেষ ষোলোর দিনের প্রথম ম্যাচে স্পেনের গতিময় ফুটবলের কাছে জর্জিয়া বিধ্বস্ত হয়েছে ৪-১ ব্যবধানে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগালকে হারানো জর্জিয়া।

যদিও স্পেনের শুরুটা হয়েছিল ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে। অথচ গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই হজম করতে হয়নি এই স্পেনকে। সেই গোলে জর্জিয়া এগিয়ে গেলেও ম্যাচের ফলাফল এসেছে স্পেনের দিকেই। ৩৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানো গোলটি করেন রদ্রি, ৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ফাবিয়ান রুইস, ৭৫ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের গোলের পর চতুর্থ গোলটি করেন দানি ওলমো ৮৩ মিনিটে।

এদিকে, স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার হয়ে চলছিল অতিরিক্ত সময়ের খেলা। তখনও ১-০ গোলে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। প্রায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান জুড বেলিংহাম। তার গোলেই সমতায় ফেরে ইংলিশরা।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প লিখে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।