ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

এইডেন মার্করাম জয়ই যার নেশা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:২০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
জয়ই যার নেশা
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই ফাইনাল খেলতে পারে না। ক্রিকেটে এই বাক্যটা অমর বাক্যে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু একজন এইডেন মার্করাম কথাটা বদলে দিয়েছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাত-সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে নিয়ে গেছে মার্করামের নেতৃত্ব। কখনো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তো কম তারকা ক্রিকেটার উঠে আসেনি। কিন্তু তাদের সবার থেকে একজন মার্করাম যেন একেবারেই আলাদা। বয়স এখনো ত্রিশ হয়নি। মাঠে তার চলনে বলে ডাকাবুকো ভাবের লেশমাত্র নেই। কিন্তু চোখে ও মনে কেবল জয়ের নেশা। অধিনায়ক হিসেবে প্রোটিয়াদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর পর এখন যিনি বড় বিশ্বকাপ জয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে। বার্বাডোসে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে এই অন্য ধাতুতে গড়া মার্করামই কি হাসবেন শেষ হাসি?

ক্রিকেট ইতিহাসে মার্করামই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ ও সিনিয়র বিশ্বকাপের ফাইনালে দেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। আইসিসি ইভেন্টে অধিনায়ক হিসেবে যার পরাজয়ের কোনো নজির নেই। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা। জিতেছে ৮ ম্যাচের ৮টিতেই। সবগুলোই মার্করামের নেতৃত্বে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে টেম্বা বাভুমার চোটে ২ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন মার্করাম, দুটিতেই জিতেছিলেন। আর ২০১৪ সালে দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর পথে জেতেন ৬ ম্যাচের সবকটি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে মোট ১৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মার্করামের জয় সবগুলোতেই। অবিশ্বাস্যই বলতে হবে।

দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পথে ব্যাট হাতে ৩৬০ রান করে ছিলেন ‍টুর্নামেন্টসেরা। এবার অবশ্য মার্করামের ব্যাট সেভাবে হাসেনি। ৮ ইনিংসে মাত্র ১১৯ রান তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। কিন্তু যদি বলা হয় মার্করামের দুই ক্যাচ প্রোটিয়াদের এতদূর এনেছে, ভুল হবে কি!

হ্যাঁ, দক্ষিণ আফ্রিকার এতদূর আসার পেছনে আসলে সম্মিলিত পারফরম্যান্সেরই বড় ভূমিকা। কেউ না কেউ এক ম্যাচে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট কারও ওপর দলটি নির্ভরশীল নয়। কিন্তু পুরো আসরে দলটি এমন কিছু স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ জিতেছে, যেখানে ভাগ্যও দলটির পাশে ছিল বলতে হবে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের কথাতেই আসা যাক। মাত্র ৪ রানে ম্যাচটি জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ভাগ্য নিশ্চিয়ই পাশে ছিল বলে। এ ক্ষেত্রে একজন মার্করামের কথা বলতেই হবে। শেষ দুই বলে যখন ৬ রান প্রয়োজন, তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নিশ্চিত ছক্কাকে ক্যাচে পরিণত করে প্রোটিয়াদের জয়ের আনন্দে মাতিয়েছিলেন মার্করাম। লং-অনে কীভাবে কোথা থেকে এসে ছোঁ মেরে মার্করাম ক্যাচটা নিলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে তো এখনো তা অবিশ্বাস্য লাগার মতো ঘটনা। সুপার এইট পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রায় হেরে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। সেই মুহূর্তে ৫৩ রানে উইকেটে থাকা হ্যারি ব্রুকের ক্যাচটা মুগ্ধকরভাবে লুফে নিয়েছিলেন মার্করাম। এরপর ইংল্যান্ড আর ম্যাচটা জিততে পারেনি। জিতবেন কি করে! একজন অধিনায়ক মার্করাম কি হারতে পারেন?

২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাপ্তি শূন্য। ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলে দলটি ৩২ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে আজ ফাইনাল খেলার অপেক্ষায়। ট্রফিটাও মার্করামের হাতে উঠবে কী? মার্করামের দলটা কি স্নায়ুর লড়াইয়ে হেরে যাওয়া কোনো দল নয়। মার্করামের দল চোকার্স নয়।

আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৫ পিএম
আরসিবির কোচ হলেন দিনেশ কার্তিক
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমটাই আইপিএলে দিনেশ কার্তিকের শেষ ছিল। এরপর ধারাভাষ্যকের ভূমিকায় দেখা যায় সদ্যসমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবার নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তাকে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হলেন তিনি।

কোচ হওয়ার খবরে ৩৯ বছর বয়সী কার্তিক বলেছেন, ‘বিষয়টা দারুণ যে আমি বেঙ্গালুরুর সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। চেষ্টা করব দলকে আরও শক্তিশালী করার। পেশা হিসেবে আমার কাছে কোচিং খুবই রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। জীবনের নতুন অধ্যায় নিয়ে আমি সত্যিই খুবই রোমাঞ্চিত। আশা করি খেলোয়াড় হিসেবে আমার যে অভিজ্ঞতা সেটা দলের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। এই দলের ব্যাটিং বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে আমার তর সইছে না।’

ভারতের হয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দলে তার অভিষেক হয় ২০০৪ সালে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০০৬ সালে। খেলোয়াড়ি জীবন চলমান অবস্থাতেই তিনি ধারাভাষ্যকক্ষে বিচরণ শুরু করেন। ২০২১ সালে কাজ করেছেন ইংল্যান্ড-ভারত সিরিজে। একই ভূমিকায় ছিলেন দ্য হান্ড্রেডেও।

জাতীয় দলের হয়ে ২৬টি টেস্ট, ৯৪টি ওয়ানডে ও ৬০ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কার্তিক। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন ১টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ও ২টি এশিয়া কাপ। 

বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
বিসিসিআইয়ের ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে আইসিসির শিরোপা খরা কাটিয়েছে ভারত। এই জয়ে ভারত ক্রিকেট দলকে পুরস্কৃত করেছে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই। যে পুরস্কার আইসিসি হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের চেয়েও বেশি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, ‘আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতায় ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি রুপি পুরস্কার ঘোষণা করতে পেরে আমি আনন্দিত। টুর্নামেন্টজুড়ে এই দলটি ব্যতিক্রমী প্রতিভা, দৃঢ়তা ও স্পোর্টসম্যানশিপ দেখিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ ও সাপোর্ট স্টাফের সবাইকে অসামান্য অর্জনের জন্য অভিনন্দন।’

এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আইসিসি থেকে ২৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার প্রাইজ মানি পাচ্ছে ভারত। ভার ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২০ কোটি ৪২ লাখ রুপি।

এছাড়া সুপার এইট পর্যন্ত ৬ ম্যাচ জেতায় তারা আরও ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪ ডলার পাচ্ছে। আইসিসি ও বিসিসিআই হতে প্রাপ্ত পুরস্কারের অর্থসহ মোট দেড় কোটি রুপি পেয়েছে ভারত। আর রানার্সআপ হয়ে ১২ লাখ টাকা ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে দক্ষিন আফ্রিকা। 

কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
কানাডায় রিজওয়ানের অধীনে খেলবেন বাবর
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নেতৃত্ব হারান বাবর আজম। কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ঘুরেফিরে সেই বাবরের কাছেই পাকিস্তান আরেকবার দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। তাতেও লাভ হয়নি, এবারও ভরাডুবি হয়েছে দলটির। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। এরপর থেকে আবারও শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনা। আরেকবার শঙ্কায় তার নেতৃত্ব।

পাকিস্তান ক্রিকেটে তার অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত নিয়ে এখনও কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ ক্রিকেটে তাকে খেলতে হবে সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের অধীনে। কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ভ্যানকুবার নাইটসের হয়ে খেলবেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। সেখানে রিজওয়ানের নেতৃত্বে খেলতে হবে বাবরকে।

রিজওয়ানকে অধিনায়ক ঘোষণা করে ফ্র্যাঞ্চাইজটি জানিয়েছে, ‘গ্লোবাল টি-২০ এর চতুর্থ সিজনের জন্য ভ্যানকুভার নাইটস অধিনায়ক হিসেবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের নাম ঘোষণা করছে। তার অসাধারণ ব্যাটিং দক্ষতা আর দক্ষ উইকেটকিপিং দিয়ে তিনি আমাদের জয়ের পথে নিয়ে যেতে তৈরি। তৈরি হও নাইটসরা!’

দলটিতে সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তানের অন্য দুই ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলীকে। 

ডেথ ওভারের কিং বুমরাহ

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
ডেথ ওভারের কিং বুমরাহ
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো জিতেই যেত। তাদের জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। তখনো ৫ ওভার বাকি। হাতে রয়েছে ৬টি উইকেট। এমন ম্যাচেও তারা হেরেছে। আর হারের দ্বারপ্রান্তে থাকা ভারত জয় পেয়েছে ৭ রানে। ভারতের এমন জয়ে অনন্য অবদান রেখেছেন জসপ্রিত বুমরাহ। শেষ ৫ ওভারের মধ্যে দুই ওভার হাত ঘুরান বুমরাহ। মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন ১ উইকেট। তাতে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

শুধু ফাইনাল ম্যাচেই নয়। এবার বিশ্বকাপে ভারতের প্রায় সব প্রতিপক্ষ ডেথ ওভারে বুমরাহর ছোবলে দিশেহারা হয়েছে। তাতে ‘ডেথ ওভারের কিং’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন এই ফাস্ট বোলার।

বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত ১৭৭ রানের টার্গেট দেয়। ডি ককের পর ক্লাসেনের ব্যাট আশার আলো দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫তম ওভার শেষে জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল মাত্র ৩০ রান। অথচ শুধু ১৫তম ওভারেই ২৪ রান নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে জয়টি যেন শুধু সময়ের ব্যাপার ছিল। ভারতের সমর্থকদের কপালে তখন চিন্তার ভাঁজ। হয়তো ফের ফাইনালে হেরে যাচ্ছে তারা।

তবে ১৬তম ওভারেই বুমরাহর হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৬ বলে মাত্র ৪ রান দিয়ে রান-বলের ব্যবধান বৃদ্ধি করেন বুমরাহ। ফের ১৮তম ওভারে বুমরাহকে নিয়ে আসেন রোহিত। এই ওভারেই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নের কবর রচনা করেন। শেষ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ ওভারটিতে মাত্র ২ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। তাতে শেষ ২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য দরকার হয় ২০ রানের। বলে বলে যেখানে রান হলে জয় নিশ্চিত, সেখানে এমন ব্যবধানেই যেন হকচকিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ১২ বলে তারা ১১ রান নিতে পারলেও আগের ঘাটতি আর পূরণ করতে পারেনি।

বুমরাহর বোলিং ছোবল শুধু ফাইনালেই নয়। টুর্নামেন্ট শুরুই করেছেন প্রতিপক্ষকে লণ্ডভণ্ড করে। প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১৬ ওভারে অল আউট করতে বড় অবদান রাখেন তিনি। ৩ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। তাতে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি। এরপর ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হারায় ভারত। সেই ম্যাচে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার বুমরাহ হন ম্যাচসেরা। এবারের বিশ্বকাপের চমক আফগানিস্তানও ‘কিং বুমরাহ’র ছোবল থেকে রেহাই পায়নি। সুপার এইট পর্বের ম্যাচটিতে বুমরাহর রেকর্ড অনন্য। ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে একটি মেডেনসহ তিনটি উইকেট নেন ডানহাতি পেসার। ম্যাচটা ৪৭ রানে জিতে ভারত। এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষেও কম রান দেন তিনি। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান। তুলে নেন দুটি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হাই স্কোরিং ম্যাচেও আলো ছড়ান। ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া বুমরাহর করা ১৭তম ওভারে মাত্র ৫ রান নিতে পারে। যার ব্যাটে স্বপ্ন আঁকছিল অজিরা, সেই ট্রাভিস হেডের উইকেটটাও নেন বুমরাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২.৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরাহ। আর ফাইনালের গল্পটা এখনো সবার মনে তাজা হয়েই থাকার কথা। সবমিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ১৫ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছেন বুমরাহ। এমন সাফল্যের রহস্য হিসেবে বলেছেন নিজেকে শান্ত রাখা, ‘আমি শান্ত রাখতে চেষ্টা করি।’ বিশ্বকাপ জয়কে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্ত উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আমার ছেলে, আমার পরিবার আছে এখানে। আমরা এটা অর্জন করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। এর চেয়ে আনন্দের কিছু নেই।’

ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-ইংল্যান্ড

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০১:৫৫ পিএম
ইউরোর কোয়ার্টারে স্পেন-ইংল্যান্ড
ছবি : সংগৃহীত

ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে স্পেন ও ইংল্যান্ড। নবাগত জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেওয়ার রাতেই জুড বেলিংহামের শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টারে জায়গা করে নিয়েছে বাদ পড়তে যাওয়া ইংল্যান্ড।

রবিবার (৩০ জুন) শেষ ষোলোর দিনের প্রথম ম্যাচে স্পেনের গতিময় ফুটবলের কাছে জর্জিয়া বিধ্বস্ত হয়েছে ৪-১ ব্যবধানে হেরে ইউরো থেকে বিদায় নিয়েছে পর্তুগালকে হারানো জর্জিয়া।

যদিও স্পেনের শুরুটা হয়েছিল ১৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে। অথচ গ্রুপ পর্বে কোনো গোলই হজম করতে হয়নি এই স্পেনকে। সেই গোলে জর্জিয়া এগিয়ে গেলেও ম্যাচের ফলাফল এসেছে স্পেনের দিকেই। ৩৯ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফেরানো গোলটি করেন রদ্রি, ৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ফাবিয়ান রুইস, ৭৫ মিনিটে নিকো উইলিয়ামসের গোলের পর চতুর্থ গোলটি করেন দানি ওলমো ৮৩ মিনিটে।

এদিকে, স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার হয়ে চলছিল অতিরিক্ত সময়ের খেলা। তখনও ১-০ গোলে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। প্রায় বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান জুড বেলিংহাম। তার গোলেই সমতায় ফেরে ইংলিশরা।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে জয়সূচক গোল করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প লিখে ইংল্যান্ড পৌঁছে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে।