![ফিলিপসের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, তবুও নিউজিল্যান্ডে চাই ৩৬৯](uploads/2024/03/02/1709373742.NZ-VS-AUS.jpg)
তৃতীয় দিনে বেসিন রিজার্ভের পিচে দলের প্রয়োজনে টানা ১৬ ওভার বল করেন গ্লেন ফিলিপস। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই পার্ট টাইমারের বোলিং তোপেই ধস নামে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং শিবিরে। তার ক্যারিয়ারসেরা পাঁচ শিকারেই ১৬৪ রানে থেমেছে অজিদের দ্বিতীয় ইনিংস। গত দেড় যুগে ঘরের মাঠে কোনো কিউই স্পিনারের সেরা বোলিংও ফিলিপসের দখলে এখন।
দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া দ্রুত অলআউট হলেও স্বাগতিকদের দিয়েছে তারা ৩৬৯ রানের বড় লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টিম সাউদির দল ১১১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ করেছে দিনের খেলা। জিততে দরকার আরও ২৫৮ রান।
জিততে হলে কিউইদের গড়তে হবে রেকর্ড। ঘরের মাঠে তাড়া করতে হবে সর্বোচ্চ রান তারার রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে টেস্ট জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ৩৪৫ রানের লক্ষ্য টপকে গিয়েছিল তারা ১৯৬৯ সালে। আর নিজেদের মাঠে ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ড সর্বোচ্চ ৩২৪ রান তাড়া করে টেস্ট জিতেছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে।
দ্বিতীয় দিন থেকে বেসিন রিজার্ভের সবুজ উইকেট আচরণ বদলে স্পিন সহায়ক হওয়ার পরই ফিলিপসকে আক্রমণে আনেন সাউদি। প্রথম শিকার করেন তিনি উসমান খাজাকে দিয়ে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে মাঠ ছাড়েন খাজা। এরপর নিজের শিকার বানান প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা ক্যামেরুন গ্রিন, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও অ্যালেক্স ক্যারিকে।
ফিলিপসের বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করার পর ৩৬৯ রান তাড়া করতে ৫৯ রানের মধ্যেই সম্যান টম লাথাম, উইল ইয়াং ও কেইন উইলিয়ামসনকে হারায় স্বাগতিকরা। নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেটই নিয়েছেন স্পিনাররা। লায়ন দুটি আর হেড শিকার করেন একটি।
রাচিন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজন মিলে ৫২ রান যোগ করে দিন শেষ করেছেন।