![তৃতীয় দিন শেষে জয়ের স্বপ্ন দেখছে নিউজিল্যান্ড](uploads/2024/03/10/1710059083.NZ-VS-AUS.jpg)
প্রথম দুদিন অস্ট্রেলিয়ার দাপটের পর ক্রাইস্টচার্চে ঘুরে দাঁড়িয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ১৬২ রানে অলআউট করার পর ওজিরা নিশ্চিতভাবেই দেখছিল সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। ব্যাটিংয়ে নেমে পেয়েছিল ৯২ রানের লিডও।
যদিও, চতুর্থ ইনিংসে সেই স্বপ্নটা কঠিন হয়ে গেছে সফরকারীদের জন্য মাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের বোলিংয়ে। ২৭৯ রানের লক্ষ্য তারা করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া পড়েছে এই দুই বোলারের বোলিং তোপে। ৩৪ রান তুলতে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারের উইকেট হারায়ে অস্ট্রেলিয়া। একে একে ফিরে আসেন স্টিভেন স্মিথ, মারনাস লাবুশানে, উসমান খাজা এবং ক্যামেরন গ্রিন।
দিনের বাকি সময়টুকু ট্রাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ পার করে দিলেও ৪ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করা অজিদের এখনও করতে হবে আরও ২০২ রান। হাতে আছে ৬ উইকেট।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে চতুর্থ ইনিংসে ২৮৫ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নিউজিল্যান্ডেরই। জিততে হলে কিউইদের ওই রেকর্ড ভাঙতে না হলেও কাছাকাছি যেতে হবে অস্ট্রেলিয়াকেও।
এর আগে, ২ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার টম লাথাম এবং রাচিন রবীন্দ্র। লাথামের আউটে দলীয় স্কোর দেড়শ পেরোনোর আগে ভাঙে এই জুটি।
কামিন্সের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ১৬৮ বলে ৮টি চারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন লাথাম। লাথাম ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে ড্যারিল মিচেল ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে আসে শতরানের জুটিত।
তবে ৮ রানের ব্যবধানে দুজনকেই ফিরিয়ে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসে অস্ট্রেলিয়া। জস হ্যাজলউডের বলে ৫৮ রানে থাকা মিচেল ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ১২৩ রানের জুটি। রাচিনকে ফেরান অধিনায়ক কামিন্স। ১০টি চারে ১৫৩ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন রাচিন।
২৮৬ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডের ততক্ষণে লিড প্রায় দুইশ ছুঁইছু্ঁই। এরপরও তারা পৌনে তিনশর দিকে গিয়েছে স্কট কুগেলেইনের ৪৯ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও কল্যাণে।
অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে ২৩ রানে শেষ চার উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ৬২ রানে চার উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার প্যাট কামিন্স।