২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবার হারাতে তৃতীয় দিনের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেট। আর অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২০২ রান। চতুর্থ ইনিংস এমন রান পাহাড়সম। বিশেষ করে যখন দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে যায়। কিন্তু এরপরও দমিয়ে রাখা যায়নি অজিদের। অ্যালেক্স ক্যারি ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের জুটি ছিনিয়ে এনেছে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের জয়। ফলে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার (১১ মার্চ) বৃষ্টির বাঁধায় চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হতে এক ঘন্টা দেরি হয়। দিনের খেলা শুরু হওয়ার দ্বিতীয় ওভারেই ট্রাভিস হেডকে বিদায় করেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচলে মার্শের আক্রমণাত্মক জুটি মধ্যাহ্নবিরতি পর্যন্ত ছুঁয়ে ফেলে ৯৪ রান। তখন জয়ের জন্য দরকার ছিল আর ১০৫ রান।
এই জুটি যোগ করে ১৪০ রান। ৮০ রান করা মার্শ ৫৫তম ওভারে দলীয় ২২০ রানে বেন সিয়ার্সের শিকার হন। তাকে বিদায় করার পরের বলেই মিচেল স্টার্ককে উইল ইয়াংয়ের ক্যাচে পরিণত করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সিয়ার্স। তখনও জয়ের জন্য ৫৯ রান প্রয়োজন ছিল অস্ট্রেলিয়ার।
৮ম উইকেটে সেই কঠিন কাজটা ক্যারি করে নেন অধিনায়ক কামিন্সকে সাথে নিয়ে। দুজনের ৬৪ বলে ৬১ রানের জুটিতে নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার জয়। ১২৩ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যারি। জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও। ৪৪ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।