বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হলে শ্রীলঙ্কার কোনো আন্তর্জাতিক খেলা নেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া। তাই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া লঙ্কানদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর আর কোনো সুযোগ ছিল না এই সিরিজ ছাড়া। নইলে অধিনায়ককে ছাড়াই মাঠে নামতে হতো তাদের আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ। তাই কৌশলের অংশ হিসেবেই অবসর ভেঙে টেস্টে ফিরেছেন হাসারাঙ্গা। এমনটাই ভাবা হচ্ছে ক্রিকেট মহলে।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করায় হাসারাঙ্গার নামের পাশে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি গুনেছেন ৫০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা।
নতুন এই তিন ডিমেরিট নিয়ে ২৪ মাসের মধ্যে তার ডিমেরিট সংখ্যা দাঁড়ায় আটে। ফলে এই ডিমেরিট পয়েন্টগুলোর শাস্তি হিসেবে চারটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি অথবা দুইটি টেস্টে নিষেধাজ্ঞা পান হাসারাঙ্গা। এরমধ্যে যে খেলা আগে আসবে সেখানেই শাস্তি কার্যকর হবে।
যেহেতু সাদা বলে আর কোনো খেলা সামনে লঙ্কানদের নেই বিশ্বকাপ ছাড়া তাই এই স্পিনিং অলরাউন্ডারকে ফেরানো হয়েছে টেস্টের অবসর ভেঙে এমনটাই ভাবছেন অনেকে। যাতে করে অবসর ভেঙে ড্রেসিংরুমে বসে দুই টেস্টে না খেলেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেলতে পারেন। আর তাতে করে বিশ্বকাপে মাঠে ন্মা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না লঙ্কান টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শ্রীলঙ্কা। তাদের প্রধান নির্বাচক অজন্তা মেন্ডিস ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘দুই সপ্তাহ আগেই হাসারাঙ্গা আমাদের কাছে টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত হয় তৃতীয় ওয়ানডের আগে।’