![উড়ন্ত আফগানদের সামনে নিউজিল্যান্ড](uploads/2024/06/07/afgan-1717738315.jpg)
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর চলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে গেল ১ জুন, ২০২৪ থেকে মাঠে গড়িয়েছে আইসিসির ছোট সংস্করণের বিশ্ব আসর। সেই ২০০৭ সাল থেকে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের যাত্রা। দেখতে দেখতে ১৭টি বছর এবং আটটি আসর গত হয়েছে। এতগুলো আসরে একবারও ট্রফি ছোঁয়ার স্বাদ নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলটির সেরা সাফল্য ২০২১ সালের সপ্তম আসরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত ওই আসরের ফাইনালে প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে রানার্স আপে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কিউইদের। দলটি কেবল ২০ ওভারের টি-টোয়েন্টিতেই নয়; ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন রঙে কখনোই নিজেদের রাঙাতে পারেনি।
অতীত ইতিহাস, পরিসংখ্যান পাশ কাটিয়ে আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে নামছে নিউজিল্যান্ড। আগামীকাল শনিবার, ৮ জুন ভোরে চলমান টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে তারা। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অত্যন্ত পুরোনো-সুপরিচিতি ভেন্যু গায়ানা ন্যাশনাল স্টেডিয়াম প্রভিডেন্সে এশিয়ার নতুন ক্রিকেট পরাশক্তি আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে দলটি। ভোর সাড়ে ৫টা শুরু হবে ম্যাচটি। নিউজিল্যান্ড-আফগানিস্তান এবারের আসরে ‘গ্রুপ-সি’ থেকে লড়ছে। যেখানে উগান্ডা, পাপুয়া নিউগিনির মতো নতুন দলের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজও রয়েছে। সুদূর ক্যারিবীয় থেকে এবার খালি হাতে ফিরতে চান না কিউই দলপতি কেন উইলিয়ামসন। চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতে আনন্দে দেশে ফিরতে চান!
অবশ্য চ্যাম্পিয়ন হতে হলে প্রতিটি ম্যাচ জিততে হবে- এটা ভালোই জানা নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের। তার আগে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, গুরবাজ, ফারুকীদের নিয়ে গড়া আফগান বাধাকেও প্রথম ম্যাচে টপকাতে হবে। শনিবার সকালে নিউজিল্যান্ড তাদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলেও প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান এরই মধ্যে ক্যারিবীয় দ্বীপপঞ্জে নিজেদের জয়ের ঝাণ্ডা গাড়তে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বকাপের চলমান আসরে প্রথমবার অংশ নেওয়া উগান্ডার বিরুদ্ধে ১২৫ রানের বড় জয় দিয়ে শুরু করেছে রশিদ খানের দল। ম্যাচ জিতে ফুরফুরে মেজাজে আছে আফগান বাহিনী। উগান্ডার বিরুদ্ধে পাওয়া জয় নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে বাড়তি জ্বালানি হিসেবে দেখছেন আফগান বোদ্ধা-সমর্থকরা। কিউইদের বিরুদ্ধেও জয় প্রত্যাশা দলটির।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবশ্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের কোনো ইতিহাস নেই আফগানিস্তানের। বিশ্বকাপে একবার মুখোমুখি হয়ে তাতে পরাজয় বরণ করেছে। ২০২১ বিশ্বকাপে দুবাইয়ের মাটিতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে বিশ্ব মঞ্চে দলটির বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের স্বাদ নেয় নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০২২ সালে আরও একবার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুদল মুখোমুখি হলেও সেবার বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। আজ গায়ানার মাঠে লড়াইয়ের নামার আগে দুবাইয়ের স্মৃতি নিশ্চয়ই বাড়তি প্রেরণা জোগাবে কেন উইলিয়ামসন, ট্রেন্ট বোল্ট, রাচিন রবীন্দ্রদের। তবে পূর্ব পরিসংখ্যান নিয়ে পড়ে থাকার পাত্র নন কিউইরা। মাঠের লড়াইয়ে ভালো খেলে তাতে জয় তুলে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি, পরিকল্পনা আফগান ম্যাচের আগে সেরে রেখেছে দলটি। এখন সেটা গায়ানা মাঠে নেমে প্রমাণের অপেক্ষায় উইলিয়ামসনরা।
নিউজিল্যান্ড শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নয়, ৫০ ওভারের ওয়ানডে ক্রিকেটেও আফগানিস্তানের চেয়ে যোজন এগিয়ে। ওয়ানডেতে দুদল তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। তিনবারই ম্যাচ জয়ের হাসিতে মাঠ ছেড়েছে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে সেখানে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে নিউজিল্যান্ড। ওই সিরিজে নেওয়া প্রস্তুতি এবার কাজে লাগাতে চায় দলটি। গায়ানার মাঠে আজ আফগানদের হারিয়ে জয়ের শতভাগ রেকর্ডটা নিজেদের অধীনে রাখতে চায় নিউজিল্যান্ড।