![আফগানিস্তানের সামনে নাস্তানাবুদ নিউজিল্যান্ড](uploads/2024/06/08/Afghanistan-win-1717814982.jpg)
আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ শুরু হয়েছিল উগান্ডার বিপক্ষে ১২৫ রানের বিশাল ব্যবধানের জয়ে। সেই ধারাটা আফগানরা বজায় রেখেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও। ৮৪ রানের জয়ে সি গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রশিদ খানরা। এই জয়ে সুপার এইটেও এক পা দিয়ে রেখেছে তারা।
শনিবার (৮ জুন) গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে এই দাপুটে জয় পাওয়ার দিনে নিউজিল্যান্ডকে অলআউট করেছে ফারুকী, রশিদ ও নবীরা মাত্র ৭৫ রানে।
শুরুটা ফজলহক ফারুকী করেছিলেন উগান্ডা ম্যাচের মতো প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে। এদিন নিয়েছিলেন প্রথম বলেই, ফিন অ্যালেনকে গোল্ডেন ডাকে বোল্ড করেই বার্তা দিয়ে দেন আজও দাপটা দেখানোর। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। আফগান বোলারদের দাপটে দাঁড়াতেই পারেনি কিউই ব্যাটারদের কেউই। তাদের প্রথম তিন ব্যাটারকেই সাজঘরের পথ ধরান ফারুকী দলীয় ২৮ রানেই। ফিন অ্যালেনের পর ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলকে ফেরান তিনি। তাদের ব্যাটে আসে ৮ ও ৫ রান।
এরপর শুরু হয় রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর স্পিন ঘূর্ণিতে। যা আর ম্যাচে ফিরতে দেয়নি ব্ল্যাকক্যাপসদের। এরপরের ছয় উইকেট শিকার করেন এই দুই স্পিনার। প্রতিপক্ষের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, মার্ক চাপম্যান, মাইকেল ব্রেসওয়েল, লকি ফার্গুসন এই চার ব্যাটারকে ফেরান রশিদ খান। তাদের ব্যাটে আসে ৯, ৪ , ০ এবং ২ রান।
মোহাম্মদ নবী শিকার বানান গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারকে। এই দুইজন করেন ১৮ ও ৪ রান। দুই স্পিনারের ৬ উইকেট শিকারে ৬৩ রানেই ৯ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সবশেষ ম্যাট হেনরির উইকেট নিয়ে রশিদ খানের সমান ৪ উইকেট নিয়ে ৭৫ রানে উইলিয়ামসনদের অলআউট করেন ফারুকী। মোহাম্মদ নবী নেন ২ উইকেট।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১০৩ রানের জুটি গড়েন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীন জাদরান। ম্যাট হেনরির বলে ইব্রাহিম আউট হলেও শেষ ওভার পর্যন্ত মাঠে থেকে শেষদিকে ঝড় তুলে করেন ৫৬ বলে ৮০ রান। তিনি আউট হন বোল্টের বলে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই করেন ১৩ বলে ২২ রান। নবী মাঠে নেমে আউট হন লকি ফার্গুসনের প্রথম বলেই। রানের খাতা খুলতে পারেননি গুলবাদিন নাইবও, বোল্টের বলে। ৬ রান করে রানআউট হন রশিদ খান। করিম জান্নাত ও নাজিবুল্লাহ জাদরান ১ রানে অপরাজিত থাকলে আফগানিস্তান সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৯ রান।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ড ও ম্যাট হেনরি নেন ২টি উইকেট, লকি ফার্গুসন নেন ১ উইকেট। ৫৬ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ।