![আফগানদের হারিয়ে অপরাজেয়ই থাকলো উইন্ডিজ](uploads/2024/06/18/WI-vs-AFG-1718684759.jpg)
আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করে ফেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তান। ‘সি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সেই দুই প্রতিপক্ষই। এমন ম্যাচে ১০৪ রানের বড় জয় পেয়েছে আফগানরা। সুপার এইটের আগে এমন বড় জয় আত্মবিশ্বাস বাড়াবে স্বাগতিক উইন্ডিজদের।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নিকোলাস পুরানের ৯৮ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ২১৮ রান করে উইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি উইন্ডিজের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। চলমান বিশ্বকাপেও এটি সব দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান ১১৪ রানে গুটিয়ে গেলে ১০৪ রানের বিশাল জয় পায় ক্যারিবীয়রা।
এই বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফর্মে থাকা আফগানিস্তাননের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ফিরেছেন প্রথম ওভারেই। আকিল হোসেনের বলে রান এর খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তান তুলতে পারে মাত্র ৪৫ রান। দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে দলীয় ৪৫ রানে। এরপর অষ্টম ওভারে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ইব্রাহিম জাদরান ৩৮ রান করে দলীয় ৫৯ রানে আউট হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় রশিদ খানদের ব্যাটিং লাইনআপ। সবমিলিয়ে দলটি করতে সমর্থ হয় মাত্র ১১৪ রান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লেতেই স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯২ রান। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ। অথচ দলীয় ২২ রানেই ৭ রান করে ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ব্র্যান্ডন কিং। এরপর মূলত শুরু হয় ক্যারিবীয়দের তাণ্ডবের। চতুর্থ ওভারে আফগান ওমরজাইয়ের এক ওভারেই চার-ছয় এবং অতিরিক্ত রানসহ ৩৬ রান তোলেন পুরান।
পুরানকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া ওপেনার জনসন চার্লস ২৭ বলে ৪৩ রান করে আউট হন ইনিংসের অষ্টম ওভারে। শেষ চার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ডে যোগ হয় ৭০ রান। মূলত এই ঝড়টা তোলেন পুরান।
৮ ছক্কায় ৫৩ বলে ৯৮ রান করে ইনিংসের শেষ ওভারে রানআউট হয়েছেন পুরান। এই ইনিংস খেলার পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে পুরানের ছক্কা এখন ১২৮টি। এর আগে ১২৪ ছক্কা নিয়ে শীর্ষে ছিলেন ক্রিস গেইল। এছাড়া স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫০০ ছক্কার ক্লাবে পৌঁছেছেন পুরান। তার বর্তমান ছক্কার সংখ্যা ৫০২। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১০৫৬টি ছক্কা আছে গেইলের।