ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

আফগানদের অনিন্দ্যসুন্দর ইতিহাস

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
আফগানদের অনিন্দ্যসুন্দর ইতিহাস
ছবি : সংগৃহীত

সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে তখন গভীর রাত। আফগানিস্তানে সকাল। গতকাল মঙ্গলবারের সকালটা নিশ্চিতভাবেই আফগানদের জন্য অন্য দশটা সকালের মতো ছিল না। বাংলাদেশকে হারিয়ে কিংসটাউনে ফ্লাডলাইটের আলোর রোশনাইয়ের নিচে নীল জার্সির রশিদ খানরা যখন আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠলেন, কেমন ছিল তখন কাবুল, জালালাবাদ, কান্দাহার, গাজনির চিত্র? নিশ্চিতভাবেই প্রশান্তির ফল্গুধারা বয়ে যাচ্ছিল প্রতিটি আফগানের মনে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান। একটা সময় যে দেশের মানুষদের জন্য গোলার আওয়াজ আর বারুদের গন্ধই ছিল নিত্যসঙ্গী। সেই দেশই বেশ কিছুদিন ধরে ক্রিকেটের মাধ্যমে নিজেদের নতুনভাবে চিনিয়ে যাচ্ছে। তাদের রশিদ খান তো এখন বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের একজন। দল হিসেবেও আফগানরা পিছিয়ে কোথায়! এবারের টি-টোয়েন্টি সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দলটি। আপাতত দলটাকে বিশ্বের সেরা চার দলের একটি বললে দোষের কি! এমনকি এবারের প্রতিযোগিতায় এখন পর্যন্ত দলটির যা পারফরম্যান্স, তাতে ফাইনাল বা এর চেয়েও বড় কিছুও হয়তো অসম্ভব কিছু নয়।

সাদা বলে আফগানিস্তানকে বরাবরই বিপজ্জনক দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রশিদ খান ছাড়াও মোহাম্মদ নবি, রহমানউল্লাহ গুরবাজের মতো ভয়ডরহীন ক্রিকেটারে ভরপুর দলটি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাদেরকে সমীহ করছিল সবাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত যে গল্প লিখেছে দলটি, তা সবার কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে বলতে হবে। প্রথম রাউন্ডে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দলটির স্বপ্নযাত্রার শুরু। সুপার এইট পর্বে সাবেক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে থমকে দেয় দলটি। সবশেষ গতকাল রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে বাংলাদেশকে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। অথচ ১৬ বছর আগেও দেশটি খেলত আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড ডিভিশন ফাইভে। ২০১০ সালে এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই দলটির বিশ্বমঞ্চে প্রথম পা রাখা। এরপর প্রতিটি আসরেই অংশ নেওয়া এবং ১৪ বছরের ব্যবধানে ফাইনালের মঞ্চে পা রাখার অন্যতম দাবিদার দলটি। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল সকাল সাড়ে ৬টায় প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগানরা। চোকার্স খ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকাকে বলা হয় সেমিফাইনালের দল। টুর্নামেন্টজুড়েই তারা ভালো খেলবে। এবারও যেমন খেলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে গিয়ে হতাশ করবে। এবারও যদি আইডেন মার্করামরা এই ধারা ধরে রাখে, তাহলে তো আফগান রূপকথা নেবে অন্যরূপ।

সেটা হবে কি না তা বলবে সময়। তবে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান বিশ্বকাপে ক্রিকেটের যে আল্পনা এঁকেছে, তাকে অনিন্দ্যসুন্দর বলতেই হবে। বাংলাদেশ ম্যাচটাই ধরা যাক না। সেমিফাইনাল খেলতে হলে জিততেই হতো দলটাকে। কিন্তু এমন ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি। এই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশের সামনেও সুযোগ ছিল সেমিফাইনালে যাওয়ার। এজন্য নির্দিষ্ট সমীকরণ মেলাতে হতো। জিততে হবে ১২.১ ওভারে। বাংলাদেশ তো সেটা পারেইনি, পরে বৃষ্টিতে ১ ওভার কমে আসা ম্যাচে ৮ রানে (ডিএলএস ম্যাথডে) হেরে গেছে দলটি। তাতে শুধু বাংলাদেশ নয়, একই সঙ্গে সুপার এইট পর্ব থেকে বিদায় ঘটেছে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়ারও।

স্কোরবোর্ডে পুঁজি অল্প হলেও মোটেও নিজেদের প্রতি বিশ্বাস হারায়নি আফগানিস্তান। এটাই আসলে এই দলটার শক্তি। সেমিফাইনালে ওঠার পর অধিনায়ক রশিদ যেমন বলেছেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা সবকিছু স্বাভাবিক রেখেছি। হ্যাঁ, কঠিন সময় এসেছে। তবে আমরা নিজেদের হতাশ করিনি এবং সবসময় শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।’ যে চেষ্টায় বিশ্ব দেখল আফগানদের নতুন রূপকথা। রশিদ যে অর্জনের অনুভূতি প্রকাশ করতে ভাষাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না, ‘আমি আসলে জানি না, কীভাবে অনুভূতি প্রকাশ করব। সেমিফাইনালে ওঠা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। এখনো পর্যন্ত যেভাবে পুরো টুর্নামেন্টে আমরা খেলেছি, আমার মতে সেমিফাইনালে খেলাটা আমাদের প্রাপ্যই।’

রশিদের এই কথায় নিশ্চয়ই দ্বিমত করবে না কেউ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আরও বড় কীর্তি কি হবে? দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারবে আফগানরা? রশিদ বলছেন, ‘এখন আমাদের স্বচ্ছ ভাবনা নিয়ে যেতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরা যা করেছি, যেসব বিষয় আমাদের পক্ষে কাজ করেছে, সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে হবে। আমরা যেন বড় উপলক্ষটি উপভোগ করি, তা নিশ্চিত করতে হবে।’

রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বিরাট কোহলি। শিরোপা উদযাপন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানান অবসরের সিদ্ধান্তের কথা। পুরোপুরি একদিন না পেরোতেই এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের আরেক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।

রবিবার (৩০ জুন) ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন জাদেজা। ভারতের হয়ে ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৭৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

অবসর বার্তায় জাদেজা লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞ হৃদয়ে আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাচ্ছি। গৌরবের সঙ্গে দ্রুতবেগে ছুটে চলা ঘোড়ার মতো আমি সব সময়ই দেশের জন্য সেরাটা দিয়েছি এবং অন্যান্য সংস্করণে সেটা করে যাব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সব স্মৃতি, উল্লাস আর বিরামহীন সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’

নিজের শেষ বিশ্বকাপটায় খুব একটা ভালো করতে পারেননি জাদেজা। সবমিলিয়ে ৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ৩৫ রান। বল হাতেও ছিলেন সাদামাটা। শিকার করেছেন মাত্র ১টি উইকেট।

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে ৪১ ইনিংসে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন জাদেজা। আর ৭১ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ৭.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট।

উইকেটের বালু খেয়ে রোহিতের অন্যরকম উদযাপন

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
উইকেটের বালু খেয়ে রোহিতের অন্যরকম উদযাপন
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসি শিরোপার খরা কাটানো এবং ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর বাঁধাভাঙা আবেগের জোয়ার দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের উল্লাসে। আনন্দের দিনে অশ্রুসিক্ত হয়েছিলেন দলের ক্রিকেটাররা। এসবের মাঝে ভিন্ন এক উদযাপন করতে দেখা গেছে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। পিচের মাটি আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে পুরে নিয়েছিলেন মুখে।

এখন পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা রোহিত শর্মা ২০০৭ সালের আসরের পর জিতলেন ২০২৪ আসরও। এর আগেরবার ছিলেন দলের সাধারণ সদস্য আর এবার জিতলেন অধিনায়ক হিসেবে। জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে দিলেন এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণাও।

পিচের ওপর বসে বালু মুখে নিয়ে রোহিতের এমন উদযাপন সম্ভবত এটাই প্রমাণ করে যে এই শিরোপা ঠিক কতটা আরাধ্য ছিল ভারতের অধিনায়কের কাছে। যেই উইকেটে খেলে শিরোপা ধরা দিয়েছে সেই উইকেটকে যেন পরম মমতায় নিজের ভেতর পুষে রাখলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিতকে কেউ এমন উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন না করলেও আইসিসির প্রকাশিত ভিডিও নজর করেছে ভারত তথা সকল ক্রিকেট সমর্থকদের। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া রোহিত শিরোপা জয় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এটা খুব করে চেয়েছি। ওই মুহূর্তটার কথা ভাষায় প্রকাশ করা খুব কঠিন। আমি তখন কী ভাবছিলাম, সেটা বলতে চাই না। আমি বলতে চাই না, তখন আমার মনের মধ্যে কী চলছিল। কিন্তু আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এটা খুব আবেগের মুহূর্ত ছিল।’

‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার’

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার’
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ১৬ বছর। কিন্তু কখনোই বিশ্বকাপ জেতা হয়নি রাহুল দ্রাবিড়ের। খেলোয়াড়ি জীবনে একমাত্র অর্জন ছিল ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেটিও আবার একক শিরোপা ছিল না। বৃষ্টিতে ফাইনাল নির্ধারিত দিনে শেষ হতে পারেনি। রিজার্ভ ডেতেও খেলা সম্পন্ন না হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়। যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে।

কোচ হিসেবে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২০১৮ আসরের শিরোপা জেতাতে পারলেও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তার অধীনেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাঠে হেরেছিল ভারত। এবার তার অধীনেই ১১ বছর ধরে চলা আইসিসি শিরোপার খরা কাটাল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত শর্মারা। এই সংস্করণের শিরোপা আবার ভারতের ঘরে এসেছে ১৭ বছর পর। কোচ হিসেবে শেষ অ্যাসাইনমেন্টে ভারতকে শিরোপা জিতিয়ে গর্বিত রাহুল অনুভূতি জানাতে গিয়ে মজা করে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার।’

রাহুল আরও বলেন, ‘শেষ কয়েক ঘণ্টায় আমি শব্দ সংকটে পড়ে গেছি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, দল নিয়ে আমার এরচেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার নেই। এমনকি আজ এটা দারুণ প্রমাণ। দলের প্রথম ছয় ওভারে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও, এরপরও এমন একটা অবস্থানে যাওয়া, ছেলেরা লড়াই চালিয়ে গেছে, বিশ্বাস করে গেছে।’

এই দ্রাবিড়ই অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যেখানে বাংলাদেশের কাছে হেরে তাদেরকে বাদ পড়তে হয়েছিল আসরের শিরোপা অন্যতম দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও। সেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই দ্রাবিড় আইসিসির বৈশ্বিক আসরের শিরোপা জেতার স্বাদ পেলেন কোচ হিসেবে। অতীতের ব্যর্থতার চেয়ে ভবিষ্যৎ সাফল্যে বেশি নজর রাহুলের, ‘দায়মোচনের কিছুই নেই। আমি এমন ব্যক্তি নই যে কিনা এসবে বিশ্বাস করে। আরও অনেক খেলোয়াড় ছিলেন যারা শিরোপা জিততে সমর্থ হননি।’

সেপ্টেম্বর ২০২১ ভারতের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে শুরু হওয়া দ্রাবিড়ের যাত্রার সমাপ্তি হলো বার্বাডোসে দলকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর প্রচেষ্টায় সফল হয়ে। এ নিয়ে ভারতের কোচ বলেন, ‘এটি দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে চলা একটি সফর, এটি শুধুমাত্র ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফর নয়। দলকে তৈরি করা, যে ধরণের দক্ষতা ও খেলোয়াড় আমরা চাচ্ছিলাম তার আলোচনা শুরু হয়েছিল যখন আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম কোচ হিসেবে।’

কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া দ্রাবিড় কোচিং ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা অভূতপূর্ব, এই ড্রেসিংরুমের অংশ হতে পারা খুবই দারুণ ব্যাপার। সারাজীবনে মনে রাখার মতো স্মৃতি আমার জন্য। তাই আমি দলের সকল খেলোয়াড় ও স্টাফদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যারা এটিকে সম্ভব করে তুলেছে।’

কোহলির পর বিদায় বললেন রোহিতও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
কোহলির পর বিদায় বললেন রোহিতও
ছবি : সংগৃহীত

ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার নিতে এসে বিরাট কোহলি জানালেন তিনি অবসর নিচ্ছেন এই ফরম্যাট থেকে। এর কিছুক্ষণ বাদে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানালেন কোহলির পথে হেঁটে তিনিও বিদায় জানাচ্ছেন এই ফরম্যাটকে।

সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণায় রোহিত বলেন, ‘এটা আমারও শেষ টি-টোয়েন্টি ছিল। এই সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই সংস্করণ দিয়েই ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। এটাই চেয়েছিলাম, ট্রফিটা জিততে চেয়েছিলাম।’

ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা জেতানো রোহিত শর্মা নিজেকে আগেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন এই সংস্করণে। ৪২৩১ রান নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও করেছেন রোহিত।

সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে ২৫৭ রান করে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ রান সংগ্রাহকও। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব সংস্করণেই তিনি খেলেছেন। ১২২০ রান করে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বাধিক রান তারই নামের পাশে। আর সর্বোচ্চ ১২৯২ রান করেছেন বিরাট কোহলি।

বিরাট ও রোহিত ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেননি। এই বিশ্বকাপে দলে ফিরে দলকে শিরোপা জিতলেন এবং নিজেদেরও পরিপূর্ণ করে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায়।

মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ছবি : সংগৃহীত

ঊরুর চোটে মেসির বিশ্রাম কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনার জয়ে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনিও। এরপরও লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে পেরুরু বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।

আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই জয়ে ৩ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯

রবিবার (৩০ জুন) ভোরে ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে একাদশে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি আর্জেন্টিনার। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দলটির হয়ে আক্রমণে যান আলেহান্দ্রো গারনাচো।

গোলের দেখা পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা বারবার পেরুরু আক্রমণভাগে প্রবেশ করলেও তাদের ঠিকই রুখে দিচ্ছিল দলটির রক্ষণভাগ।

এসবের মাঝেই ২৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু লিয়ান্দ্রো পারাদেসের ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গায়াসি। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা পেরুও পায়নি গোলের দেখা। দুয়েকটি সুযোগ প্রতি আক্রমণ থেকে তৈরি করলেও ব্যর্থ হয় গোল আদায় করতে। আরেকবার গোলের সুযোগ পেয়েও আদায় করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। ৪৪ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর নেওয়া শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক গায়াসি।

প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র থাকার পর বিরতির পর মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। এরপর ৬৯ মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেয় পেরু। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পারেদেস। গোলরক্ষক ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেও পারেদেসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। 

ম্যাচের শেষদিকে ৮৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এবারও গোল করেন মার্টিনেজ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো দল গোল না পেলে ২–০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।