ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

সহজ ডটকমের পিয়নের নেতৃত্বে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, গ্রেপ্তার ৯

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
সহজ ডটকমের পিয়নের নেতৃত্বে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি, গ্রেপ্তার ৯
ছবি : সংগৃহীত

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের অন্যতম হোতা সহজ ডটকমের পিয়ন মো. মিজান ঢালী ও সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে যৌথভাবে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই)।

গত বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কমলাপুর ও সবুজবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৩। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. মিজান ঢালী (৪৮), নিউটন বিশ্বাস (৪০), মো. সোহেল ঢালী (৩০), মো. সুমন (৩৯), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৯), মো. শাহজালাল হোসেন (৪২), মো. রাসেল (২৪), মো. জয়নাল আবেদীন (৪৬) ও মো. সবুর হাওলাদার (৪০)।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাব জানায়, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে কালোবাজারির আলামত এবং অবৈধভাবে সংগ্রহ ও মজুত করা বিপুলসংখ্যক ট্রেনের টিকিট। ২০০৩ সালে কমলাপুর রেলস্টেশন শাখায় পিয়ন হিসেবে যোগ দেন মিজান ঢালী। পরে রেলওয়ে সিএনএস বিডির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে, অভিজ্ঞ কর্মী হিসেবে তাকে চাকরিতে বহাল রাখা হয়। সবশেষ ২০২০ সালে রেলওয়ে টিকিটের চুক্তি সহজকে দেওয়া হলে সেখানেও মিজানের চাকরি বহাল থাকে। অন্যদিকে নিউটন বিশ্বাস ২০১২ থেকে স্টেশন সাপোর্ট কর্মী হিসেবে কাজ করতেন, ২০১৬ সালে সিএনএস বিডিতে যোগদান করে সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পান। ২০২০ সালে সহজের সঙ্গে চুক্তি হলে তার চাকরি বহাল থাকে এবং পুনরায় সার্ভার অপারেটরের দায়িত্ব পান নিউটন। মিজান ও নিউটন দীর্ঘদিন ধরে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত।

কমান্ডার মঈন বলেন, ‘দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূল হোতা মিজানের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় সব ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল। মিজান দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ের টিকিট বুকিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকায় দেশব্যাপী বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের অফিসে এবং বড় স্টেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে তার পরিচিতি বাড়ে। সেই সূত্র ধরেই সে বিভিন্ন স্টেশনে থাকা সহজ ডটকমের সদস্য, টিকিট কাউন্টার ও অন্য কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের সমন্বয়ে বিপুল পরিমাণ টিকিট বিক্রি করত।’ 

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘সহজ ডটকমের কমলাপুর রেলস্টেশনের সার্ভার অপারেটর গ্রেপ্তার নিউটন বিশ্বাস, স্টেশন রিপ্রেজেন্টেটিভ গ্রেপ্তার সবুর হাওলাদারসহ এবং পলাতক আব্দুল মোত্তালিব, আশিকুর রহমানসহ আরও কয়েকজন টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার মিজান ও সোহেল প্রতিবছর ঈদ মৌসুমে বিভিন্ন স্টেশনের সহজ ডটকমের কর্মচারী ও টিকিট কাউন্টারম্যানদের মাধ্যমে প্রায় ২-৩ হাজার টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রি করত। তারা আসন্ন ঈদুল ফিতরে আগের চাইতেও বেশিসংখ্যক টিকিট সংগ্রহের পরিকল্পনা করছিল।

তিনি বলেন, আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে স্বীকারোক্তিসহ বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। কালোবাজারে টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দুই ভাগে বিভক্ত করে ৫০ ভাগ সহজ ডটকম ও রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারম্যানরা পেত এবং বাকি অংশ সিন্ডিকেটের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নিত। এভাবে টিকিট বিক্রি করে প্রত্যেকে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা আয় করত তারা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান র‌্যাবের এই কর্মকতা।

খাজা/এমএ/

২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ : মামলা থেকে নাম মুছতে সাবেক ডিসির ঘষামাজা

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ : মামলা থেকে নাম মুছতে সাবেক ডিসির ঘষামাজা
সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণের ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করে নিজের নাম কেটে দিয়েছিলেন প্রধান আসামি সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন। এ ঘটনায় তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার তাকে সহায়তা করার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত সোমবার (১ জুলাই) কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে এই দুই কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে  প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, হুলিয়া ও ক্রোক-পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি। 

বিশেষ জজ আদালতের নাজির মো. বেদারুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী নামে মাতারবাড়ীর এক বাসিন্দা কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত দুদককে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলা হওয়ার পর এক নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।

দুদকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, আদালতের রেজিস্টারে লিপিবদ্ধের সময় দরখাস্তে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জন আসামি ছিলেন। পরে তিনটি পৃষ্ঠা পরিবর্তন করে রুহুল আমিনকে বাদ দিয়ে দুই নম্বর আসামি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাফর আলমকে এক নম্বর আসামি করা হয়। আসামি ২৮ জনের জায়গায় ২৭ জন করা হয়। এসব করার সময় বাদীর জাল স্বাক্ষর দেওয়া হয়। পুরো নথিতে কাটাছেঁড়া ও লেখায় ঘষামাজা করে দুদকে পাঠানো হয়। 

দুদক কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুর রহিম জানান, জালিয়াতির ঘটনা জানতে পেরে কয়েক দিন পর একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক গত সোমবার আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার নথি জালিয়াতিতে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা দুইজন হলেন দুদকের কক্সবাজার আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবদুর রহিম ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম শাহ হাবিবুর রহমান।

দুদক ও আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ীতে তাপভিত্তিক কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে চিংড়িঘের, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে চিংড়ি চাষে ক্ষতিপূরণের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ থেকেই ২৫টি চিংড়িঘের দেখিয়ে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়। 

এ ছাড়া ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়। 

২০১৭ সালের ২২ মে দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন করে বরখাস্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এর আগে, একই মামলায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলও) সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী নুর মোহাম্মদ সিকদারকে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলাটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/সালমান/

মেয়ের পরকীয়ার জেরে খুন সাবেক এমপির স্ত্রী

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
মেয়ের পরকীয়ার জেরে খুন সাবেক এমপির স্ত্রী
হত্যাকাণ্ডের শিকার সেলিনা খান মজলিশ-সুবল কুমার রায়-সেলিনা খানের মেয়ে শামীমা খান মজলিশ পপি (ডানে)।

হত্যাকাণ্ডের ১৩ বছর পর সাভারের সংসদ সদস্য ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত সামসুদ্দোহা খান মজলিশের স্ত্রী সেলিনা খান মজলিশ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাবেক এমপির বাসার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সুবল কুমার রায় (৫০), এমপিকন্যা শামীমা খান মজলিশ ওরফে পপি (৫৭) ও গৃহকর্মী আরতি সরকার (৬০)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার। 

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিনে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় মামলার তদন্তকাজ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মামলা পুনরুজ্জীবিত করতে নির্দেশনা আসে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিশের পাশাপাশি বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের মধ্যে রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে, ওই বাসায় কারা কারা আসতেন। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতেন। কিন্তু বহুদিন ধরে তার ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে সাভারে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে পাশেই তার একটি বড় মুদি দোকানও আছে।’

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমরা তদন্তকালে যেসব তথ্য জানতে পারি, তার মধ্যে বাসার সুইচ বোর্ডটি ভাঙা এবং সেখান থেকে দুটি তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে এসেছিল। এরপর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবলকে নিয়ে আসি। সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দোহা খান মজলিশ তাকে পছন্দ করতেন। তাই আসামি সুবল মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন। বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজও করে দিতেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সুবল খান মজলিশের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসামি সুবল গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশের (৬৩) বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিশ তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি নিয়মিত যাতায়াতের একপর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিশের স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল ও শামীমা খান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে সুবলকে মারধর ও অপমান করা হলে তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে আর ওই বাসায় যেতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।’

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে, সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশ ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান সুবল চুপি চুপি তার বাড়ির দিকে আসছেন। সুবলকে দেখে তিনি চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন আসামি সুবল ও শামীমা মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য মেয়ে শামীমা খান মজলিশ তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোঁচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যাননি জীবিত আছেন। তখন আসামি সুবল ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দুটি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় ইলেকট্রিক শক দেন এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন।’

পিবিআইয়ের প্রধান আরও বলেন, ‘জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৪ জুন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পাশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিমকে তার প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরোনো পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দুটি বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে এবং ঘাড়ের নিচে তোশক দিয়ে শুইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন আসামিরা।’

মাগুরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
মাগুরায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরা শহরের পূর্ব দোয়ারপাড় এলাকা থেকে তীর্থ রুদ্র (২১) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে আল-আমীন ট্রাস্ট পূর্ব পুকুরপাড় থেকে লশাটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত তীর্থ রুদ্র মাগুরা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নিমাই রুদ্রের ছেলে। চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল সে। 

পুলিশ জানায়, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল খবরের কাগজকে বলেন, স্থানীয়রা সকালে পুকুরপাড়ে এক যুবকের লাশ দেখে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। পরে পিবিআই ও সিআইডির তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। 

ওসি জানান, তার বাড়ি শহরের পুরাতন বাজার এলাকায়। সে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল বলে তার পরিবার জানিয়েছে। রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। নিহতের গলা, মাথা, শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কাশেমুর রহমান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

সাক্ষীর অনুপস্থিতি ও বৈরী সাক্ষ্যে খালাস পাচ্ছে দুর্ধর্ষ আসামিরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
সাক্ষীর অনুপস্থিতি ও বৈরী সাক্ষ্যে খালাস পাচ্ছে দুর্ধর্ষ আসামিরা
প্রতীকী ছবি

২০০৫ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার শাজাহানপুর ফুটওভার ব্রিজের নিচ থেকে স্থানীয় জনগণ একটি ব্যাগসহ শংকর চন্দ্র দেবনাথ ও জাকির হোসেন নামের দুজনকে আটক করে। তাদের ব্যাগে পাওয়া যায় একটি বালকের কাটা মাথা। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৬ সালের মার্চে ওই বালককে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শংকর ও জাকির হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিচারিক আদালত। এরপর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় যেসব পুলিশকে সাক্ষী করা হয়েছিল তারা কেউ সাক্ষ্য দিতে আসেননি।

সে সময়ে আইনজীবী শিশির মনির জানান, সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে না আসায় দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে পুলিশ কেন সাক্ষ্য দিতে এল না, সে জন্য তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, হত্যার শিকার ওই বালকটি গাজীপুর ভাওয়াল শালবনের ছিন্নমূল শিশু। তাকে কেন হত্যা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি পুলিশি তদন্তে।

পাঁচ বছর আগে হিযবুত তাহরীরের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক মহিউদ্দিনসহ চারজনকে একটি মামলায় বেকসুর খালাস দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা ওই মামলাটির রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর আপিল করা হবে বলে সেই সময় জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আজ পর্যন্ত সেই মামলায় কোনো আপিল দায়ের হয়নি। 

শুধু এটিই নয়, সন্ত্রাসবিরোধী দমন আইনের ৮৬ শতাংশ মামলায় আসামিরা খালাস পেয়ে গেলেও পরবর্তী আর কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়নি রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়নি একটি মামলায়ও।

একইভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর দায়ের করা ওই মামলায় আইসিটি ও পাবলিক পরীক্ষা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ১২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক আইনে দুটি আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা। সম্প্রতি আইসিটি আইনের অভিযোগ থেকে সব আসামিকে খালাস দেন আদালত।

কারণ হিসেবে আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। মাত্র একজন সাক্ষী আদালতে হাজির হলেও তিনি বৈরী (অপরাধীদের পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়া) সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পুলিশের একাধিক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা খবরের কাগজকে জানান, সাক্ষীর অনুপস্থিতি ও বৈরী সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে অসংখ্য মামলা থেকে সাধারণ থেকে দুর্ধর্ষ আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলার তদন্তে ত্রুটি, যথাযথভাবে সাক্ষীদের ব্রিফ না করা, বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, সাক্ষীদের সাক্ষ্য দিতে অনীহা এবং আসামিপক্ষ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়েও অনেক সাক্ষী বৈরী সাক্ষ্য দিচ্ছেন। আবার মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারণে অনেক সাক্ষী মারা যান, অনেকেই দূরে বসবাস করার কারণে সাক্ষ্য দিতে আসতে চান না। পুলিশের সাক্ষীদেরও একই অবস্থা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য বলছে, সাক্ষীর জন্য সমন জারি করার পরও আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার হার মাত্র ৩৬ দশমিক শতাংশ। বাকি ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না।

বৈরী সাক্ষীর কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা জানান, বৈরী সাক্ষ্য দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রকৃত সাক্ষী উপস্থিত না থাকা। তখন বানানো সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। পুলিশ কর্মকর্তারা অনেক সময় যে কাজটি করেন তা হলো- উদ্ধারজনিত মামলা করার সময় সাদা কাগজে সাক্ষীদের স্বাক্ষর নেন। ফলে সাক্ষী হয় আদালতে অনুপস্থিত থাকেন অথবা বৈরী সাক্ষ্য দেন।

ঢাকার আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আনোয়ারুল কবির বাবুল খবরের কাগজকে বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা, ভাসমান লোককে সাক্ষী করা, সাক্ষীর যাতায়াত বা অন্যান্য খরচ বহন না করা ও সাক্ষীকে সমন জারির নোটিশ না পৌঁছানোর কারণে সাক্ষীরা মূলত আদালতে হাজির হতে পারেন না। এ ছাড়া অর্থ দিয়ে আসামিপক্ষ সাক্ষীকে ম্যানেজ করার কারণে বৈরী সাক্ষ্য দিয়ে থাকেন। ফলে দীর্ঘদিন এভাবে একটি মামলা চলতে থাকলে সাক্ষীর অনুপস্থিতির কারণে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। তাই এসব বিষয়ে পুলিশ সদস্যকে আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই যথাযথ সাক্ষীকে হাজির করা সম্ভব হবে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, সর্বশেষ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় জারি করা সমনের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ সাক্ষীর আদালতে হাজির থাকার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। একই সঙ্গে প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে জারি করা সমনের কত ভাগ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, সেই তথ্য উপস্থাপনের জন্য ডিসি প্রসিকিউশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, সাক্ষী হাজির করা খুবই কঠিন একটি কাজ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সাক্ষী অসুস্থ, বয়স্ক, পঙ্গু ও অনেকে মারাও যান। ধরুন, একটি লোকের বাড়ি লালমনিরহাট, তিনি যদি অসুস্থ থাকেন, তবে তাকে আদালতে হাজির করা খুবই কঠিন কাজ।

তিনি বলেন, ‘সাক্ষীদের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সমস্যা হলো তিনি যে সাক্ষী দিতে আদালতে আসবেন সেই খরচ তার কাছে থাকে না। এ ক্ষেত্রে অনেক মামলায় আমরা নিজের টাকা খরচ করে সাক্ষীকে হাজির করেছি, এমনও নজির রয়েছে।’

খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘সাক্ষী হাজিরের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। এ নিয়ে আমাদের সব সময় প্রচেষ্টা ছিল, থাকবে।’

কলকাতায় চুরি হওয়া আইফোন কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:৫৪ পিএম
কলকাতায় চুরি হওয়া আইফোন কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেনিয়াপুকুর থেকে হারিয়ে যাওয়া মৌটুসী গাঙ্গুলি নামে একজনের ব্যবহৃত ১৩ সিরিজের একটি আইফোন ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে ডিএমপির শাহজাহানপুর থানা পুলিশ।

রবিবার (৩০ জুন) ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

শাহজাহানপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ২০২৩ সালের জুলাই মাসের ২৬ তারিখ কলকাতার বেনিয়াপুকুর থানা এলাকা থেকে হারিয়ে যায় মৌটুসী গাঙ্গুলির ব্যবহৃত এই আইফোনটি। পরে বেনিয়াপুকুর থানায় মৌটুসী গাঙ্গুলির হয়ে জিডি করেন তার মেয়ে অস্মিতা গাঙ্গুলী।

পরবর্তীতে অস্মিতা গাঙ্গুলী ভারত থেকেই আইফোনের বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারেন, তার মায়ের মোবাইলের বর্তমান লোকেশন বাংলাদেশ। তখন থেকেই তিনি হন্যে হয়ে খোঁজ করতে থাকেন কীভাবে তার মায়ের মোবাইলফোনটি উদ্ধার করা যায়। পরে ইন্টারনেট ঘেটে খুঁজতে থাকেন উপায়।

একপর্যায়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানতে পারেন- বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহজাহানপুর থানায় কর্মরত এসআই মিলটন কুমার দেব দাস হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে অত্যন্ত দক্ষ এবং তার কর্মদক্ষতায় এই পর্যন্ত অগণিত হারানো মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। তখন তিনি কলকাতা পুলিশের পরামর্শে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার জিডির একটি কপি জমা দেন। 

পরবর্তীতে তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে শাহজাহানপুর থানার এসআই মিলটন কুমার দেব দাসের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেওয়া জিডি’র একটি কপি তাকে পাঠিয়ে দেন। পরে তাকে বিস্তারিত জানিয়ে মোবাইলটি উদ্ধার করে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

এর পর থেকেই অস্মিতা গাঙ্গুলী নিয়মিত এসআই মিলটন কুমার দেব দাস-এর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা চালিয়ে যান।

পরে এসআই মিলটন কুমার দেব দাস ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তাদের পরামর্শে অস্মিতা গাঙ্গুলীর মায়ের হারিয়ে যাওয়া আইফোন উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে সন্ধান মেলে কাঙ্খিত সেই মোবাইল ফোনের।

প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে হারিয়ে যাওয়া আইফোনটি কীভাবে বাংলাদেশে এলো? এ নিয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।

অমিয়/