ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

স্ত্রী ও মেয়েসহ বেনজীরের বিও হিসাব ফ্রিজ

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ০৭:৫৭ পিএম
স্ত্রী ও মেয়েসহ বেনজীরের বিও হিসাব ফ্রিজ
বেনজীর আহমেদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী জিশান মির্জা ও ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের পুঁজিবাজারের সব হিসাব ও শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) রাখার নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

গতকাল সোমবার (২৭ মে) পুঁজিবাজারের শেয়ার সংরক্ষণ কেন্দ্র সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) তাদের নামে সব বিও হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। এর ফলে ওই হিসাবগুলোতে কোনো অর্থ জমা করা যাবে না বা কোনো অবস্থাতেই অর্থ তোলা যাবে না।

এ ছাড়া সোমবার এ-সংক্রান্ত আদালতের নির্দেশ বিএসইসি থেকে সিডিবিএলে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের তিনজনের মোট ছয়টি হিসাব রয়েছে পুঁজিবাজারে।

জানা গেছে, আইএফআইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের বিও হিসাব রয়েছে। এ ছাড়া সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব রয়েছে।

বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের সংশ্লিষ্ট আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ৫টি ব্রোকারেজ হাউসে ৬টি বিও হিসাব পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। ওই হিসাবগুলোর ওপর অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় সেগুলো থেকে কোনো অবস্থাতেই অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।

পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার নামে অধ্যক্ষের প্রতারণা!

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
পরীক্ষায় সুযোগ দেওয়ার নামে অধ্যক্ষের প্রতারণা!
ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ

টেস্ট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ছয় শিক্ষার্থীকে মূল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাসে প্রায় চার লাখ টাকা নিয়েছিলেন ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবির। 

তবে রবিবার (৩০ জুন) এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও ওই শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য টেস্ট পরীক্ষায় অংশ নেয় ওই শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে কেউ একাধিক আর কেউ এক বিষয়ে পাস করতে পারেনি। সে কারণে নিয়মানুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের ফরম ফিলাপ করেনি। পরে একজন শিক্ষকের পরামর্শে তারা ঢাকা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি তাদের জনপ্রতি ৬৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বোর্ডের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পরীক্ষার আগের দিন পর্যন্ত অভিভাবকরা প্রবেশপত্রের জন্য যোগাযোগ করলেও আলমগীর কবির সাড়া দেননি।

পরীক্ষার্থী ইফতেখার হোসেন রিজভীর অভিভাবক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার ছেলে গণিতে ফেল করেছিল। রেজা স্যারের কথা অনুযায়ী আমরা এখানে এলে প্রিন্সিপাল বলেন তিনি সব করে দেবেন। ৬৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। আমি অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে দিয়েছি। কিন্তু এখন তো আমার ছেলে পরীক্ষা দিতে পারল না। প্রিন্সিপালও ফোন ধরেন না। কলেজে গিয়েও কাউকে পাইনি।’

আরেক অভিভাবক শাহীরুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি অধ্যক্ষকে ক্যাশ এবং বিকাশের মাধ্যমে ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমার চাচাতো ভাই পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি।’

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ আলমগীর কবিরের বক্তব্য জানতে তার দুটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার জিহাদ ছিনতাই-ডাকাতি করতেন ঢাকায়

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: গ্রেপ্তার জিহাদ ছিনতাই-ডাকাতি করতেন ঢাকায়
জিহাদ হাওলাদার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মিশনে অংশ নেওয়া জিহাদ হাওলাদারের বাড়ি খুলনার দিঘলিয়ার বারাকপুর গ্রামে। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই লেখাপড়া ছেড়ে বাবা জয়নাল হাওলাদারের সঙ্গে রংমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। 

একপর্যায় দুটি মারামারির মামলায় জড়িয়ে পড়ে গা ঢাকা দেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আমানুল্লাহ সাঈদ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে খুলনায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশে পরিচয় হয় তার।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এলাকা ছাড়ার পর জিহাদ ঢাকায় একটি বস্তিতে থাকতেন এবং ছিনতাই-ডাকাতি করতেন। তার নামে ঢাকার বিভিন্ন থানায় চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির মামলা রয়েছে। 

গোয়েন্দারা জানান, কয়েক বছর আগে ঢাকায় সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় ডিবির তেজগাঁও বিভাগের হাতে গ্রেপ্তার হন। এই মামলা থেকে শিমুলের মাধ্যমে জামিন নিয়ে দেশ ছাড়েন। শিমুল ভূঁইয়ার হাত ধরেই জড়িয়ে পড়েন অপরাধে।

ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, জিহাদের বিরুদ্ধে খুলনার দিঘলিয়া থানায় ২০২৩ সালে একটি মামলা হয়। এর আগে ২০২০ সালে এলাকায় মারামারির দুটি ঘটনায় দুই মামলায় আসামি হন। মারামারির ঘটনায় মামলায় ৮ মাস জেলও খেটেছেন তিনি।

মামলার তদন্ত তদারকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই হত্যাকাণ্ডে জড়ানোর বহু আগে থেকে শিমুলের সঙ্গে জিহাদের পরিচয়। ভারতে শিমুলের আশ্রয়েই থাকতেন তিনি। ভারতীয় পুলিশকে হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন জিহাদ। আনার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৯ জনের মধ্যে ৫ জন খুলনার। 

এ ছাড়া একজন টাঙ্গাইলের, একজন ভোলার ও দুজন ঝিনাইদহের রাজনৈতিক নেতা।

দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর বাজারের পাশে টিনশেডের বাড়িতে থাকে জিহাদের পরিবার। তার ছোট ভাই জায়েদ বারাকপুর এলাকার আনসার হত্যা মামলার আসামি। জিহাদ ঢাকা ও যশোরের দুটি মামলায় জড়িয়ে পড়ে গা ঢাকা দেন বলে জানান তার স্ত্রী মুন্নি বেগম। বাড়ি ছাড়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ নেই। এর মধ্যে এক দিন তার খোঁজে যশোর থেকে ডিবি পুলিশ বাড়িতে এসেছিল। 

সর্বশেষ ৯ মাস আগে ফোন করে এক-দেড় মিনিট কথা বলে শিশুসন্তান ও মা-বাবার খোঁজখবর নেন জিহাদ। এ সময় জিহাদ তার অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানাননি।

কক্সবাজারে ২ জেলে হত্যা: এক মাসেও রহস্যভেদ করতে পারেনি পুলিশ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১০:০৪ এএম
কক্সবাজারে ২ জেলে হত্যা: এক মাসেও রহস্যভেদ করতে পারেনি পুলিশ
গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে এভাবেই আহাজারি করছিলেন নিহত ইয়াছিনের মা/ খবরের কাগজ

কক্সবাজারে চুরির অপবাদে দুই জেলেকে ধরে রাতভর পিটিয়ে এবং বৈদ্যুতিক শক লাগিয়ে হত্যা মামলার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো কুলকিনারা হয়নি। উল্টো আসামি পক্ষের নির্যাতনের ভয়ে নিহতের স্বজনরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ছাড়া সমঝোতার মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রভাবশালী মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি জেলে পরিবারগুলোর। তবে পুলিশ বলছে, মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের মনুপাড়ার আব্দুল খালেক ও কুলছুম নাহারের ছেলে ইয়াছিন আরাফাতকে হারিয়েছেন এক মাস পার হয়েছে। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে প্রতিদিনই আহাজারি করছেন তারা। গেল ১৭ মে আশ্রয়ণ প্রকল্পসংলগ্ন মৎস্য ঘের থেকে আব্দুল খালেক ও ইয়াছিন আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তারা দুজনই ছিলেন জেলে। এরপর ১৯ মে, চুরির অপবাদে দুই জেলেকে ধরে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে ও বৈদ্যুতিক শক লাগিয়ে হত্যার অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত আব্দুল খালেকের বড় ভাই আবদুল মজিদ।

নিহত ইয়াছিন আরাফাতের মা কুলছুম নাহার খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমার ছেলেই ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ওকে হারিয়ে আমরা এখন দিশেহারা। আসামিরাও পাল্টা মামলা করেছে। আমরা এখন পালিয়ে আছি। বেঁচে থাকাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।’

আরাফাতের স্বজন মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, ‘চুরির শাস্তি কখনো মৃত্যু হতে পারে না। যদি তারা চুরি করে থাকত, বিচার করা যেত। দেশে আইন আদালত আছে। এভাবে পিটিয়ে মারার তো দরকার ছিল না। হত্যাকারীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ 

মামলার বাদী আব্দুল মজিদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘এক মাস পার হয়ে গেছে। এখনো পুলিশ এ ঘটনার কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তাদের তদন্ত নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। আমাদের দাবি, এমন প্রতিবেদন দেওয়া হোক যেন আসামিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।’  

এদিকে দুই জেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনার দিন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আসামিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এ নিয়ে বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের স্বজনরা আদালতে ভাংচুরের মামলা করেন। তবে মামলা প্রত্যাহারে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসামিপক্ষের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

দুই জেলে হত্যা মামলার আসামি মোরশেদ আলম ওরফে কাজল বলেন, ‘কী কারণে আমাদের পরিবারের তিনজনকে আসামি করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ 

তবে পুলিশ বলছে, হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, দুই জেলে হত্যাকাণ্ডে মামলা হওয়ার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে হত্যার কারণ অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।

খিলক্ষেতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া নববধূকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৭

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:১১ এএম
খিলক্ষেতে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া নববধূকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৭
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

রাজধানীর খিলক্ষেতে স্বামীর কাছ থেকে নববধূকে ছিনিয়ে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ওই নববধূর সাবেক প্রেমিকও ছিলেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে খিলক্ষেতের বনরূপা এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— আবুল কাশেম সুমন, পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু। এর মধ্যে আবুল কাশেম সুমন ওই নববধূর সাবেক প্রেমিক।

পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নববধূ অঙ্গীভূত আনসার সদস্য।

থানা-পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে খিলক্ষেতের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ওই নববধূ ও তার স্বামী বিমানবন্দর এলাকায় ঘুরতে আসছিলেন। পথিমধ্যে বনরূপা এলাকায় সুমনসহ ছয়জন তাদের ধরে নিয়ে ঝোপের আড়ালে যান। সেখানে তাদের মারধর করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। 

একপর্যায়ে ওই নববধূর স্বামীকে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ে স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দেন। পরে খিলক্ষেত থানার টহল পুলিশ তাকে নিয়ে নববধূকে উদ্ধারে নামে।

এদিকে, সুমন ও তার সহযোগীরা নববধূকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকেন। চিৎকার করেও কোনো লাভ হয়নি। তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন তারা।

অন্যদিকে ভুক্তভোগীর স্বামীকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পুলিশ নববধূকে উদ্ধার করে। ওই নারীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডিএমপির ক্যান্টনমেন্ট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শেখ মুত্তাজুল ইসলাম বলেন, নববধূকে স্বামীর কাছ থেকে অপহরণ করে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় ‘অপহরণ করে ধর্ষণ’ অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার পর থেকে খিলক্ষেত থানার একাধিক টিম আজ দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মূলহোতা সুমনসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে।

খাজা/এমএ/

সাতক্ষীরায় ১০ অনলাইন জুয়াড়ি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১০:০৮ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
সাতক্ষীরায় ১০ অনলাইন জুয়াড়ি গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরায় অনলাইন জুয়াচক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক ফয়সাল ইবনে আজিজ।

পুলিশের ধারণা, তারা অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিত।

গ্রেপ্তাররা হলেন- তালা উপজেলার সুজন শাহা গ্রামের আব্দুল হামিদ রানা (৪০), উথালী গ্রামের সাইদুর রহমান (২৮), দক্ষিণ নলতা গ্রামের শাহিদুর রহমান (৪০), ডাঙ্গা নলতা গ্রামের শাহাদৎ হোসেন (২৮), দেবহাটা উপজেলার মাঝ পারুলিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আল-মামুন (৩০), শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর গ্রামের আনিছুর সরদার (৩১), পাখিমারা গ্রামের কামাল হোসেন (৩০), একই গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার জিনারুল ইসলাম (২৫), খুটিকাটা গ্রামের মাহামুদুল হাসান (২৯) ও আশাশুনি এলাকার বল্লভপুর গ্রামের মুকুল হোসেন (৩২)।

শুক্রবার দিনভর জেলার শ্যামনগর, আশাশুনি, দেবহাটা ও তালা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৬টি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।

নাজমুল শাহাদাৎ/সাদিয়া নাহার/অমিয়/