![গুরুত্বপূর্ণ রামরি শহর দখল করল আরাকান আর্মি](uploads/2024/03/12/1710255179.Ramree.jpg)
কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর রাখাইন রাজ্যের কিয়াউকইউ জেলার গুরুত্বপূর্ণ শহর রামরি দখল করেছে আরাকান আর্মি (এএ)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) মায়ানমার নাউ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে আরাকান আর্মি বলেছে, ‘পুরো শহরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৮৫ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে জান্তা সেনা বিতাড়িত হয়েছে।’
এক প্রত্যক্ষদর্শী মায়ানমার নাউকে জানিয়েছেন, তিনি আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের ঘাঁটি থেকে পালানো জান্তা সেনাদের তাড়া করতে দেখেছেন।
তবে জান্তা বাহিনী শহর ত্যাগের আগে প্রচুর বোমাবর্ষণ করেছে। ফলে এর বেশির ভাগ অংশই কার্যত পুড়ে গেছে। রামরি শহর হাতছাড়া হওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি জান্তা সরকার।
জ্বালানির দিক থেকে রামরি শহরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মায়ানমার চীনের প্রাকৃতিক গ্যাসের যৌথ পাইপলাইনের শুরু এখান থেকেই। তবে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে আসায় গ্যাস সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। কারণ আরাকান আর্মির সঙ্গে চীনের সুসম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বড় সাফল্যের দাবি করেছে কাচিন ইনডিপেন্ডেস আর্মি (কেআইএ)। তারা গত সপ্তাহে কাচিন রাজ্যের চীন সীমান্তের কাছে একটি মহাসড়ক ধরে জান্তা লক্ষ্যবস্তুতে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। এখন পর্যন্ত তারা ২০ ঘাঁটি দখলের দাবি করেছে বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মায়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
কেআইএর মুখপাত্র কর্নেল নাউ বু জানিয়েছেন, দখল করা ঘাঁটিগুলোর মধ্যে ২০টি ঘাঁটি কৌশলগতভাবে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে দুটির অবস্থান লাইজা শহরের জান্তা বাহিনীর সামরিক সদর দপ্তরের কাছে।
তবে জান্তা বাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো প্রতিরোধ বাহিনীর অবস্থান ও আশপাশের গ্রামগুলো লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াংমাও শহরতলির কো-মাইল গ্রামের প্রায় ৯০০ বাসিন্দা জান্তা বাহিনীর হাতে জিম্মি। কারণ জান্তা নিয়ন্ত্রিত গ্রামটি থেকে তাদের বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এরই মধ্যে জান্তার বোমা হামলায় ৩ নারী নিহত হয়েছেন।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামবাসী বিমান হামলা থেকে বাঁচতে হাত দিয়ে খুঁড়ে নিজেরাই আশ্রয় কেন্দ্র বানিয়েছেন। বোমা থেকে বাঁচতে সেখানেই তারা আশ্রয় নিচ্ছেন। যদিও তা মোটেও নিরাপদ নয়। সূত্র: মায়ানমার নাউ/ইরাবতি