![সিএএ নিয়ে মোদি সরকারের জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টে](uploads/2024/03/19/1710857088.Suprme_Court_India.jpg)
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে এ শুনানি হয়।
সিএএর বিরুদ্ধে ২৩৭টি মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেসব মামলার একত্রে শুনানি হয় গতকাল সোমবার। শুনানির পর আইনের ওপর স্থগিতাদেশ না দিলেও নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেন সুপ্রিম কোর্ট।
কেন্দ্রের জবাব দেওয়ার সময় শেষ হবে ৮ এপ্রিল। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ৯ এপ্রিল। আনন্দবাজারের খবর বলছে, ওই দিন হলফনামার আকারে নিজেদের বক্তব্য জানাবে কেন্দ্র।
শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। সিএএর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বলবৎ হওয়া বিধিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে যে ২০টি মামলা হয়েছে, সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে জবাব দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে চার সপ্তাহ সময় চান তিনি। সলিসিটর জেনারেল আদালতে বলেন, ‘সিএএতে কারও নাগরিকত্ব যাবে না।’
সিএএর বিরোধিতা করে গত এক সপ্তাহের মধ্যে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সর্বশেষ মামলাটি দায়ের করে কেরালা সরকার। রাজ্যটির সরকার অবশ্য আগেই ঘোষণা করেছিল যে তারা সেখানে সিএএ কার্যকর করতে দেবে না।
শনিবার সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান ও হায়াদারাবাদের পার্লামেন্টের সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এ ছাড়া কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই, কেরলের আঞ্চলিক দল আইইউএমএলের পক্ষ থেকেও ওই বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদি সরকারের সিএএ আইনটি প্রয়োগের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধীরা। তাদের ভাষ্য, এটি নির্বাচনকে মেরুকরণের লক্ষ্যে করা হচ্ছে। সূত্র: আনন্দবাজার, এনডিটিভি