ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

মস্কোয় হামলা: নিহত বেড়ে ১৩৩, আটক ১১

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:১৫ এএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ০১:১৫ এএম
মস্কোয় হামলা: নিহত বেড়ে ১৩৩, আটক ১১
ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় শিশুসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।

গত শুক্রবার মস্কোর ক্রোকাস সিটি হল কমপ্লেক্সের কনসার্ট হলে সামরিক পোশাক পরে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। প্রাথমিক সংবাদে এই হামলায় ৪০ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। হামলাকারীদের মধ্যে চারজন তাজিকিস্তানের নাগরিক বলে রাশিয়ার স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ হামলার ঘটনাকে ‘বর্বর সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএসআইএস-কে, খোরাসানের ইসলামিক স্টেটের সহযোগী সংগঠন এটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক পোস্টে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মানুষে ঠাসা ছিল কনসার্ট হলটি। পাঁচজন বন্দুকধারী হলে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে। প্রথমে হলের নিরস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীদের হত্যা করে ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় তারা। এ সময় তারা ভেতর থেকে হলটি বন্ধ করে রাখে। কনসার্ট হলের একেবারে ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা চেয়ারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। ওই আগুন পুরো বিল্ডিংয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, যেভাবে হামলাটি চালানো হয়েছে তাতে এটি প্রতীয়মান হয় যে, হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং যেভাবে হামলা চালালে হতাহতের সংখ্যা সর্বোচ্চ হবে সেভাবেই হামলাটি চালানো হয়।

মস্কোর ওই হলে কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন ৬ হাজার ২০০ জন মানুষ। হামলার সময় যে কনসার্ট চলছিল, সেটির টিকিটও বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ২০০টি। রাশিয়ার জনপ্রিয় রক ব্যান্ড পিকনিকের কনসার্ট চলছিল সেখানে। 

১১ সন্দেহভাজন আটক

রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মস্কোর বাইরে ক্রোকাস সিটি হল কনসার্ট ভেন্যুতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজনদের মধ্যে ক্রোকাসে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত চার সন্ত্রাসী রয়েছে। অন্য সহযোগীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে বলেও জানিয়েছে তারা।

শনিবার এফএসবি জানায়, শুক্রবার রাতে হামলা চালানোর পর অপরাধীরা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করতে চেয়েছিল এবং ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাদের প্রাসঙ্গিক যোগাযোগ ছিল। সংস্থাটির মতে, নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশের সুসমন্বিত পদক্ষেপের ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চল থেকে ‘চার সন্ত্রাসীকে’ আটক করা হয়েছে। এফএসবি জানিয়েছে, ক্রোকাস ক্রোকাস সিটি হলে হামলাটি ‘সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পিত’ ছিল, অপরাধীরা আগে থেকে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

মুখ খুললেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ হামলার ঘটনাকে ‘বর্বর সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। পাশাপাশি আজ রবিবার রাশিয়ায় জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন পুতিন। টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, সীমান্ত অতিক্রম করে ইউক্রেনে ঢুকে যাওয়ার আগে চার বন্দুকধারী গ্রেপ্তার হয়েছে।

এ ঘটনা নিয়ে এই প্রথম কথা বললেন পুতিন। তিনি বলেন, ‘আমি আজ আপনাদের সঙ্গে রক্তাক্ত, বর্বর সন্ত্রাসী হামলা প্রসঙ্গে কথা বলছি, যার শিকার হয়েছে শতাধিক নিরীহ, শান্তিপ্রিয় মানুষ।’ ক্রেমলিন নেতা বলেন, যে চার সন্ত্রাসী মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে তারা ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল, তাদের সীমান্ত অতিক্রম করিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি রাখা ছিল। রাশিয়ার এফএসবি নিরাপত্তা সার্ভিসের ভাষ্য, হামলাকারীরা দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টার আগে ইউক্রেনে নিজেদের লোকজনের সঙ্গে ‘সংযুক্ত’ ছিল।

মস্কোয় হামলাকারীরা বিদেশি নাগরিক

এদিকে ভয়াবহ হামলার ঘটনায় আটক চার বন্দুকধারী রাশিয়ার নাগরিক নন। তারা সবাই বিদেশি নাগরিক বলে জানিয়েছে রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

রাশিয়ার স্থানীয় কিছু গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, আটক চার বন্দুকধারী তাজিকিস্তানের নাগরিক। আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী দেশ তাজিকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এখনো বেশ সক্রিয়। মস্কোয় শুক্রবারের হামলার দায়ও স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটির আফগান শাখা বলে পরিচিত ইসলামিক স্টেট-খোরাসান বা আইএস-কে।

কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩৯, আহত ৩৬১

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০২:২০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
কেনিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৩৯, আহত ৩৬১
ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ায় গত এক সপ্তাহে কর (ট্যাক্স) বাড়ানোর প্রতিবাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ৩৬১ জন।

সোমবার (১ জুলাই) দেশটির মানবাধিকার সংস্থা কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস (কেএনসিএইচআর) এ তথ্য জানায়।

কেএনসিএইচআর এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমাদের রেকর্ড থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ১৮ জুন থেকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে বিক্ষোভে অন্তত ৩৯ জন নিহত এবং ৩৬১ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২টি মামলা হয়েছে এবং ৬২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে বিক্ষোভকারী, চিকিৎসাকর্মী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বলপ্রয়োগ, হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্সের মতো নিরাপদ স্থানগুলোতে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কেএনসিএইচআর।

পার্লামেন্ট ভবন এবং অন্যান্য সরকারি ভবনে কিছু বিক্ষোভকারীর ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের মতো সহিংতামূলক কাজের তীব্র নিন্দাও করেছে সংস্থাটি।  

গেল মঙ্গলবার (২৫ জুন) কেনিয়ার পার্লামেন্টে প্রায় সব ধরনের পণ্যে কর বাড়ানোর একটি প্রস্তাব পাস হয়। প্রস্তাবটি পাসের সঙ্গে সঙ্গেই পার্লামেন্ট চত্বরসহ পুরো নাইরোবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। 

আন্দোলনকারীরা পার্লামেন্ট চত্বরের একটি পুলিশবক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায় পুলিশ।

আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি, প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগ।

উইলিয়াম রুটো ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসেন। সেই নির্বাচনের পর থেকেই কেনিয়ায় দিন দিন রাজনৈতিক বিভক্তি তীব্র হয়ে ওঠছে।

রবিবার (৩০ জুন) উইলিয়াম রুটো কেনিয়ার সরকারি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছিলেন, ‘আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।’

তবে তাদের মৃত্যুর জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়ী নয় বলে মৃত্যুর তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার কর বৃদ্ধি সম্বলিত বিলটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট রুটো। 

কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা নতুন দফায় কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেন। 

কেনিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ‘সব জায়গা দখল কর’, ‘বাজেট দুর্নীতিবাজদের বাতিল কর’, ‘রুটোর বিদায় চাই’ প্রভৃতি হ্যাশট্যাগে ভরে ওঠেছে। সূত্র: এনডিটিভি

পপি/অমিয়/

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ কারাগারে নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনিরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩৮ এএম
কারাগারে নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনিরা
কথা বলছেন গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচারলক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের দিনরাত নির্যাতন করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পরিচারলক মুহাম্মাদ আবু সালমিয়া। ইসরায়েলে আট মাস বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়ে এ তথ্য জানান তিনি।

আবু সালমিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতন সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, অনেক ফিলিস্তিনিরই জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে মৃত্যু হয়। ইসরায়েলি ডাক্তার ও নার্সরাও আটকদের ওপর নির্যাতন চালায় এবং এমনভাবে তাদের শরীরকে ব্যবহার করে যেন তারা জড়বস্তু।

ইসরায়েলি বন্দিদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। ইসরায়েলের কারাগারে থাকে প্রতিটি বন্দির প্রায় ৩০ কেজি করে ওজন কমেছে। কোনো অভিযোগ ছাড়াই বিচার পরিচালনা করা হয় বলেও অভিযোগ তুলেন আবু সালমিয়া।

সালমিয়া বলেন, দখলদাররা আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি, কিন্তু তারপরও তিনবার আমাকে বিচারের মুখোমুখি করেছে। তার অর্থ হচ্ছে, তারা আমাকে রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার করেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমরা আইনজীবী পাইনি, কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাও আমাদের দেখতে আসেনি। প্রায় দুই মাস কোনো বন্দিই দিনে এক টুকরার চেয়ে বেশি রুটি পাননি। 

ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য বেনি গান্টজ আল শিফা হাসপাতালের পরিচালক আবু সালমিয়াকে আটক অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তিই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে সরিয়ে দেওয়া উচিত।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর বলছে, কারাগার পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সালমিয়াসহ ৫৫ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গান্টজ নেতানিয়াহুকে কিছু সরকারি দপ্তর খালি করে জায়গা ও বন্দিদের জন্য বাজেট বের করার আহ্বান জানান। 

এদিকে, গাজায় এখনো হামলা ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার সিটির শুজাইয়াতে আবারও তীব্র লড়াই হয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে। লড়াইয়ের মধ্যে আটকা পড়েছিলেন অনেক বেসামরিক বাসিন্দা।

আল-জাজিরার হাতে আসা বিশেষ ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনি বন্দিদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গাজায় বিস্ফোরক খুঁজে বেড়াচ্ছেন। 

লেবাননের সঙ্গেও ইসরায়েলের উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তাদের ১৮ জন সেনা আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। লেবানন সীমান্তের গোলান মালভূমিতে অবস্থান করার সময় ওই ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ করে হামলা হয়, এতে তারা আহত হন। 

গাজার যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৮৭৭ জন মারা গেছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী, শিশু ও বয়োবৃদ্ধের মতো বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৯৬৯ জন। আরও বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে, গাজার ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে আছে তাদের মরদেহ। ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণে গোটা গাজাই পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। সূত্র: রয়টার্স 

নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থিদের জয়

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থিদের জয়
ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি বিজয়ী হয়েছে। এ বিজয়কে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনো সব চূড়ান্ত নয়। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে আগামী সপ্তাহের রান-অফ ভোটের আগে জোট গঠনের ওপর।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ফলাফলের বরাত দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, আরএন ও মিত্ররা ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বামপন্থি জোট পেয়েছে ২৮ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর মধ্যপন্থি দল পেয়েছে মাত্র ২০ শতাংশ ভোট। এ ফলাফলকে মাখোঁর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরএন আদৌ সরকার গঠন করতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে আগামী সপ্তাহের চূড়ান্ত ভোটের ওপর। এবারই প্রথম ক্ষমতার এত কাছে এল আরএন। অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদ মারি লো পেন দলটির বর্ণ ও ইহুদিবিদ্বেষী রূপ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছেন। আর এ কৌশল কাজেও দিয়েছে। এমন একটি সময়ে জনমতে এ পরিবর্তন এসেছে, যখন জনসাধারণ জীবনযাপনের ব্যাপক খরচ ও অভিবাসন নিয়ে মাখোঁর প্রতি ক্ষুব্ধ। 

আরএন নেতৃত্বের সরকার আসলে ফ্রান্সের অনেক কিছুতেই পরিবর্তন চোখে পড়বে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) প্রশ্নে। আরএন ইইউয়ের সঙ্গে আরও বেশি জড়ানোর বিপক্ষে।

আরএন আইনপ্রণেতারা গতকাল সোমবার নির্বাচনে ৭ শতাংশের চেয়ে কম ভোট পাওয়ার অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদদের সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। আরএনের আইনপ্রণেতা লরে লাভালেতে বলেন, ‘যদি তারা জেনে যান যে জিতবেন না, সেক্ষেত্রে আমি তাদের সরে দাঁড়াতে ও রাষ্ট্রপক্ষকে জিততে দিতে বলব।’ 

প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা দ্বিতীয় ধাপে যাবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাদের হাতে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে। সূত্র: রয়টার্স 

উত্তর কোরিয়ার দুই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
উত্তর কোরিয়ার দুই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ
ছবি: সংগৃহীত

নতুন করে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের পরিচালিত নতুন সামরিক মহড়ার আক্রমণাত্মক ও অপ্রতিরোধ্য প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার এক দিনের মাথাতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল পিয়ংইয়ং। তবে নিক্ষেপ করা দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি বিধ্বস্ত হয়ে তাদের মাটিতেই পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ১০ মিনিটের ব্যবধানে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাঙ্গিয়ন শহর থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। 

সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬০০ কিলোমিটার ও দ্বিতীয়টি ১২০ কিলোমিটার উড়ে ছিল। তবে এগুলো কোথায় অবতরণ করেছে তা জানায়নি তারা। উত্তর কোরিয়া সাধারণত তার পূর্ব জলসীমার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। 

জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের মুখপাত্র লি সুং-জুন পরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ত্রুটি ছিল। এটি বিস্ফোরিত হয়ে সম্ভবত এর ধ্বংসাবশেষ মাটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।’ সূত্র: আল-জাজিরা 

ভারতে জলপ্রপাতে ডুবে একই পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২২ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:২২ এএম
ভারতে জলপ্রপাতে ডুবে একই পরিবারের ৩ সদস্যের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মুম্বাইয়ের পার্শ্ববর্তী লোনাভালায় পিকনিক করতে গিয়ে জলপ্রপাতে ভেসে যায় একই পরিবারের সাত সদস্য। তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও দুই শিশু। আর দুজন সাঁতার কেটে বেঁচে ফিরেছেন।

গত রবিবার পরিবারটি মুম্বাই থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে হিল স্টেশনে ছুটি কাটাচ্ছিল। বর্ষাকালে ওই পাহাড়ি শহরে শত শত পর্যটকের ঢল নামে। অন্যদের মতো পরিবারটিও সেদিন বিকেলে ভুসি বাঁধ এলাকার জলপ্রপাতে পিকনিক করতে যায়। কিন্তু সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিতে বাঁধ উপচে জলপ্রপাতের পানির প্রবাহ বেড়ে যায়। 

সামাজিক মাধ্যমের এক ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে ছুটে আসা জলপ্রপাতের তীব্র স্রোতে একদল মানুষ ভেসে যাচ্ছে। ভেসে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নিহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিরাও ছিলেন। এ সময় তারা সাহায্যের জন্য চিৎকার করেন। আশপাশে অনেক মানুষ থাকলেও প্রবল স্রোতের কারণে কেউই সে অর্থে কিছু করতে পারেনি। সূত্র: এনডিটিভি