ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

ড. ইউনূসের অর্থ পাচার মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ১২ জুন

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪, ০১:৫০ পিএম
ড. ইউনূসের অর্থ পাচার মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ১২ জুন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১২ জুন বুধবার দিন ধার্য আছে। তিনিসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি চলবে কি না, এই আদেশের মাধ্যমে তা জানা যাবে। গত বছরের ৩০ মে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা দায়েরের এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আদেশের দিন ধার্য করে গত ২ জুন এই আদেশ দেন আদালত। ওই দিন এ-সংক্রান্ত শুনানি শেষে আদালত আদেশের দিন ধার্য করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া এই মামলার আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান; পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ; গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান। তাদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যদের নাম এজাহারে ছিল।

কমিশনের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এক বছর আগে মামলাটি করেন। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। কমিশন এই মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসসহ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

এতে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৮ মে একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয় বলে জানানো হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনার লভ্যাংশ বিতরণে শ্রমিক ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে একই বছরের ২৭ এপ্রিল একটি চুক্তি সই হয়েছিল। চুক্তিতে ৮ মে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে বলে দেখানো হয়, যা বাস্তবে অসম্ভব। কাগজপত্র নকল করে এটা করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে কমিশন আরও বলেছে, চুক্তি অনুযায়ী এবং ১০৮তম বোর্ড সভার (গ্রামীণ টেলিকম) সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। কর্মচারীদের লভ্যাংশের টাকা বিতরণ না করে তাদের না জানিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

কমিশনের এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কর্মীরা লভ্যাংশের ভাগ বাবদ পাওনা চেয়ে আদালতে গেলে তাদের সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের সমঝোতা হয়। এর ভিত্তিতে আইনজীবীদের খরচ বাবদ কর্মীরা ওই ২৫ কোটি টাকা অগ্রিম চেয়েছিলেন। তা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কর্মীদের লিখিত সম্মতিও আছে। তারা ব্যাংক হিসাব খুলতে দেরি করায় চুক্তিতে সেই জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছিল। দুই পক্ষ সেখানে পরে ব্যাংক হিসাব নম্বর বসায়। সেটিও সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণ টেলিকমের ১৭৬ কর্মী লভ্যাংশ বাবদ পাওনা টাকা চেয়ে শতাধিক মামলা করেছিলেন। উচ্চ আদালতেও গিয়েছিলেন তারা। পরে তাদের সঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের সমঝোতা হয়। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সমঝোতার মাধ্যমে পাওনা পেয়ে কর্মীরা ২০২২ সালের মে মাসে মামলাগুলো প্রত্যাহার করেন। পরে পাওনা পরিশোধের বিষয়টিকেই অর্থ আত্মসাৎ ধরে মামলা করে কমিশন।

আইনজীবী বলেন, এই বিষয়ে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর কমিশনকে চিঠি দিয়েছে। তবে আইনত এটি তারা পারে না। ড. ইউনূস যখন এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন, তখন তড়িঘড়ি করে দুদক তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। এর মাধ্যমে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন খবরের কাগজকে বলেন, এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি সম্পন্ন হয়ে আদেশের জন্য আছে। অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১২ জুন দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন গত ২ জুন এ আদেশ দেন।

ওই দিন আদালতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল ড. ইউনূসসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। আর ড. ইউনূসের পক্ষে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন মামলা কেন তিনি অব্যাহতি পাবেন আদালতে সেই যুক্তি তুলে ধরেন এবং তাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত অভিযোগ গঠন বিষয় আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন। 

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড বাবুকে নিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালাবেন গোয়েন্দারা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:৩৩ পিএম
বাবুকে নিয়ে মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালাবেন গোয়েন্দারা

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে করা মামলার আসামি কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে ফের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছিল পুলিশ। আবেদনের ওপর শুনানি করে তা নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে বাবুকে নিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধারে ঝিনাইদহে অভিযান পরিচালনার আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এ অভিযানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন। 

সোমবার (২৪ জুন) ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবুর বিষয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এ আদেশ দেন।

আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিম আনোয়ারুল আজীম আনারকে প্রলুব্ধ করে অপহরণ ও হত্যার মূল ঘাতক সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার জব্দ করা মোবাইল ফোন পর্যালোচনায় দেখা যায়, শিমুল ভূঁইয়া ১৫ মে কলকাতা থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ১৬ মে রাতে গ্যাস বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তারা আনারকে অপহরণ ও হত্যাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। পরবর্তী সময়ে দুজনেই ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় মিটিং করে আনারের ছবি বিনিময় করেন।

তা ছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু  কিছু বিষয় স্বীকার করেছেন। সেগুলো হচ্ছে, ১৭ মে থেকে ১৯ মে রাত পর্যন্ত শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে গ্যাস বাবুর হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ, এসএমএস আদান-প্রদান এবং আনারকে অপহরণ ও পরবর্তী টাকা পয়সার লেনদেন বিষয়ে কথাবার্তা হয়। শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা মোবাইল ফোনগুলোর হদিস জানতে চাইলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্যাস বাবু জানান, তার মোবাইল ফোনগুলো হারিয়ে গেছে এবং থানায় এ নিয়ে তিনি জিডিও করেছেন।

বাবুকে রিমান্ড চাওয়ার আবেদনে আরও বলা হয়, জবানবন্দিতে আসামি স্বীকার করেছেন, শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা তিনটি মোবাইল ফোনের মধ্যে দুটি ভাঙ্গার গাঙ্গুলী হোটেলের পেছনের পুকুরে এবং অন্যটি স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের পুকুরের পানিতে ফেলে দেন তিনি। ওই মোবাইল ফোনগুলোতে এমপি আনারের অপহরণ ও হত্যাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকায় সেগুলো প্রয়োজন। ফলে ফোনগুলো কোন কোন স্থানে ফেলেছে সেই স্থান নির্ধারণসহ মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে ফোনগুলো উদ্ধারে আসামি গ্যাস বাবুকে সঙ্গে নিয়ে ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনার জন্য আসামির পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রয়োজন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান এই আবেদন করেন।

এর আগে গত ৯ জুন আদালত ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা বাবুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এই মামলার অন্য আসামি শিমুল ভূঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানও আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের প্রত্যেককেই কারাগারে পাঠান আদালত। মামলার অন্য আসামি ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেননি।

এমপি আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন গত ২২ মে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় খুন করার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এদিকে এমপি আনার খুনের ঘটনায় ভারতে একটি হত্যা মামলা বিচারাধীন আছে।

ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্য

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
ক্রিকেটার নাসিরের বিরুদ্ধে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ২ জনের সাক্ষ্য
নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মী

ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ের অভিযোগে করা এই মামলায় সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।

তারা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান ও বাড়িওয়ালা মো. জিয়াউল আজিজ। 

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, তামিমা যার বাসায় ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িওয়ালা প্রথমে সাক্ষ্য দেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মো. মিজানুর রহমান সাক্ষ্য দেন। নাসিরের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমানকে জেরা সম্পন্ন করেন। আদালত আগামী ১০ জুলাই তামিমার পক্ষে জেরার তারিখ ধার্য করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মীর সাবেক স্বামী রাকিব হাসান আদালতে এ মামলা করেন। 

ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা : মেজর জিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরু

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৮:৫১ পিএম
ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যা : মেজর জিয়াসহ ৪ জনের বিচার শুরু
নাজিমুদ্দিন সামাদ

বহুল আলোচিত ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামি মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এই অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। মামলার অপর ৩ আসামি হলেন- রশিদুন নবী ভূঁইয়া ওরফে রায়হান, মো. শেখ আব্দুল্লাহ ও আকরাম হোসেন।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। 

তবে ৫ আসামিকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অব্যাহতি পাওয়া আসামিরা হলেন- মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান, ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহের ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ। এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৬ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. গোলাম ছারোয়ার খান (জাকির) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই মামলায় ২০২২ সালের ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে হত্যা করে জঙ্গিরা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের এই ছাত্র ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা তাকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে। 

 

দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খাদ্য কর্মকর্তা কারাগারে

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৭:৫১ পিএম
দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় খাদ্য কর্মকর্তা কারাগারে

চাষিদের বাদ দিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে গম কিনে ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলামকে (৫৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (২৪ জুন) সকালে রাজশাহী বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মোছা. ইসমত আরা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজহারুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সাবেক খাদ্য কর্মকর্তা। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বাবলা জানান, আজহারুল ইসলাম চাষিদের বাদ দিয়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে গম কিনেছিলেন। এতে তিনি প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দুর্নীতি করে আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন ২০২০ সালে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে এ মামলার অভিযোগপত্রও দায়ের করা হয়।

তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিনেও আসামিরা আদালতে হাজির হননি। তাদের মধ্যে শুধু আজহারুল ইসলাম আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। অন্য ছয়জন আসামি এখনো পলাতক আছেন।

মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:০২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া মো. মতিউর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও তাদের ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৪ জুন) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।

সম্প্রতি ছাগলকাণ্ডের পর মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য সামনে আসে।

গত ২০ বছরে দুদকের অনুসন্ধান থেকে দায়মুক্তি পেয়েছেন মতিউর। ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে এই চারটি অনুসন্ধান হয়। তবে এই চার দফা অনুসন্ধানের পর দায়মুক্তি দেয় দুদক। পুরোনো এসব নথি খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। নথি পাওয়া গেলে সেসব অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদ, হুন্ডি, আন্ডার ইনভয়েসিং ও ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৪ জুন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্তের প্রায় ২০ দিন পর উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়। টিমের অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহমুদ হোসেন ও উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার। 

কমিটি গঠনের চিঠি পেয়েই মতিউরের অর্থ-সম্পদের তথ্য চেয়ে সারা দেশে ভূমি অফিস ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি তৈরি করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আজ সোমবার এই চিঠি পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

মাহমুদুল আলম/অমিয়/