![জাতীয় পার্টি আগের মতোই সহযোগী হিসেবে কাজ করবে: তথ্যমন্ত্রী](uploads/2023/12/13/1702480353.Hasan_Mahmud.jpg)
বর্তমান প্রেক্ষাপটেও জাতীয় পার্টি আগের মতো সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মহাসচিব এরই মধ্যে স্পষ্ট করেছেন তারা নির্বাচন করার জন্য নমিনেশন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচন করবেন। আমিও বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালো ফল করবেন। আর জাতীয় পার্টি আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী। গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তারা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজকের পরিস্থিতিতেও জাতীয় পার্টি আগের মতো সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে ক্রমাগতভাবে গুপ্ত স্থান থেকে অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সেই অবরোধে দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র সাড়া নেই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে আগুন দেওয়া এ কোন রাজনীতি? পৃথিবীর কোথাও দেখিনি রাজনীতির নামে বাসে আগুন দেওয়া হয়। গাড়িতে আগুন দেওয়ায় এ পর্যন্ত সাতজন নিহত ও বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন।’
১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর শুধু নির্বাচনসংক্রান্ত সভা-সমাবেশ করা যাবে, অন্য কোনো সভা-সমাবেশ করা যাবে না, এ ধরনের একটি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন নির্বাচন কমিশন নানা নির্দেশনা দিচ্ছে। এটি নিয়ে নানা বিচার-বিশ্লেষণ বা সিদ্ধান্ত সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নেবে। নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর প্রকৃতপক্ষে পুরো ক্যানভাসটাই তো নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের যেকোনো নির্দেশনা দেওয়ার অধিকার আছে। সে ক্ষেত্রে দেখতে হবে এতে সাংবিধানিক অধিকারগুলো ক্ষুণ্ন হচ্ছে কি না। তবে নির্বাচন কমিশনের যেকোনো নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার আছে।’
যারা ট্রেনের লাইন কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’