ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

‘ফুটবলারদের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে’

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫০ এএম
‘ফুটবলারদের মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে’
ছবি : বাঁয়ে মারুফুল হক, মাঝে শফিকুল ইসলাম মানিক, ডানে শেখ মোহাম্মদ আসলাম

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মাঠের খেলায় এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। যার সুবাদে মাস পাঁচেক আগে ১৪ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ মিলেছিল। ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়েও ভালো খেলার সেই ধারা বজায় রেখেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। তবে বিশ্লেষকরা বললেন, আরও সুন্দর ফুটবল খেলতে হবে বাংলাদেশকে। 


কিংবদন্তি স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম ফুটবলারদের মনোভাবের যে পরিবর্তন এসেছে তার প্রশংসা করলেন। তার মতে, ‘আরও অর্গানাইজড ফুটবল খেলতে হবে।’ আর জাতীয় দলের সাবেক কোচ মারুফুল হকের কাছে ফুটবলারদের সাইকোলজিক্যাল পরিবর্তনটা দৃশ্যমান। তবে তিনিও উন্নতির জায়গা দেখছেন অনেক। সেই সঙ্গে বর্তমান যে পরিবর্তন, সেটা ধরে রাখাকেও বেশি জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।


মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রাক-বাছাই পর্বের বাধা ডিঙিয়ে বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে দুটি ম্যাচ খেলে ফেলল জামাল ভূঁইয়ারা। গত ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ০-৭ গোলে বিধ্বস্ত হলেও ২১ নভেম্বর ঘরের মাঠে লেবাননকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। যদিও ৭৯ ধাপ এগিয়ে থাকা লেবাননের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়টাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু সেটা হয়নি গোলের বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায়। পিছিয়ে পড়েও শেখ মোরসালিনের দৃষ্টিনন্দন এক গোলে ম্যাচটা ড্র করে বাংলাদেশ। তবে মোরসালিন নিজেই গোলটির আগে ও পরে সুযোগ হাতছাড়া করেছেন বেশ কয়েকটি। সুযোগ হারিয়েছেন বিশ্বনাথ ঘোষ, সোহেল রানা, ফয়সাল আহমেদ ফাহিমরাও। 


মারুফুল মনে করেন, ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল বাংলাদেশের, ‘মাঠের খেলা অনুসারে বলব, অবশ্যই লেবানন ম্যাচটা বাংলাদেশের জেতা উচিত ছিল। সুযোগও ছিল জেতার।’ কিন্তু বাংলাদেশ কেন জিততে পারল না? এই প্রশ্নে সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার বিষয়টিই আসবে সবার আগে। শেখ মোহাম্মদ আসলামের দৃষ্টিতে এখানে ঘাটতি বেশ বড়, ‘আমাদের সময় স্কোরিং অ্যাবিলিটি যেটা ছিল, জায়গামতো বল পেলে গোল হওয়ার নিশ্চয়তা থাকত। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষদের যে আস্থা, এই জায়গাটায় একটু সময় লাগছে। তবে আশা করি দল এটা ওভারকাম করবে।’ 


আসলাম মিডফিল্ড ও রক্ষণেও বেশ দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন, ‘এমন জায়গায় ওরা বলগুলো হারায়, যেটা দলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে পড়ে। ডিফেন্স ও মিডফিল্ডের যে জায়গাগুলো আছে, এখানে আরও অর্গানাইজড হতে হবে। আমি বলব, ডিফেন্স লাইন খুব ডিসঅর্গানাইজড ওয়েতে ফুটবল খেলে। আরও সুন্দর ফুটবল খেলা উচিত।’ বিশ্বের বড় দলগুলোর উদাহরণ টেনে তিনি যোগ করেন, ‘ওদের খেলোয়াড়দের কাছে যখন বল যায়, মনে হয় আস্থার স্থল। ওখান থেকে মিস পাস হবে না। কিংবা সুন্দর পাস হবে, যা থেকে গোল হতে পারে। এগুলো আসলে ম্যাচিউরিটির ব্যাপারও। একটু সময় লাগবে। এই সময়টা আমাদের খেলোয়াড়দের দিতে হবে।’


দুর্বলতা দেখছেন মারুফুলও। তবে তার আগে দলের উন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ভালো খেলছে। ওভারঅল পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে বললে বলব, ফুটবলারদের সাইকোলজিক্যাল পরিবর্তন এসেছে। খেললে প্ল্যান অনুযায়ী খেলা যায়, এই মনোভাবটা এসেছে। সেই সঙ্গে দলের আত্মবিশ্বাসও এসেছে। খেলার চেষ্টা করতেছে, এটাই হচ্ছে বড় কথা। আসলে ফুটবল তো যতটা না পায়ের খেলা, তারচেয়ে বেশি হলো মাথার খেলা। খেলোয়াড়রা তাদের মাথা ব্যবহার করতে পারছে।’ তবে দেশের অন্যতম সেরা এই কোচ উন্নতিটা ধরে রাখা জরুরি বলে মনে করেন, ‘দলটা ৮-৯ মাস ধরে ভালো করছে। এটা ধরে রাখতে হবে। এটা ধরে রাখতে পারলে বোঝা যাবে যে স্থায়ী পরিবর্তন এসেছে। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়, সবাই চেষ্টা করছে। এটা যদি মেইন্টেন করতে পারে, তখনই বোঝা যাবে পরিবর্তন হয়েছে।’ 

 

কোন জায়গায় ঘাটতি দেখছেন বা আরও উন্নতি প্রয়োজন? এমন প্রশ্নের মারুফুলের উত্তর, ‘বাংলাদেশের জাতীয় দল নিয়ে কাজ করার বা উন্নতি করার ক্ষেত্র অনেক। কঠিন পরিস্থিতিতে বল হোল্ড করা এবং সাপোর্টিং খেলোয়াড়দের বলের কাছাকাছি আসা, কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কী হবে, এই বিষয়টা নিয়ে আরও ক্লিয়ার থাকতে হবে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমরা প্ল্যান অনুযায়ী খেলে গোলের সুযোগ তৈরি করে গোল করব, সুযোগ আসতে পারে, সেটার জন্য তৈরি থাকতে হবে।’

 

জাতীয় দলের আরেক সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক ফুটবলারদের খেলায় বেশ খুশি, ‘ফুটবলাররা মনের দিক থেকে অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা হারার আগে হারি না, এই জিনিসটা ফুটবলাররা গত কয়েক মাস ধরে প্রমাণ করতে পেরেছে। এটাই বর্তমান দল ও কোচের সাফল্য বলে মনে করি। আর এই ধারাবাহিকতা এখন পর্যন্ত আছে এবং আশা করি এটা বজায় থাকবে।’

গোল মিস নিয়েও খুব বেশি চিন্তিত নন মানিক। তার মতে এটা খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে ঠিক হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে মানিক মনে করেন, ‘বর্তমান দলটায় খুব হাই কোয়ালিটির খেলোয়াড় আমরা পেয়েছি, এমন নয়। তবে সবাই খুব কাছাকাছি। কারও রিপ্লেস নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। এটাই হোক। অনেক খেলোয়াড় থাকুক।’

তবে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মানিক। সেটা হচ্ছে ডিসিপ্লিন। মানিক বলেন, ‘এটা বসুন্ধরা কিংস বা ফেডারেশন যে করুক না কেন, ডিসিপ্লিনটা খুব শক্তভাবে হ্যান্ডেল করেছে তারা। এই জায়গায় আমাদের গুরুত্ব আরও বেশি দেওয়া উচিত। অতীতে দেইনি বলে আমরা অনেক পিছিয়েছি। শুধু জাতীয় দল না, ক্লাব ফুটবলেও এই দিকটায় নজর দেওয়া উচিত।’

রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বিরাট কোহলি। শিরোপা উদযাপন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানান অবসরের সিদ্ধান্তের কথা। পুরোপুরি একদিন না পেরোতেই এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের আরেক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।

রবিবার (৩০ জুন) ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন জাদেজা। ভারতের হয়ে ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৭৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

অবসর বার্তায় জাদেজা লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞ হৃদয়ে আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাচ্ছি। গৌরবের সঙ্গে দ্রুতবেগে ছুটে চলা ঘোড়ার মতো আমি সব সময়ই দেশের জন্য সেরাটা দিয়েছি এবং অন্যান্য সংস্করণে সেটা করে যাব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সব স্মৃতি, উল্লাস আর বিরামহীন সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’

নিজের শেষ বিশ্বকাপটায় খুব একটা ভালো করতে পারেননি জাদেজা। সবমিলিয়ে ৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ৩৫ রান। বল হাতেও ছিলেন সাদামাটা। শিকার করেছেন মাত্র ১টি উইকেট।

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে ৪১ ইনিংসে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন জাদেজা। আর ৭১ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ৭.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট।

উইকেটের বালু খেয়ে রোহিতের অন্যরকম উদযাপন

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
উইকেটের বালু খেয়ে রোহিতের অন্যরকম উদযাপন
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসি শিরোপার খরা কাটানো এবং ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর বাঁধাভাঙা আবেগের জোয়ার দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের উল্লাসে। আনন্দের দিনে অশ্রুসিক্ত হয়েছিলেন দলের ক্রিকেটাররা। এসবের মাঝে ভিন্ন এক উদযাপন করতে দেখা গেছে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। পিচের মাটি আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে পুরে নিয়েছিলেন মুখে।

এখন পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা রোহিত শর্মা ২০০৭ সালের আসরের পর জিতলেন ২০২৪ আসরও। এর আগেরবার ছিলেন দলের সাধারণ সদস্য আর এবার জিতলেন অধিনায়ক হিসেবে। জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে দিলেন এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণাও।

পিচের ওপর বসে বালু মুখে নিয়ে রোহিতের এমন উদযাপন সম্ভবত এটাই প্রমাণ করে যে এই শিরোপা ঠিক কতটা আরাধ্য ছিল ভারতের অধিনায়কের কাছে। যেই উইকেটে খেলে শিরোপা ধরা দিয়েছে সেই উইকেটকে যেন পরম মমতায় নিজের ভেতর পুষে রাখলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিতকে কেউ এমন উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন না করলেও আইসিসির প্রকাশিত ভিডিও নজর করেছে ভারত তথা সকল ক্রিকেট সমর্থকদের। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া রোহিত শিরোপা জয় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এটা খুব করে চেয়েছি। ওই মুহূর্তটার কথা ভাষায় প্রকাশ করা খুব কঠিন। আমি তখন কী ভাবছিলাম, সেটা বলতে চাই না। আমি বলতে চাই না, তখন আমার মনের মধ্যে কী চলছিল। কিন্তু আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এটা খুব আবেগের মুহূর্ত ছিল।’

‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার’

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার’
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ১৬ বছর। কিন্তু কখনোই বিশ্বকাপ জেতা হয়নি রাহুল দ্রাবিড়ের। খেলোয়াড়ি জীবনে একমাত্র অর্জন ছিল ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেটিও আবার একক শিরোপা ছিল না। বৃষ্টিতে ফাইনাল নির্ধারিত দিনে শেষ হতে পারেনি। রিজার্ভ ডেতেও খেলা সম্পন্ন না হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়। যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে।

কোচ হিসেবে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২০১৮ আসরের শিরোপা জেতাতে পারলেও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তার অধীনেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাঠে হেরেছিল ভারত। এবার তার অধীনেই ১১ বছর ধরে চলা আইসিসি শিরোপার খরা কাটাল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত শর্মারা। এই সংস্করণের শিরোপা আবার ভারতের ঘরে এসেছে ১৭ বছর পর। কোচ হিসেবে শেষ অ্যাসাইনমেন্টে ভারতকে শিরোপা জিতিয়ে গর্বিত রাহুল অনুভূতি জানাতে গিয়ে মজা করে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার।’

রাহুল আরও বলেন, ‘শেষ কয়েক ঘণ্টায় আমি শব্দ সংকটে পড়ে গেছি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, দল নিয়ে আমার এরচেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার নেই। এমনকি আজ এটা দারুণ প্রমাণ। দলের প্রথম ছয় ওভারে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও, এরপরও এমন একটা অবস্থানে যাওয়া, ছেলেরা লড়াই চালিয়ে গেছে, বিশ্বাস করে গেছে।’

এই দ্রাবিড়ই অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যেখানে বাংলাদেশের কাছে হেরে তাদেরকে বাদ পড়তে হয়েছিল আসরের শিরোপা অন্যতম দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও। সেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই দ্রাবিড় আইসিসির বৈশ্বিক আসরের শিরোপা জেতার স্বাদ পেলেন কোচ হিসেবে। অতীতের ব্যর্থতার চেয়ে ভবিষ্যৎ সাফল্যে বেশি নজর রাহুলের, ‘দায়মোচনের কিছুই নেই। আমি এমন ব্যক্তি নই যে কিনা এসবে বিশ্বাস করে। আরও অনেক খেলোয়াড় ছিলেন যারা শিরোপা জিততে সমর্থ হননি।’

সেপ্টেম্বর ২০২১ ভারতের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে শুরু হওয়া দ্রাবিড়ের যাত্রার সমাপ্তি হলো বার্বাডোসে দলকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর প্রচেষ্টায় সফল হয়ে। এ নিয়ে ভারতের কোচ বলেন, ‘এটি দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে চলা একটি সফর, এটি শুধুমাত্র ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফর নয়। দলকে তৈরি করা, যে ধরণের দক্ষতা ও খেলোয়াড় আমরা চাচ্ছিলাম তার আলোচনা শুরু হয়েছিল যখন আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম কোচ হিসেবে।’

কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া দ্রাবিড় কোচিং ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা অভূতপূর্ব, এই ড্রেসিংরুমের অংশ হতে পারা খুবই দারুণ ব্যাপার। সারাজীবনে মনে রাখার মতো স্মৃতি আমার জন্য। তাই আমি দলের সকল খেলোয়াড় ও স্টাফদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যারা এটিকে সম্ভব করে তুলেছে।’

কোহলির পর বিদায় বললেন রোহিতও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
কোহলির পর বিদায় বললেন রোহিতও
ছবি : সংগৃহীত

ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার নিতে এসে বিরাট কোহলি জানালেন তিনি অবসর নিচ্ছেন এই ফরম্যাট থেকে। এর কিছুক্ষণ বাদে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানালেন কোহলির পথে হেঁটে তিনিও বিদায় জানাচ্ছেন এই ফরম্যাটকে।

সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণায় রোহিত বলেন, ‘এটা আমারও শেষ টি-টোয়েন্টি ছিল। এই সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই সংস্করণ দিয়েই ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। এটাই চেয়েছিলাম, ট্রফিটা জিততে চেয়েছিলাম।’

ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা জেতানো রোহিত শর্মা নিজেকে আগেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন এই সংস্করণে। ৪২৩১ রান নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও করেছেন রোহিত।

সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে ২৫৭ রান করে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ রান সংগ্রাহকও। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব সংস্করণেই তিনি খেলেছেন। ১২২০ রান করে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বাধিক রান তারই নামের পাশে। আর সর্বোচ্চ ১২৯২ রান করেছেন বিরাট কোহলি।

বিরাট ও রোহিত ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেননি। এই বিশ্বকাপে দলে ফিরে দলকে শিরোপা জিতলেন এবং নিজেদেরও পরিপূর্ণ করে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায়।

মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ছবি : সংগৃহীত

ঊরুর চোটে মেসির বিশ্রাম কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনার জয়ে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনিও। এরপরও লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে পেরুরু বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।

আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই জয়ে ৩ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯

রবিবার (৩০ জুন) ভোরে ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে একাদশে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি আর্জেন্টিনার। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দলটির হয়ে আক্রমণে যান আলেহান্দ্রো গারনাচো।

গোলের দেখা পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা বারবার পেরুরু আক্রমণভাগে প্রবেশ করলেও তাদের ঠিকই রুখে দিচ্ছিল দলটির রক্ষণভাগ।

এসবের মাঝেই ২৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু লিয়ান্দ্রো পারাদেসের ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গায়াসি। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা পেরুও পায়নি গোলের দেখা। দুয়েকটি সুযোগ প্রতি আক্রমণ থেকে তৈরি করলেও ব্যর্থ হয় গোল আদায় করতে। আরেকবার গোলের সুযোগ পেয়েও আদায় করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। ৪৪ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর নেওয়া শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক গায়াসি।

প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র থাকার পর বিরতির পর মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। এরপর ৬৯ মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেয় পেরু। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পারেদেস। গোলরক্ষক ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেও পারেদেসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। 

ম্যাচের শেষদিকে ৮৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এবারও গোল করেন মার্টিনেজ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো দল গোল না পেলে ২–০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।