![অনুশীলনের মাঠে এবাদত, তবে...](uploads/2023/11/25/1700885199.ebadot hossain.jpg)
ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামে ইনজুরিতে পড়েছিলেন পেসার এবাদত হোসেন। নিজের দশম ওভারের দ্বিতীয় বল করার পর তিনি আর ওভার শেষ করতে পারেননি। তার ওভার শেষ করেছিলেন পরে নাজমুল শান্ত। এই ইনজুরি একে একে এবাদতের ক্যারিয়ার থেকে কেড়ে নেয় প্রথমে এশিয়া কাপ, পরে বিশ্বকাপের মতো আসর। অবশেষ এবাদত আবারও ফিরেছেন মাঠে। তবে খেলার জন্য নয়, সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। যদিও তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হবে সিলেট থেকে। দুই দুলই এখন অবস্থান করছে সিলেটে। এদিকে এবাদতই সিলেটের ছেলে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর মাউন্ট মঙ্গনুই টেস্ট জয়ের নায়ক এবাদত এবার পুরোপুরি সুস্থ না হওয়াতে দলে ডাক পাননি। কিন্তু সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ থেকেই তিনি গতকাল শুক্রবার ছুটে যান সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনে। সেখানে গিয়েই তিন পেসার হাসান মাহমুদকে প্রথম পান। তাকে পেয়েই বুকে জুড়িয়ে ধরেন। এরপর দেখা পান একই এলাকার দলের আরেক পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদকে। তার সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন। পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন পেস বোলিংয়ের কোচের দাযিত্ব পালন করছেন কোরি কলিমোর। তার সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন। তিনি এবাদতের ইনজুরির খবর নেন। এবাদত হাঁটুতে তার ইনজুরির অবস্থা দেখান কলিমোরকে। শরিফুল-খালেদ-হাসান মাহমুদরা যখন পূর্ণ শক্তি নিয়ে বোলিং করছিলেন, তখন এবাদত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। মনে মনে হয়তো এবাদত আফসোস করছিলেন না খেলতে পারার জন্য। আর স্মৃতির আয়না বারবার ফিরে যাচ্ছিলেন ২০২২ সালের বর্ষশুরুর দিন। যেখানে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের ঐতিহাসিক মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের উপখ্যান। প্রথম ইনিংসে ১টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৬টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ৮ উইকেটে জেতা টেস্টে এবাদত হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
এবাদতের লিগামেন্ট অপারেশন হয়েছে প্রায় দুই মাস আগে লন্ডনে। তার মাঠে ফিরতে আগামী বছরের প্রায় মাঝামাঝি সময় লাগবে। ইনজুরির অগ্রগতি জানতে আগামী ২-১ দিনের মাঝে তিনি লন্ডন যাবেন। ৩০ তারিখ তার সেখানে ডাক্তার দেখানোর কথা। তার ইনজুরি নিয়ে বিসিবির প্রধান ডাক্তার দেবাশীষ চৌধুরী জানান, ‘ইবাদতের হাঁটুর অপারেশনের প্রায় দুই মাস হতে চলল। ইবাদত দুএকদিনের মধ্যে ওর ইনজুরি রিভিউয়ের জন্য লন্ডনে যাচ্ছে। সো ফার ওর অগ্রগতি সন্তোষজনক। তবে গুরুত্ব বিবেচনা করে ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ডে যে চিকিৎসকের আন্ডারে কী অবস্থা আরেকবার দেখিয়ে আসার জন্য।’ তার মাঠে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, ‘লিগামেন্ট অপারেশনের পর খেলায় ফিরতে গড়ে ৮ মাসের মতো সময় লাগে। পেস বোলারদের ক্ষেত্রে সময়টা আরও বেশি লাগে। ওর দুই মাসের কিছু বেশি সময় হয়েছে। খেলায় ফিরতে এ হিসেবে ওর আরও ছয় মাসের মতো লেগে যাবে।’