![৯ বছর পর টেস্টে ম্যাচসেরা তাইজুল](uploads/2023/12/02/1701499832.Taijul Islam 2.jpg)
মাউন্ট মঙ্গানুইতে তাইজুলের অবদানটা কেবল একটি ক্যাচ। সিলেট টেস্টেও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা মিচেলকে ফিরিয়েছেন তাইজুল প্রায় একই ধরণের ক্যাচেই। কিন্তু, এবারের জয়ে শুধু ক্যাচ নয়। একেবারে মুখ্য ভূমিকায় তাইজুল ১০ উইকেট শিকার করে। হয়েছেন টেস্টে দ্বিতীয়বারের মত ম্যাচসেরা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় ১৫০ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ১০ উইকেট শিকার করলেন তিনি। এই সিলেটেই ২০১৮ সালে ১১ উইকেট নিয়ে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন তাইজুল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যদিও সে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ ১৫১ রানে। আর আজ জিতেছে ১৫০ রানে।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেন তাইজুল। লাথাম, মিচেল, সৌধিকে ছাড়াও শতরান করা উইলিয়ামনকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন তিনি। দ্বিতীয় দিনের শেষ বিকেলে তাকে ফিরিয়েই নিউজিল্যান্ডের লাগাম ধরে রাখেন তাইজুল।
দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন এই স্পিনার। পুনরায় ফেরান উইলিয়ামসনকে। চতুর্থ দিন শেষে আউট করেন কনওয়ে, ব্লান্ডেল ও জেমিসনকে। তার বোলিং তোপেই ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে সফরকারিরা।
পঞ্চম দিনে নিউজিল্যান্ডের ৩ উইকেটেই অবদান রাখেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। নাইমের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেফে দারুণ এক ক্যাচে ফেরান ৫৮ রান করা মিচেলকে। মারমুখী খেলতে থাকা কিউই অধিনায়ক সাউদিকে ফিরিয়ে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন। সবশেষ ২২ রানে থাকা ইশ সৌধিকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ষ্ঠ ও এই টেস্টে নিজের ১০ম উইকেট। আর তাতেই ১৫০ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে, বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এক টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও মিরাজ দুইবার করে। মিরাজ ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৮ সালে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। দুবারই নেন ১২ উইকেট করে। ২০১৪ তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর ২০১৮ রানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০ উইকেট নেন সাকিব। এবার ১০ উইকেট নিয়ে তাইজুলও টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০ উইকেট নেন দ্বিতীয়বারের মতো। এই তালিকায় সবার আগে নাম লিখিয়েছেন ২০০৫ সালে এনামুল হক জুনিয়র ১২ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।