ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিতে দম ফেলার সুযোগ নেই। ফলে সিলেট টেস্ট হারের ক্ষত শুকানোর আগে ফের মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড দল। সিলেট টেস্ট হারের পর ঢাকায় এসে গতকালই মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টকে সামনে রেখে প্রথম অনুশীলন করেন কেন উইলিয়ামসন-টিম সাউদিরা। সিলেট টেস্টে স্পিন নিয়ে হাজারও পরিকল্পনা ছিল। তবে কাজে লাগেনি। ম্যাচ হেরে সিলেট ছাড়তে হয়েছে কিউইদের। মিরপুরের উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিলেটের মতো ঢাকাতেও স্পিন নিয়ে বেশি সতর্ক সফরকারীরা।
সিলেটে ফ্লাইটেড ডেলিভারি নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক ছিল নিউজিল্যান্ড। ঢাকায় ফ্লাইটেড ডেলিভারি নয়, কাজ করেছেন স্পট বোলিং নিয়ে। দুই কিউই স্পিনার ইশ সোধি ও এজাজ প্যাটেল উইকেটের ওপর রুমাল বিছিয়ে স্পট বোলিংয়ের প্রস্তুতি সেরেছেন। টিম সাউদি-কাইল জেমিসনরা ছিলেন অনুশীলনে। কিন্তু বোলিং করতে দেখা যায়নি। সিলেটে দেখা মেলেনি বাঁহাতি পেসার নেইল ওয়াগনারের। ঢাকার প্রথম দিনের অনুশীলনে দেখা মিলেছে তার।
প্রথম দিনের অনুশীলনে নিউজিল্যান্ডের সামনে ছিল সিলেট টেস্ট হারের ক্ষত শুকিয়ে ওঠার চেষ্টা। হারের ওই ব্যর্থতা কাটিয়ে বাংলাদেশকে অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য জানিয়ে ইশ সোধি বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ যেভাবে খেলেছে তারা অনেক জায়গায় আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। এই কন্ডিশনে কীভাবে সফল হতে হয় এর পথও দেখিয়ে দিয়েছে। আশা করছি পরবর্তী ম্যাচে এটা কাজে লাগাতে পারব।’ সিলেট টেস্টের মাঝপথে সাদাপোশাকের ক্রিকেটের ছন্দ ফিরে পেয়েছেন বলে মনে করেন সোধি। বলেন, ‘সিলেটে প্রথম টেস্ট হেরে পরাজিত দল নিয়ে আসা কঠিন। কিন্তু টেস্ট যত এগোচ্ছিল আমরা ছন্দ পাচ্ছিলাম। আমি অনেক দিন টেস্ট খেলি না। কাজেই এই কন্ডিশনে কাজটা কঠিন।’
সিলেট টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে জয়ের নায়ক তাইজুল ইসলাম। সেরকম কিছু করতে প্রত্যয়ী সোধি বলেন, ‘আশা করছি আমরা একটি বোলিং গ্রুপ হিসেবে একসঙ্গে পারফর্ম করতে পারব। স্পিন গ্রুপ বা যাই হোক না কেন চেষ্টা করব উন্নতি করতে।’ ঢাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আশাবাদী সোধির ভাষ্য, ‘আশা করছি শেষ ম্যাচে আমরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারব। কিন্তু এখন আমাদের পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই। শেষ ম্যাচে আমরা যে ভুলগুলো করেছি সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং এটা করতে পারলে শেষ ম্যাচ জিতে ঘুরে দাঁড়াতে আমরা আশাবাদী।’
বাংলাদেশে পা রেখে সরাসরি সিলেটে উড়াল দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড দল। ফলে ঢাকার কন্ডিশন সম্পর্কে এখনো জানাশোনা হয়নি তাদের। এখনই তাই কন্ডিশন সম্পর্কে কিছু ধারণা করতে পারছেন না সোধি। তবে তার বিশ্বাস অনুশীলন করে মানিয়ে নিবেন মিরপুরের কন্ডিশনের সঙ্গে। বলেন, ‘আমরা সবে এখানে এসেছি। এখানে আর্দ্রতা অনেক বেশি। মনে হচ্ছে সারফেস আরেকটু নরম থাকবে। ঘাস একটু বেশি থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে আরও ভালো করে বোঝার চেষ্টা করব। এখানে আগ্রাসী হব না রক্ষণাত্মক থাকব, এটা বুঝতে হবে। দ্বিতীয় টেস্টের জন্য মুখিয়ে আছি।’