নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে মিরপুরে বাংলাদেশ সাজায় র্যাঙ্ক টার্নার উইকেটের পসরা। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। উল্টো নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে সিরিজ ড্র। সেই হারের হতাশার দিনেও নাজমুল হোসেন শান্ত জানান, এমন উইকেটে খেলতে চান। তবে ম্যাচ জিতেও নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদির মনে হয়েছে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে উইকেটে খেলেছেন তিনি। সবচেয়ে বাজে উইকেট মনে হলেও ম্যাচ জয়ের স্বস্তি ছিল সাউদির চোখেমুখে।
গতকাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের উইকেটকে সবচেয়ে বাজে আখ্যা দিয়ে সাউদি বলেন, ‘সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে বাজে উইকেট এটা। যেমনটা আমি বললাম, বল আর ব্যাটের মাঝে পার্থক্যটা ছিল বিশাল। উইকেটে বোলারদের প্রতি সাহায্যটা ছিল অনেক বেশি। ১৭০ ওভারে ম্যাচ শেষ, তো বুঝাই যাচ্ছে!’
তবে এমন উইকেটে জয় পাওয়া যে তৃপ্তিদায়ক সেটা মনে করিয়ে সাউদি বলেন, ‘এই উইকেটে লড়াই শেষে ম্যাচ জেতাটা বেশি আনন্দ দিচ্ছে।’ মিরপুর টেস্টে কিউইদের জয়ের মূল নায়ক ছিলেন দুই ইনিংসে সাবলিল ব্যাটিং করা গ্লেন ফিলিপস। তাকে নিয়ে প্রশংসা ছিল সাউদির কণ্ঠে। এই নিয়ে তার ভাষ্য, ‘গ্লেন ফিলিপস দারুণ করেছে। প্রথম ইনিংসে তার ইনিংস বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। স্পিন বোলিংয়ে এখনো সে নতুন, পুরো সিরিজে বল হাতে যেভাবে ভূমিকা রেখেছে সেটা অসাধারণ।’
বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশে এসে সিলেটে প্রথম টেস্ট হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। সিরিজে সমতায় এনে সফর শেষ করার খুশি নিউজিল্যান্ড শিবির। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের এই অংশে আপনি যখন আসেন, তখন বিশেষ করে আমাদের জন্য কাজটা বেশ কঠিন হয়, কারণ আমাদের জন্য এই কন্ডিশনটা বেশ অচেনা। টেস্টে আরও বেশি হয়। টসে হেরে এমন উইকেটে খেলে জেতাটা খুবই তৃপ্তিদায়ক। অনেক খেলোয়াড় অবদান রেখেছে এই ম্যাচে, প্রথম টেস্টের পর সিরিজে সমতা ফেরাতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।’
মিরপুর টেস্টের আগে বাংলাদেশ শিবিরে বারবার কথা উঠেছে হোম কন্ডিশন নিয়ে। সেই সুবিধা নিয়ে মিরপুরে তৈরি করা হয়েছিল স্পিন স্বর্গ। কিন্তু কাজে লাগেনি। তাই নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের কাছে প্রশ্ন উঠেছিল হোম কন্ডিশন বলতে কী বোঝেন। এই উত্তরে সাউদির ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় হোম কন্ডিশন সেটাই যেখানে স্বাগতিক দল সুবিধা পায়। বাংলাদেশ শেষ কয়েক বছর ধরে তিন ফরম্যাটে উন্নতি করছে। এই ধরনের কন্ডিশনে তারা কঠিন দল।’
অস্ট্রেলিয়া-ভারতের উদাহরণ টেনে কিউই অধিনায়ক বলেন, ‘আপনি ভারতে যান, ম্যাচ জেতা কঠিন। অস্ট্রেলিয়ায় যান, সেখানেও ম্যাচ জেতা অনেক কঠিন। টেস্ট ক্রিকেটে বাইরে জয় পাওয়াটা বড্ড কঠিন কাজ।’
