![আম্পায়ারিং ছাড়ার ঘোষণা এরাসমাসের](uploads/2024/02/29/1709187241.Marais-Erasmus.jpg)
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আর আম্পায়ারিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনবারের আইসিসির বর্ষসেরা আম্পায়ার দক্ষিণ আফ্রিকার মারাইস এরাসমাস। আধুনিক ক্রিকেটে খুবই জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য আম্পায়ারদের একজন তিনি।
দুটি বিশ্বকাপ ফাইনালে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা এরাসমাস অবসরের খবরটি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে। ২০১৫ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ছিলেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে আর ২০১৯ লর্ডসে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ফাইনালে ছিলেন মাঠের আম্পায়ার হিসেবে।
২০২৩ ভারত বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব পেয়েছিলেন আম্পায়ার হিসেবে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচে ‘টাইমড আউট’ এর ঘটনার দিন আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আবেদনের প্রেক্ষিতে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে আউটের সিদ্ধান্ত দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ওয়েলিংটনে শুরু হওয়া নিউজিল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া টেস্টই হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ার হিসেবে তার শেষ ম্যাচ।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে ৬০ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা আমি গত বছরের অক্টোবরে নিয়েছি। আইসিসিকে সেটা জানিয়েও দিয়েছি যে এপ্রিলে আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে আর থাকছি না।’
২০১৬, ২০১৭ ও ২০২১ তিনবার আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার জেতা এরাসমাস জানিয়েছেন পেশাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং, ‘এ কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় সঠিক সিদ্ধান্ত জানানোর মুহূর্তে। এটা সব সময় কঠিন এবং বিশেষ ব্যাপার। কাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে আনন্দ লাগে।’
অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জোহানেসবার্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেক হয় তার। এই পেশায় গেল দেড় যুগ ধরে তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৭৮ ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন তিনি। এর মধ্যে টেস্ট ১২৫টি, ওয়ানডে ১৯২ ও টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ার ছিলেন ৬১ ম্যাচে। এছাড়া মেয়েদের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ৭৯টি।
২০১০ সালে স্বদেশি আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেন অবসর নিলে তার জায়গায় আইসিসির এলিট প্যানেলভুক্ত হন এরাসমাস।