শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নুয়ান থুসারার হ্যাটট্রিকে প্রথম শিকার ছিলেন নাজমুল শান্ত, শেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনেই লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে প্রাণ ফেরান টাইগার শিবিরে। এরপর মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান শান্ত।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সাগরিকায় অশান্ত হয়ে উঠেন শান্ত। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১২২ রানের হার না মানা ইনিংসে লিখেন জয়ের গল্প। মুশফিকের সঙ্গে তার রেকর্ড ১৬৫ রানের (১৭৫ বলে) অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৪ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ। সেটাও ৩২ বল হাতে রেখে।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা। ৪৮.৫ ওভারে অলআউট হয় ২৫৫ রানে। সমান ৩টি করে উইকেট পান তিন পেসার- শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ এবং তানজিম হাসান সাকিব। সফরকারীদের অপর উইকেট যায় স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের পকেটে।
লক্ষ্য তাড়ায় দ্রুত তিন উইকেট হারানোর হারের শঙ্কা জেগেছিল টাইগার শিবিরে। গোল্ডেন ডাক মানে লিটন দাস। ড্যাশিং এই ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই দিলশান মাদুসাঙ্কার ক্যাচ বনেন। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান। তাকেও শিকার বানান মাদুসাঙ্কা।
ইনিংসের ষষ্ঠ প্রমোদ মাদুসানের আঘাত। তাতে মাঠ ছাড়েন চারে নামা তাওহীদ হৃদয়। তিনিও করেন ৩ রান। বাংলাদেশ শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে শান্ত-মাহমুদউল্লাহর ৬৯ রানের জুটিতে। দলীয় ৯২ এবং ব্যক্তিগত ৩৭ রানে লাহিরু কুমারার শিকার হন মাহমুদউল্লাহ।
শতরানের মধ্যে ৪ উইকেট হারালেও দলকে বিপদে যেতে দেননি শান্ত-মুশফিক। বাংলাদেশ অধিনায়ক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ১২২ বলের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার মার। মুশফিকের ৭৩ রানের ইনিংসে কোনো ছক্কা ছিল না। ৮৪ বল খেলে ৮টি চার মারেন মিঃ ডিপেন্ডেবল।