ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ বাজির ঘোড়া আফগানিস্তান

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ২২ মে ২০২৪, ১১:৩০ এএম
বাজির ঘোড়া আফগানিস্তান
ছবি : সংগৃহীত

বড় কোনো ইতিহাস নেই। নেই আহমরি কোনো সাফল্য। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাপ্তি বলতে কিছু জয়। এটা যেমন দ্বিপক্ষীয় সিরিজে, তেমনই আইসিসি ইভেন্টে। এমন দলকেই বাজির ঘোড়া মানছেন ব্রায়ান লারা। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলবে কোন দল? এমন প্রশ্নে সাবেক ক্যারিবীয় কিংবদন্তির জবাব ছিল- ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ সংস্করণে তাকিয়ে এই ভবিষদ্বাণী নিয়ে হাসতেই পারে অনেকে। কারণ অস্ট্রেলিয়ার জয়শূন্য ছিল আফগানরা। তবে লারার মতো ক্রিকেটবোদ্ধারা যে ভুল বলেননি তার প্রমাণ ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। গত বছর ভারতে ওই অভিযানে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালের লড়াইয়ে ছিল আফগানিস্তান।

সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে আফগানদের শিকার হয়েছিল টুর্নামেন্টের সাবেক তিন চ্যাম্পিয়ন- ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। সেরা চারের দৌড়ে তারা আসর শেষ করেছিল টেবিলের ছয়ে থেকে। চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা নিউজিল্যান্ডের চেয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট কম ছিল রশিদদের। এমন দলকে হুমকি মানা যায় কোনো সংকোচ ছাড়াই, বিশেষ করে অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটের ছোট ফরম্যাট টি-টোয়েন্টিতে। 

নির্দিষ্ট দিনে ভালো ক্রিকেটে জয়ের গল্প লেখার মতো শক্তি-সামর্থ্যের কমতি নেই আফগানিস্তান শিবিরে। তাদের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে অলরাউন্ডার  ছড়াছড়ি।  অধিনায়ক রশিদ ছাড়াও এই তালিকায় আছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত এবং নাঙ্গিয়াল খারোতি।

আফগান দলে স্বীকৃত ব্যাটার মাত্র চার জন- কিপার রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, নাজিবুল্লাহ জাদরান এবং ব্যাকআপ মোহাম্মদ ইসহাক। স্পিনভাগে রশিদ, নবী, খারোতি ছাড়া আছেন মুজিব উর রহমান এবং নুর আহমদ। পেসভাগে নবীন উল হক, ফজলহক ফারুকী এবং ফরিদ আহমদ। এক কথায়- বিশ্বকাপের জন্য সেরা দল সাজিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। পূর্ণশক্তির দলটি এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজে। রশিদের নেতৃত্বে অভিযান শুরুর অপেক্ষায়, যিনি বিশ্বকাপের জন্য সম্প্রতি জন্মভূমিতে ফিরেছেন চার বছর পর! নিরাপত্তা ইস্যুতে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে খুব বেশি থাকা হয় না তার। যেহেতু রাজধানী কাবুল থেকে বিশ্বকাপ যাত্রা করেছে দল, তাই জন্মভূমিতে ফিরেছিলেন আফগানিস্তান ক্রিকেটের পোস্টার বয়।

অল্প সময় দেশে কাটিয়ে ক্যারিবীয় দ্বীপে রশিদ ও তার সতীর্থরা। যুদ্ধের দেশের ছেলেরা এখন ২২ গজের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সামনের চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে রয়েছে। সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি আঁকড়ে শুরু থেকেই নিজেদের সেমিফাইনালের রেসে রাখার চেষ্টা করবে । খেলবে তাদের স্বভাবসুলভ ভয়ডরহীন ক্রিকেট। সম্প্রতি এক মিডিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ দল নিয়ে কথা বলার সময় আফগানদের এই সাহসিকতার কথা ফুটে উঠেছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের কণ্ঠেও। বলেছিলেন, ‘দেখুন, আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ থেকে এসেছে, তাই তারা আমাদের খেলোয়াড়দের মতো ১৪০ প্লাস গতির বল মোকাবিলা করতে ভয় পায় না।’

আইপিএলে ৮ আফগানের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি

রাজনৈতিক কারণে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলা কিংবা দল হয়ে প্রস্তুত হওয়া- দুটো সুযোগই কালেভদ্রে পায় আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ঘাটতি পুষিয়ে নিতে দেশের বাইরে ক্রিকেটের ওপর নির্ভরশালী তারা। এটাও সম্ভব হয়েছে তাদের ক্রিকেটীয় মেধার কারণে। যোগ্যতা-বলে চলতি আইপিএলে খেলার সুযোগ হয়েছে ৮ আফগান ক্রিকেটারের। তারা বিশ্বের জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগে খেলেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

আইপিএলে আফগান ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে রশিদ খানের। ১২ ম্যাচে শিকার করেছেন ১০ উইকেট এবং তার নামের পাশে রয়েছে ১০২ রান। গুজরাট টাইটান্সে রশিদ ছাড়াও খেলেছেন নুর আহমদ এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই। নুর ১০ ম্যাচে শিকার করেছে ৮ উইকেট। ওমরজাই ৭ ম্যাচে পেয়েছেন ৪ উইকেট এবং ৪ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে করেছেন ৪২ রান।

লক্ষ্ণৌর হয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করেছেন নবীন উল হক। মোহাম্মদ নবী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ভালো সার্ভিস দিতে পারেননি। ৬ ইনিংস বোলিং করে পেয়েছেন মাত্র ২টি উইকেট। আর পাঁচবার ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বসাকুল্যে করতে পেরেছেন ৩৫ রান। কলকাতা শিবিরে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজ এক ইনিংসও ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। এ বছর আইপিএলে অভিষেক হয়েছে গুলবাদিন নায়েবের। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ইনিংসে সুযোগ পেয়ে ১৯ রান করেছেন তিনি। দুর্ভাগ্য ফজলহক ফারুকীর। হায়দরাবাদের স্কোয়াডে থাকলেও লিগপর্ব পর্যন্ত একটি ম্যাচের একাদশেও ঠাঁই হয়নি এই আফগান পেসারের।

তারা এখন সেন্ট কিটসে

আগেই বলা হয়েছে, দল হিসেবে খুব বেশি অনুশীলনের সুযোগ হয় না আফগানিস্তানের। তাই আগেভাগেই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজে পাড়ি জমিয়েছে রশিদ বাহিনী। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কাবুল থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপের বিমান ধরে আফগান দল। পাড়ি জমিয়েছে সেন্ট কিটসে। যদিও দলের সঙ্গী হয়নি স্কোয়াডের ১৫ সদস্য। সেটা আইপিএলের কারণে। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগে দায়িত্ব পালন শেষে সেন্ট কিটসে রশিদদের সঙ্গে যোগ দেবেন অবশিষ্ট কয়েকজন ক্রিকেটার। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) সভাপতি মিরওয়াইস আশরাফ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়রা কন্ডিশন এবং আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আগে ভ্রমণ করেছে।’

অভিযান শুরু ৪ জুন

‘সি’ গ্রুপে পড়েছে আফগানিস্তান। তাদের অপর চার প্রতিপক্ষ- স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এবং উগান্ডা। রশিদদের অভিযান শুরু হবে আগামী ৪ জুন। বিশ্বকাপে তাদের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ উগান্ডা। এরপর নিউজিল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে যথাক্রমে ৮, ১৪ এবং ১৮ জুন। আফগানদের চার ম্যাচের প্রতিটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময়ে সকালে। তিনটি সকাল সাড়ে ৬টায় এবং একটি সকাল সাড়ে ৫টায়।

টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের অভিষেক ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ম্যাচ: ১৩০

জয়: ৭৯

হার: ৪৮

টাই: ২

পরিত্যাক্ত: ১

র‌্যাঙ্কিং: ১০

দল

রশিদ খান (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ ইসহাক, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, করিম জানাত, নাঙ্গিয়াল খারোতি, মুজিব উর রহমান, নুর আহমদ, নবীব উল হক, ফজলহক ফারুকী এবং ফরিদ আহমত মালিক। রিজার্ভ: সাদিক অটল, হজরতউল্লাহ জাজাই, সালিম সাফি।

রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
রোহিত-কোহলির পর থামলেন জাদেজাও
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বকাপ জেতার পর ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার গ্রহণ করতে এসে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বিরাট কোহলি। শিরোপা উদযাপন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানান অবসরের সিদ্ধান্তের কথা। পুরোপুরি একদিন না পেরোতেই এবার অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতের আরেক ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।

রবিবার (৩০ জুন) ইনস্টাগ্রামে অবসরের ঘোষণা দেন জাদেজা। ভারতের হয়ে ৩৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার খেলেছেন ৭৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

অবসর বার্তায় জাদেজা লিখেছেন, ‘কৃতজ্ঞ হৃদয়ে আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানাচ্ছি। গৌরবের সঙ্গে দ্রুতবেগে ছুটে চলা ঘোড়ার মতো আমি সব সময়ই দেশের জন্য সেরাটা দিয়েছি এবং অন্যান্য সংস্করণে সেটা করে যাব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অর্জন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, যেটা জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সব স্মৃতি, উল্লাস আর বিরামহীন সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।’

নিজের শেষ বিশ্বকাপটায় খুব একটা ভালো করতে পারেননি জাদেজা। সবমিলিয়ে ৫ ইনিংসে ব্যাট হাতে করেন ৩৫ রান। বল হাতেও ছিলেন সাদামাটা। শিকার করেছেন মাত্র ১টি উইকেট।

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ ম্যাচে ৪১ ইনিংসে ব্যাট করে ১২৭.১৬ স্ট্রাইক রেটে ৫১৫ রান করেছেন জাদেজা। আর ৭১ ইনিংসে বল হাতে নিয়ে ৭.১৩ ইকোনমিতে নিয়েছেন ৫৪ উইকেট।

উইকেটের বালু খেয়ে রোহিতের অন্যরকম উদযাপন

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
উইকেটের বালু খেয়ে রোহিতের অন্যরকম উদযাপন
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ বছর পর আইসিসি শিরোপার খরা কাটানো এবং ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর বাঁধাভাঙা আবেগের জোয়ার দেখা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের উল্লাসে। আনন্দের দিনে অশ্রুসিক্ত হয়েছিলেন দলের ক্রিকেটাররা। এসবের মাঝে ভিন্ন এক উদযাপন করতে দেখা গেছে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে। পিচের মাটি আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে পুরে নিয়েছিলেন মুখে।

এখন পর্যন্ত সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা রোহিত শর্মা ২০০৭ সালের আসরের পর জিতলেন ২০২৪ আসরও। এর আগেরবার ছিলেন দলের সাধারণ সদস্য আর এবার জিতলেন অধিনায়ক হিসেবে। জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে দিলেন এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণাও।

পিচের ওপর বসে বালু মুখে নিয়ে রোহিতের এমন উদযাপন সম্ভবত এটাই প্রমাণ করে যে এই শিরোপা ঠিক কতটা আরাধ্য ছিল ভারতের অধিনায়কের কাছে। যেই উইকেটে খেলে শিরোপা ধরা দিয়েছে সেই উইকেটকে যেন পরম মমতায় নিজের ভেতর পুষে রাখলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রোহিতকে কেউ এমন উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন না করলেও আইসিসির প্রকাশিত ভিডিও নজর করেছে ভারত তথা সকল ক্রিকেট সমর্থকদের। 

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া রোহিত শিরোপা জয় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি এটা খুব করে চেয়েছি। ওই মুহূর্তটার কথা ভাষায় প্রকাশ করা খুব কঠিন। আমি তখন কী ভাবছিলাম, সেটা বলতে চাই না। আমি বলতে চাই না, তখন আমার মনের মধ্যে কী চলছিল। কিন্তু আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে এটা খুব আবেগের মুহূর্ত ছিল।’

‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার’

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার’
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ১৬ বছর। কিন্তু কখনোই বিশ্বকাপ জেতা হয়নি রাহুল দ্রাবিড়ের। খেলোয়াড়ি জীবনে একমাত্র অর্জন ছিল ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়। সেটিও আবার একক শিরোপা ছিল না। বৃষ্টিতে ফাইনাল নির্ধারিত দিনে শেষ হতে পারেনি। রিজার্ভ ডেতেও খেলা সম্পন্ন না হওয়ায় পরিত্যক্ত হয়। যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে।

কোচ হিসেবে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২০১৮ আসরের শিরোপা জেতাতে পারলেও ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে তার অধীনেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাঠে হেরেছিল ভারত। এবার তার অধীনেই ১১ বছর ধরে চলা আইসিসি শিরোপার খরা কাটাল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত শর্মারা। এই সংস্করণের শিরোপা আবার ভারতের ঘরে এসেছে ১৭ বছর পর। কোচ হিসেবে শেষ অ্যাসাইনমেন্টে ভারতকে শিরোপা জিতিয়ে গর্বিত রাহুল অনুভূতি জানাতে গিয়ে মজা করে বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে আমি বেকার।’

রাহুল আরও বলেন, ‘শেষ কয়েক ঘণ্টায় আমি শব্দ সংকটে পড়ে গেছি। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা যেভাবে লড়াই করেছি, দল নিয়ে আমার এরচেয়ে বেশি গর্বিত হওয়ার নেই। এমনকি আজ এটা দারুণ প্রমাণ। দলের প্রথম ছয় ওভারে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও, এরপরও এমন একটা অবস্থানে যাওয়া, ছেলেরা লড়াই চালিয়ে গেছে, বিশ্বাস করে গেছে।’

এই দ্রাবিড়ই অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। যেখানে বাংলাদেশের কাছে হেরে তাদেরকে বাদ পড়তে হয়েছিল আসরের শিরোপা অন্যতম দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও। সেই ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জেই দ্রাবিড় আইসিসির বৈশ্বিক আসরের শিরোপা জেতার স্বাদ পেলেন কোচ হিসেবে। অতীতের ব্যর্থতার চেয়ে ভবিষ্যৎ সাফল্যে বেশি নজর রাহুলের, ‘দায়মোচনের কিছুই নেই। আমি এমন ব্যক্তি নই যে কিনা এসবে বিশ্বাস করে। আরও অনেক খেলোয়াড় ছিলেন যারা শিরোপা জিততে সমর্থ হননি।’

সেপ্টেম্বর ২০২১ ভারতের ক্রিকেটে কোচ হিসেবে শুরু হওয়া দ্রাবিড়ের যাত্রার সমাপ্তি হলো বার্বাডোসে দলকে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর প্রচেষ্টায় সফল হয়ে। এ নিয়ে ভারতের কোচ বলেন, ‘এটি দুই বছরেরও অধিক সময় ধরে চলা একটি সফর, এটি শুধুমাত্র ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সফর নয়। দলকে তৈরি করা, যে ধরণের দক্ষতা ও খেলোয়াড় আমরা চাচ্ছিলাম তার আলোচনা শুরু হয়েছিল যখন আমি যাত্রা শুরু করেছিলাম কোচ হিসেবে।’

কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া দ্রাবিড় কোচিং ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ উল্লেখ করে বলেন, ‘এটা অভূতপূর্ব, এই ড্রেসিংরুমের অংশ হতে পারা খুবই দারুণ ব্যাপার। সারাজীবনে মনে রাখার মতো স্মৃতি আমার জন্য। তাই আমি দলের সকল খেলোয়াড় ও স্টাফদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যারা এটিকে সম্ভব করে তুলেছে।’

কোহলির পর বিদায় বললেন রোহিতও

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:৪১ পিএম
কোহলির পর বিদায় বললেন রোহিতও
ছবি : সংগৃহীত

ম্যান অব দ্যা ফাইনালের পুরস্কার নিতে এসে বিরাট কোহলি জানালেন তিনি অবসর নিচ্ছেন এই ফরম্যাট থেকে। এর কিছুক্ষণ বাদে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত শর্মাও জানালেন কোহলির পথে হেঁটে তিনিও বিদায় জানাচ্ছেন এই ফরম্যাটকে।

সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষণায় রোহিত বলেন, ‘এটা আমারও শেষ টি-টোয়েন্টি ছিল। এই সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই সংস্করণ দিয়েই ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। এটাই চেয়েছিলাম, ট্রফিটা জিততে চেয়েছিলাম।’

ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা জেতানো রোহিত শর্মা নিজেকে আগেই অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন এই সংস্করণে। ৪২৩১ রান নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও করেছেন রোহিত।

সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে ২৫৭ রান করে হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ রান সংগ্রাহকও। এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব সংস্করণেই তিনি খেলেছেন। ১২২০ রান করে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বাধিক রান তারই নামের পাশে। আর সর্বোচ্চ ১২৯২ রান করেছেন বিরাট কোহলি।

বিরাট ও রোহিত ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেননি। এই বিশ্বকাপে দলে ফিরে দলকে শিরোপা জিতলেন এবং নিজেদেরও পরিপূর্ণ করে অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করে জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায়।

মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার জয়
ছবি : সংগৃহীত

ঊরুর চোটে মেসির বিশ্রাম কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনার জয়ে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডাগআউটে ছিলেন না কোচ লিওনেল স্কালোনিও। এরপরও লাউতারো মার্টিনেজের জোড়া গোলে পেরুরু বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা।

আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই জয়ে ৩ ম্যাচে পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯

রবিবার (৩০ জুন) ভোরে ফ্লোরিডার হার্ড রক স্টেডিয়ামে একাদশে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামলেও জয় পেতে কষ্ট হয়নি আর্জেন্টিনার। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দলটির হয়ে আক্রমণে যান আলেহান্দ্রো গারনাচো।

গোলের দেখা পেতে মরিয়া আর্জেন্টিনা বারবার পেরুরু আক্রমণভাগে প্রবেশ করলেও তাদের ঠিকই রুখে দিচ্ছিল দলটির রক্ষণভাগ।

এসবের মাঝেই ২৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু লিয়ান্দ্রো পারাদেসের ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গায়াসি। রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা পেরুও পায়নি গোলের দেখা। দুয়েকটি সুযোগ প্রতি আক্রমণ থেকে তৈরি করলেও ব্যর্থ হয় গোল আদায় করতে। আরেকবার গোলের সুযোগ পেয়েও আদায় করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। ৪৪ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর নেওয়া শট অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক গায়াসি।

প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র থাকার পর বিরতির পর মাঠে নেমেই আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। এরপর ৬৯ মিনিটে আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল করে আর্জেন্টিনাকে পেনাল্টি উপহার দেয় পেরু। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পারেদেস। গোলরক্ষক ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেও পারেদেসের শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে। 

ম্যাচের শেষদিকে ৮৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এবারও গোল করেন মার্টিনেজ। এ নিয়ে আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ ৬ ম্যাচে ৭ গোল করলেন তিনি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো দল গোল না পেলে ২–০ ব্যবধানে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।