প্রতিপক্ষের কথা না ভেবে সতীর্থদের চাপমুক্ত রাখতে চেয়েছিলেন ওমানের অধিনায়ক ও কোচ। কিন্তু তাতেও কোনো অঘটনের জন্ম দিতে পারেনি তারা। পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছে ৩৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ ওভার শেষে তাদের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে। যদিও বোলিংয়ের সময় দ্রুত ৫০ রানে অজিদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিল আকিব ইলিয়াসরা।
অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৬ রানে গোল্ডেন ডাকে প্রতিক আতাভালের উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে এশিয়ার দলটি। ২৩ রানে কেশ্যপ প্রজাপতির উইকেট নেন নাথান এলিস, তিনি করেন ৭ রান। আকিব ইলিয়াস কাটা পড়েন স্টয়নিসের বলে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রান করে। ৩৪ রানে আবারও স্টয়নিসের আঘাত, জিসান মাকসুদ বিদায় নেন ১ রান করে। ফলে ৩৪ রান করে ৪ উইকেট হারায় ওমান।
১১.৫ বলে প্রথম উইকেটের দেখা পান মিচেল স্টার্ক। খালিদ কাইল ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন তার বলে ৮ রান করে, ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটির পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। দলের রান ১ যোগ হয়ে ৫৭ হতেই জাম্পার বলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন শোয়েব খান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা আয়ান খানও সেই জাম্পার বলে ক্যাচ দেন জস হ্যাজেলউডের হাতে দলীয় ৮৯ রানে। ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলা মেহরান খানকে ফেরান স্টয়নিস। শাকিল আহমেদ ১১ রান করে এলিসের বলে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিলে ৯ উইকেটের পতন ঘটে দলটির ১২৩ রানে, ইনিংসের ১৯.৩ বলে। অলআউট না হলেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তার করে ১২৫ রান। ফলে অস্ট্রেলিয়া চলতি বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয় পায় ৩৯ রানে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ম্যাচেও হারতে হয়েছে ওমানকে। ৩টি উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস, জোড়া উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক, এলিস ও জাম্পা।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিলাল খানের বলে দলীয় ১৯ রানে ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ১৪ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল গোল্ডেন ডাকে আউট হলে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারালে ওয়ান কিছুটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নারের ৫১ বলে ধীরগতির ৫৬ ও মার্কাস স্টয়নিসের ৩৬ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অজিরা।
মেহরান খান দুটি, বিলাল খান ও কলিম উল্লাহ নেন ১টি করে উইকেট, অন্যটি ছিল রানআউট।