ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

ভালো শুরুর পরও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল ওমান

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
আপডেট: ০৬ জুন ২০২৪, ১০:৫২ এএম
ভালো শুরুর পরও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারল ওমান
ছবি : সংগৃহীত

প্রতিপক্ষের কথা না ভেবে সতীর্থদের চাপমুক্ত রাখতে চেয়েছিলেন ওমানের অধিনায়ক ও কোচ। কিন্তু তাতেও কোনো অঘটনের জন্ম দিতে পারেনি তারা। পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছে ৩৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০ ওভার শেষে তাদের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রানে। যদিও বোলিংয়ের সময় দ্রুত ৫০ রানে অজিদের ৩ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের আশা জাগিয়েছিল আকিব ইলিয়াসরা। 

অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ৬ রানে গোল্ডেন ডাকে প্রতিক আতাভালের উইকেট হারানোর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে এশিয়ার দলটি। ২৩ রানে কেশ্যপ প্রজাপতির উইকেট নেন নাথান এলিস, তিনি করেন ৭ রান। আকিব ইলিয়াস কাটা পড়েন স্টয়নিসের বলে ম্যাথু ওয়েডকে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রান করে। ৩৪ রানে আবারও স্টয়নিসের আঘাত, জিসান মাকসুদ বিদায় নেন ১ রান করে। ফলে ৩৪ রান করে ৪ উইকেট হারায় ওমান। 

১১.৫ বলে প্রথম উইকেটের দেখা পান মিচেল স্টার্ক। খালিদ কাইল ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন তার বলে ৮ রান করে, ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটির পরাজয় তখন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় মাত্র। দলের রান ১ যোগ হয়ে ৫৭ হতেই জাম্পার বলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হন শোয়েব খান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করা আয়ান খানও সেই জাম্পার বলে ক্যাচ দেন জস হ্যাজেলউডের হাতে দলীয় ৮৯ রানে। ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও খেলা মেহরান খানকে ফেরান স্টয়নিস। শাকিল আহমেদ ১১ রান করে এলিসের বলে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দিলে ৯ উইকেটের পতন ঘটে দলটির ১২৩ রানে, ইনিংসের ১৯.৩ বলে। অলআউট না হলেও নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে তার করে ১২৫ রান। ফলে অস্ট্রেলিয়া চলতি বিশ্বকাপে তাদের প্রথম জয় পায় ৩৯ রানে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ম্যাচেও হারতে হয়েছে ওমানকে। ৩টি উইকেট নিয়েছেন স্টয়নিস, জোড়া উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক, এলিস ও জাম্পা।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বিলাল খানের বলে দলীয় ১৯ রানে ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মিচেল মার্শ ১৪ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল গোল্ডেন ডাকে আউট হলে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারালে ওয়ান কিছুটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে অবশ্য ডেভিড ওয়ার্নারের ৫১ বলে ধীরগতির ৫৬ ও মার্কাস স্টয়নিসের ৩৬ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অজিরা।

মেহরান খান দুটি, বিলাল খান ও কলিম উল্লাহ নেন ১টি করে উইকেট, অন্যটি ছিল রানআউট।

বিব্রতকর রেকর্ডে সৌম্য-তামিমের পাশে কোহলি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
বিব্রতকর রেকর্ডে সৌম্য-তামিমের পাশে কোহলি
ছবি : সংগৃহীত

দাপুটে পারফরম্যান্স করে ভারত ফাইনালে পা রাখলেও ব্যাট হাতে এখনও ভালোকিছু করতে পারেননি বিরাট কোহলি। এবারের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৫ রান করেছেন তিনি ১০.৭১ গড়ে। এর মধ্যে রয়েছে দুটি শূন্য। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন তিনি সুপার এইটে বাংলাদেশের বিপক্ষে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবশ্য আস্থা হারাচ্ছেন না কোহলির ওপর।

কোহলির এই রান খরার মাঝেই সামনে এসেছে এক বিব্রতকর রেকর্ড। যেই রেকর্ডে রয়েছে কোহলিরও নাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক আসরে সর্বনিম্ন ৫ ইনিংস খেলেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে কোহলির গড় তৃতীয় সর্বনিম্ন। যে তালিকায় প্রথম অবশ্য সৌম্য সরকার। ২০১৬ বিশ্বকাপে তিনি রান করেছিলেন ৯.৬০ গড়ে। এটি আবার বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো ওপেনারের সর্বনিন্ম গড়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে অবস্থান জিম্বাবুয়ের ওয়েসলি মাধেভেরে। তার গড় বেশি ৯.৮০। এরপর কোহলি। তার গড় ১০.৭১।

এই তালিকায় বাংলাদেশের আছেন তিনজন। কোহলির পরেই তার অবস্থান। তিনি তানজিদ হাসান তামিম। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসে এমন বিব্রতকর রেকর্ডে বসে গেছে তার নাম। এবারের বিশ্বকাপে ১০.৮৫ গড়ে তার ব্যাটে এসেছে ৭৬ রান। 

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দিয়ে তামিম ইকবালের অবস্থান পঞ্চম। প্রথম আসরে তার গড় ছিল ১১.২০। ৫ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৫৬ রান। 

ভারত ফাইনালে পা রাখায় কোহলির সামনে এখন এই বিব্রতকর রেকর্ড থেকে নিজের নাম সরিয়ে ফেলার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ১২১৬ রান নিয়ে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সবসময়ের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরেন অবস্থান করছেন তিনি।

ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা
ছবি : সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আসরের সেরা দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। দুই দলই অপরাজেয় হয়ে পা রেখেছে ফাইনালে। ফাইনালে যেই দলই জিতুক না কেন, সেই দলই কোনো ম্যাচ না হেরেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার রেকর্ড গড়বে।

সেই ম্যাচকে ঘিরে যারা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন তাদের নাম নিশ্চিত করেছে আইসিসি। মূলত দুই সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করা আম্পায়ারদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বার্বাডোসে হতে যাওয়া ফাইনালের জন্য। 

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাঠে গড়াবে ফাইনাল। যেখানে অনফিল্ড আম্পয়ারের দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওর্থ ও  নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি।  

তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে পেয়েছেন আরেক ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার রডনি টাকার।

ফাইনালে কোহলি জ্বলে উঠবেন বিশ্বাস রোহিতের

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
ফাইনালে কোহলি জ্বলে উঠবেন বিশ্বাস রোহিতের
ছবি : সংগৃহীত

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তোলার পর দ্বিতীয়বার এই সংস্করণের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। যদিও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর আইসিসির বেশ কয়েকটি বিশ্ব আসরের ফাইনালে পা রাখার পরও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি দলটি।

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখার পর পুরস্কার বিতরণীতে রোহিতকে দিতে হয়েছে এবার কি ভারত পারবে - এমন প্রশ্নের জবাব ‘আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। দল ভালো অবস্থায় আছে। আশা করি, ফাইনালে আমরা ভালো খেলব।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে খেলে ফাইনালে ওঠার পরও দুশ্চিন্তা কাটছে না দলের বিরাট কোহলিকে নিয়ে। আসরের শুরু থেকেই চলছে রান খরা। যদিও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা কোহলির ফর্ম নিয়ে খুব একটা যে চিন্তিত নন সেটি স্পষ্ট হয়েছে তার কথায়, ‘আমরা তার ক্লাস সম্পর্কে জানি। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়। সম্ভবত ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে।’

দুঃসময়ে কেবল অধিনায়ক নয়, ভারতের এই তারকা ব্যাটার পাশে পাচ্ছেন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও। তিনিও কথা বলেছেন রোহিতের সুরেই, ‘বিরাটকে আপনারা জানেন। একটু ঝুঁকিপূর্ণ ক্রিকেট খেললে সব সময় সফল হওয়া যায় না। আজও (গতকাল ম্যাচে) যেমন, সে একটি ছক্কা মারার পর ভাবলাম ম্যাচের গতিপ্রকৃতি হয়তো ঠিক করে দেবে। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য বলটি একটু সিমের ওপর মুভমেন্ট করেছে। তবে ইন্টেন্ট ভালো লেগেছে।’

দ্রাবিড় এরপর ফাইনালে কোহলির রানে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বলেছেন, ‘এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে হিতে বিপরীত হয়; তবে আমার মনে হয় বড় কিছুই আসছে। তার আচরণ ভালো লাগে এবং মাঠে যেভাবে নিজেকে নিংড়ে দেয়—আমার মনে হয় তার এটা (রানে ফেরা) প্রাপ্য।’

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ব্রিজটাউনে হতে যাওয়া ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত।

তাসকিনের বিশ্বাস দুই সিনিয়রের অফফর্ম ভুগিয়েছে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:২০ পিএম
তাসকিনের বিশ্বাস দুই সিনিয়রের অফফর্ম ভুগিয়েছে
ছবি- সংগ্রহীত

দীর্ঘ ভ্রমণের পর আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত সুপার এইট থেকে বাজে বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা। গ্রুপপর্বের তিন জয়ের পর আর কোনো ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দেশে ফিরে পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘জন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’

বিশ্বকাপে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। এই বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় যেটা, আসলে সত্যি বলতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন কিন্তু ব্যাটারদের ফেভার খুব কম ছিল। আপনারা যদি স্ট্যাট চেক করেন, অন্যান্য দেশের ব্যাটার, বড় বড় দলগুলোও স্ট্রাগল করেছে। ওখানে বোলারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল।’ 

বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিবের মতো তরুণরা। বোলিং ইউনিটে ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে আসে তিন জয়। তাসকিন বলেন, ‘মাশাআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশাআল্লাহ। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলেটি আছে।’

জয়ের খোঁজে ব্রাজিল

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ১১:৩০ এএম
জয়ের খোঁজে ব্রাজিল
ছবি: সংগৃহীত

শুরুটা হতাশায় মোড়ানো। জয় দূরে থাক প্রতিপক্ষের গোলপোস্টই চিনতে পারেনি ভিনি-রদ্রিগোরা। ফলে কোস্টারিকার সঙ্গে আসেনি জয়। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র। কোপা আমেরিকা ফুটবলে শুরুর হতাশা দূর করতে মরিয়া সেলেকাও শিবির। ডি গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার (২৯ জুন) সকালে মাঠে নামবে ব্রাজিল। প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। একইদিন কলম্বিয়া মুখোমুখি হবে কোস্টারিকার।

চোটের কারণে ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারছেন না নেইমার। তাই বলে ব্রাজিল দলে তারকার অভাব নেই। তারপরও শক্তি-সামর্থ্য আর জ্বলজ্বলে ইতিহাস নিয়েও শুরুটা ম্যাড়ম্যাড়ে ড্র। দলটি পেরে ওঠেনি কোস্টারিকার সঙ্গে। এবার ব্রাজিলের সামনে লাতিনেরই দল প্যারাগুয়ে। যাদের শুরুটা হয়েছে হার দিয়ে। ২-১ গোলে তারা হেরেছে কলম্বিয়ার কাছে।

প্যারাগুয়ের সঙ্গে হেড টু হেডে অনেক এগিয়ে ব্রাজিল। দুই দল মোকাবিলা করেছে ৮৩ ম্যাচ। সেখানে সিংহভাগ ৫১ ম্যাচে জয় ব্রাজিলের। প্যারাগুয়ে জিতেছে ১৩টিতে। আর ড্র হয়েছে ১৯ ম্যাচ। ফলে শনিবারের ম্যাচেও অনুমিতভাবে এগিয়ে থাকছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

কোস্টারিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিল দাপট ছিল বেশ। ৭৪ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল তারা। লক্ষ্যে শট ছিল ১০টি। সেখানে কোস্টারিকা পারেনি একটিও লক্ষ্যে রাখতে। দুই দলের ফাউল (১১) সমান হলেও ৯টি কর্নার আদায় করেছিল সেলেকাওরা। বিপরীতে কোস্টারিকার কর্নার ছিল মাত্র একটি। ব্রাজিল কোচ জুনিয়ার দরিভাল প্রথম ম্যাচের ভুলত্রুটি কাটিয়ে সামনের দিকে তাকাতে চাচ্ছেন। 

নক আউট পর্বে যেতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নাই। ২০১৫ সালের কোপা টুর্নামেন্টে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হাইতিকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লাতিন পরাশক্তিরা। ২০০৪ সালের পর থেকে প্যারাগুয়ের কাছে না হারা ব্রাজিলের চোখ তাই বড় জয়ে।

ডি গ্রুপের অপর ম্যাচে শনিবার সকালে মুখোমুখি হবে কলম্বিয়া ও কোস্টারিকা। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে অবস্থান কলম্বিয়ার। ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র করায় তালিকায় তৃতীয় স্থানে কোস্টারিকা। হেড টু হেডে অনুমিতভাবে এগিয়ে থাকছে কলম্বিয়া। দুই দল এখন পর্যন্ত মোকাবিলা করেছে ৫০ ম্যাচ। সেখানে ২৪টি জয় পেয়েছে কলম্বিয়া। বিপরীতে কোস্টারিকা পেয়েছে ১৮টি জয়। ড্র হয়েছে ৮ ম্যাচ। 

সম্ভাব্য একাদশ
ব্রাজিল: অ্যালিসন, দানিলো, মিলিতাও, মারকুইনহস, অ্যারানা, গুইমারাস, লুইজ, রাফিনহা, পাকুয়েতা, রদ্রিগো, ভিনিসিউ।

প্যারাগুয়ে: মরিনিগো, ভেলাকোয়েজ, বালবুয়েনা, আলদ্রেতে, এসপিনোযা, রোযাস, কিউবাস, কাবাল্লেরো, রোমেরো, আরসে, এনসিসো।