![সিপিডির গবেষণা রিপোর্ট মিথ্যাচার ছাড়া কিছুই নয় : তথ্যমন্ত্রী](uploads/2023/12/25/1703510474.infominkk.jpg)
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সিপিডি (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) কিছু পত্রিকার কাটিং জোগাড় করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। কোনো গবেষণা করেনি। বাস্তবে গবেষণা করতে অনেক সময় লাগে, অনেক তথ্য-উপাত্ত থাকে। কিন্তু সিপিডি এই রিপোর্টে অনেক লুকোচুরি, ভুল ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করেছে। সেই রিপোর্টের বক্তব্য নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া অন্যকিছু নয়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৫৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম কেন্দ্রে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিপিডি বলেছে আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫ শতাংশ হচ্ছে বিদেশনির্ভর। আসলে আমাদের চলতি বাজেটের ৩৫ শতাংশ হচ্ছে সাহায্যনির্ভর কিংবা বিদেশনির্ভর।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সিপিডি বলেছে বেসিক ব্যাংক থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৪ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে এবং বাকি ২ হাজার কোটি টাকার জন্য মামলা করা হয়েছে, মামলা চলমান। সেগুলো আদায়ের প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সিপিডি তাদের বক্তব্যে আরেকটি কথা বলেছে, যেমন নাবিল গ্রুপ। তারা ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লোন নিয়েছে। কিন্তু সেই লোন যে সবগুলো আদায় হয়েছে, সে তথ্য সিপিডির রিপোর্টে জানানো হয়নি। ইচ্ছাকৃতভাবে এগুলোকে লুকানো হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ছয় গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির সাইজ ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এখন জিডিপির সাইজ হচ্ছে ক্লোজ টু হাফ এ ট্রিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ৫০০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এভাবে ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ছয় গুণ বৃদ্ধি পেলে তো ব্যাংকলোনও বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যাংকলোনের আকারও বৃদ্ধি পাবে- এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু পারসেন্টেজ কত, সেটিই হচ্ছে মূল বিষয়। ২০০৯ সালে ক্লাসিফাইড লোনের পারসেন্টেজ ছিল ১০ দশমিক ৫ শতাংশ, আর এখন ক্লাসিফাইড লোনের পারসেন্টেজ হচ্ছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ তখনকার তুলনায় কমেছে। ২০০৭-০৮ সালে সিপিডির কেউ কেউ তো দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা যখন দেশ পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তখন ভ্যাট লোন ১০ শতাংশের ওপরে ছিল। এভাবে মিথ্যা অসত্য এসব তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আসন্ন নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা একটি ফ্যাক্টর- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী তিনি বলেন, ‘তরুণরাই আমাদের শক্তি। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশের সমৃদ্ধি আসবে।’
এমএ/