![হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ](uploads/2024/02/14/1707891352.Madaripur-Roads-pic-(7).jpg)
মাদারীপুরে সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংস্কারকাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) উঠে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে এলজিইডি জানিয়েছে, কাজের মান খারাপ হলে ঠিকাদার পুনরায় কাজ করে দেবেন। যদিও ঠিকাদারের দাবি, ‘সঠিক নিয়মেই কাজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাংলাবাজার-দুধখালী সড়কে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বি কে এন্টারপ্রাইজ।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে জিওবি মেইনটেন্যান্স প্রকল্পের আওতায় খানাখন্দে ভরা প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার অনুমোদন হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই উঠে গেছে। পাথর, বিটুমিনসহ চলমান সংস্কারকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার বাসিন্দা নীরব মুন্সি বলেন, ‘কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে। হাতের খোঁচাতেই পিচ উঠে যাচ্ছে। রুটির মতো রোলিং হয়ে উঠে যায়। গাড়ির চাকার সঙ্গেও উঠে যাচ্ছে।’
স্থানীয়দের দাবি, ঠিকাদারের লোকজন গাছের পাতা ও ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করে কাজ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট (বিটুমিন ও কেরোসিনের মিশ্রণে তৈরি একটি উপাদান) দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে গাছের পাতা ও ময়লার ওপরই চলেছে কার্পেটিংয়ের কাজ। সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, পাথরের মিশ্রণে কাজ করায় যানবাহন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, ৬ জন ইঞ্জিনিয়ার কাজটি তদারকি করেন। যেভাবে কাজ ধরা আছে ঠিক সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করা হয়নি।
সংস্কারকাজে কোনো অনিয়ম হলে পুনরায় কাজ করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কৃত্তনীয়া। তিনি বলেন, আমরা সাইট ভিজিট করে যদি অনিয়ম পাই, তাহলে ঠিকাদারকে আবারও কাজ করে দিতে হবে।