![বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র হচ্ছেন সায়লা](uploads/2024/02/26/1708931347.Shaila-Parveen-111.jpg)
রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভায় এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হতে যাচ্ছেন খন্দকার সায়লা পারভীন। আগামী ৪ মার্চ এই পদে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিজয়ী হচ্ছেন।
খন্দকার শায়লা পারভীনের স্বামী আবুল কালাম আজাদ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। এতে পদটি শূন্য হয়। তাই স্বামীর স্থলে প্রার্থী হন খন্দকার সায়লা পারভীন।
সায়লা পারভীনের বাবা আলো খন্দকার ছিলেন এ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান। তবে দায়িত্বে থাকাকালে ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি চরমপন্থীদের হাতে খুন হন। এরপর ২০০৪ সালের উপনির্বাচনে পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন খন্দকার শায়লা পারভীন। তিনি দেশের দ্বিতীয় নারী চেয়ারম্যান হন। আর ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় দেশের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।
জানা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে পদত্যাগ করায় ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রইচ উদ্দিন মারা যাওয়ায় শূন্য এই দুটি পদে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ফলে এই দুই পদে নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন এ দুই পদের অন্যান্য প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাই তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে কোনো ভোট হচ্ছে না। এতে পৌরসভার মেয়র পদে খন্দকার সায়লা পারভীন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল হক দুজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, মেয়র পদে তানভীর ইসলাম ফেরদৌস তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় খন্দকার সায়লা পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই কাউন্সিলর পদে আমিনুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। যা ভোটের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষণা দেবেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খন্দকার শায়লা এখানে আমার পরিচয়ে নয়, ২০০৪ সালের মার্চে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে এই পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাকে আবারও দেখতে চান। তাই এতে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে।’
চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ওই দুই পদে উপ-নির্বাচনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেন রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম প্রামাণিক। ওই গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৪ মার্চ ওই দুই পদে নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়।
এনায়েত করিম/জোবাইদা/অমিয়/