ঢাকা ২০ আষাঢ় ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র হচ্ছেন সায়লা

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র হচ্ছেন সায়লা
খন্দকার সায়লা পারভীন

রাজশাহীর তাহেরপুর পৌরসভায় এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হতে যাচ্ছেন খন্দকার সায়লা পারভীন। আগামী ৪ মার্চ এই পদে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তিনি বিজয়ী হচ্ছেন।

খন্দকার শায়লা পারভীনের স্বামী আবুল কালাম আজাদ তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গত ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিয়ে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে এমপি নির্বাচিত হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। এতে পদটি শূন্য হয়। তাই স্বামীর স্থলে প্রার্থী হন খন্দকার সায়লা পারভীন। 

সায়লা পারভীনের বাবা আলো খন্দকার ছিলেন এ পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান। তবে দায়িত্বে থাকাকালে ২০০৩ সালের ৮ ডিসেম্বর তিনি চরমপন্থীদের হাতে খুন হন। এরপর ২০০৪ সালের উপনির্বাচনে পৌরসভা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন খন্দকার শায়লা পারভীন। তিনি দেশের দ্বিতীয় নারী চেয়ারম্যান হন। আর ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভায় দেশের প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

জানা যায়, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে পদত্যাগ করায় ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রইচ উদ্দিন মারা যাওয়ায় শূন্য এই দুটি পদে ভোট হওয়ার কথা ছিল। ফলে এই দুই পদে নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গত ২২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন এ দুই পদের অন্যান্য প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। তাই তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে কোনো ভোট হচ্ছে না। এতে পৌরসভার মেয়র পদে খন্দকার সায়লা পারভীন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমিনুল হক দুজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন।

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, মেয়র পদে তানভীর ইসলাম ফেরদৌস তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় খন্দকার সায়লা পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এ ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই কাউন্সিলর পদে আমিনুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। যা ভোটের দিন রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষণা দেবেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খন্দকার শায়লা এখানে আমার পরিচয়ে নয়, ২০০৪ সালের মার্চে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে এই পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাকে আবারও দেখতে চান। তাই এতে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে।’

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি ওই দুই পদে উপ-নির্বাচনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করেন রাজশাহী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম প্রামাণিক। ওই গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আগামী ৪ মার্চ ওই দুই পদে নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করা হয়।

এনায়েত করিম/জোবাইদা/অমিয়/

পাবনায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৪

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৭ পিএম
পাবনায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৪
ছবি : খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার পাবনা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের দাশুড়িয়া সুগার মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটনা। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঈশ্বরদীর পাকশি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীরবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঈশ্বরদী থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল প্রাইভেটকারটি। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন‌। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় উদ্ধার কার্যক্রম চলছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

পার্থ হাসান/সালমান/

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢল গাইবান্ধায় ৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম
গাইবান্ধায় ৭০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ
টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধার চার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হচ্ছে। গতকাল বুধবার থেকে ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্লাবিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের স্কুলগুলো। জেলায় বন্যাকবলিত গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটার উপজেলার মোট ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত করা হচ্ছে।
 
গাইবান্ধা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ ছুটি শেষে গতকাল বুধবার বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। চার উপজেলার চরাঞ্চলে কয়েকটি বিদ্যালয়ের মাঠে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে ওই এলাকার বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। বিদ্যালয় খোলার পর বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী আসলেও অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আসতে পারেনি। টানা চার দিনের বৃষ্টি আর বন্যার পানি বেড়েই চলছে। জেলার ৭০টি বিদ্যালয় বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ২১টি, সাঘাটা ২১টি ও সুন্দরগঞ্জ ১১টি।
 
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, গাইবান্ধা সদর ও ফুলছড়িতে কয়েকটি বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। ভরতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাঁটু পানি হয়েছে। শ্রেণিকক্ষেও পানি। যাতায়াতের রাস্তার পানির নিচে পড়ে আছে। রাস্তাগুলোতে প্রায় ২ থেকে ৩ ফুট পানি রয়েছে। রাস্তা পানি নিচে থাকায় চলাচল করতে পারছে না লোকজন। ফুলছড়ি উপজেলার চর পেপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পেপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর একই অবস্থা। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির চরম অভাব দেখা দিয়েছে।
 
এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া, এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া তারাপুর, হরিপুর, সাঘাটা উপজেলার ফজলুপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের অনেক নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
 
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সূত্র জানায়, বন্যাকবলিত চারটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের ১৭ হাজার ৮২০টি পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। জেলায় ১৮১ স্থায়ী ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জি আর (প্রাকৃতিক দুযোর্গ) চারশ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১০ লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।
 
চর পেপুলিয়া গ্রামের আবদুল্লাহ (৪৫) বলেন, গতকাল থেকে নদীর পানি খুব বাড়ছে। রাতে আমাদের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। রান্না করতে পারছি না। খুবই কষ্টে আছি। বাড়ির পাশে স্কুলটিতে পানি ঢুকেছে। বন্যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে পারছে না। 
 
গুপ্তমনি চরের জলিল মিয়া (৫০) বলেন, বন্যার পানি বেড়েই চলছে। বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করছে। বন্যার কারণে অনেক ভোগান্তির মধ্যে আছি। চালডাল সবই আছে,শুধু রান্না করতে পারছি না।  
 
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার চার উপজেলার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গতকাল থেকে পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে ৭০টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। ১৫টি বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয়ে আগের মতো পাঠদান চালু করা হবে। 
 
গাইবান্ধা পাউবোর নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখঘাট পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর পয়েন্টে ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সংলগ্ন রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। 
 
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও কমে। 
 
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানিয়েছেন, নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বড় বন্যার সম্ভাবনা নেই। তিনি মুঠোফোনে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।
 
রফিক খন্দকার/এমএ/

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ত্রুটি পেয়েছে তদন্ত কমিটি

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ত্রুটি পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরের মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ের কাজের মানে ত্রুটি পেয়েছে তদন্ত কমিটি। 

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে এক্সপ্রেসওয়ে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন অসংগতির কথা তুলে ধরেন গৃহায়ণ ও গণর্পূত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গঠিত উপকমিটির আহ্বায়ক সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মজিবুর রহমান মনজু ও পারভীন জামান। 

লালখান বাজার হতে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আলহাজ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও চীনের র‌্যাংকিন। এই প্রকল্পের ব্যয় ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, ‘এই ওভারপাসের জন্য চার হাজার কোটি টাকা খরচ করল সরকার। চট্টগ্রামের যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই বিপুল টাকা ব্যয়ের পরও কেন শহরের মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তা ব্যবহার করতে পারছে না। এত খরচ এবং ব্যাংক সুদ বাড়ছে। এটা কে দেবে? যাদের ভুলত্রুটি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হবে। পিলারে যে ফাটলের কথা বলা হচ্ছে, তা যাচাই করে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হবে। প্রতিবেদনগুলো সবার সামনে তুলে ধরা হবে।’ 

এম এ লতিফ আরও বলেন, ‘কনসালটেন্ট ফার্মকে বলেছি তারা কী দেখেছে। তাদের কাজটা কী? যেসব নাট-বোল্ট লাগিয়েছে তা গাড়ি চলাচলের সময় ঝাঁকুনি দেয়। অন্যান্য এক্সপ্রেসওয়েতে আমি দেখেছি এটা হয় না। এটা তারা রেক্টিফাই করবে। কনস্ট্রাকশনে গুরুতর কোনো ত্রুটি বা গাফিলতি বা সিলিন্ডার টেস্ট করেছে কি না, পাইলিং যথাযথ হয়েছে কি না, সবকিছু দেখা হবে। আমাদের তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে একেকটার একেক রকম ব্যবস্থা আছে। কারও জেল হবে। কারও জরিমানা হবে। এত বড় একটা সুপারস্ট্রাকচারে অনিয়ম করলে প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেবেন না।’

বান্দরবানে বেনজীরের জমির নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৭ পিএম
বান্দরবানে বেনজীরের জমির নিয়ন্ত্রণ নিল প্রশাসন
ছবি : খবরের কাগজ

বান্দরবানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি  নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) আদালতের নির্দেশে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের ২৫ একর জমির রিসিভার নিয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিন দুপুরে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও তার নেতৃত্বাধীন টিম সুয়ালক ইউনিয়নে ওই জমি পরিদর্শন করে। পরে আদালতের আদেশ ছাড়া এই সম্পত্তি বিক্রয়/হস্তান্তর/বিনিময় করা যাবে না বলে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাইনবোর্ড স্থাপন করে দেওয়া হয়। 

এ সময় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, আজ থেকে এই জমির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হককে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এই কমিটি এখন থেকে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সব আয়-ব্যয়ের হিসাব দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করবে।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক এম এম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এবার চা-বাগানের বাজারে চোরাই চিনি, ১৩০ বস্তাসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
এবার চা-বাগানের বাজারে চোরাই চিনি, ১৩০ বস্তাসহ গ্রেপ্তার ২
ছবি: খবরের কাগজ

ট্রাকটি চা-বাগানের দোকানের সামনে গিয়ে থেমেছিল। সেখানে ওঁৎ পেতে ছিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ডিবি পুলিশ দল। ট্রাকটি থামতেই তল্লাশি চালিয়ে ১৩০ বস্তা চোরাই চিনি জব্দ করে পুলিশ। হাতেনাতে ধরা পড়ে চোরাই চিনির দুই বাহক।  

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোরে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগানের বাজার থেকে এভাবেই জব্দ করা হয়েছে চোরাই চিনি। 

বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা হওয়ার পর এসএমপির মিডিয়া সেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনাটি জানিয়েছে। 

এসএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,  উপ পুলিশ কমিশনারের (ডিবি) নির্দেশনায় ভোর চারটা ৫০ মিনিটে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের টিম-১ নিয়মিত টহল ডিউটি ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে এয়ারপোর্ট থানাধীন লাক্কাতুরা চা-বাগান বাজারের মা ডেন্টিং ওয়ার্কশপের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক সেখানে থামে। ট্রাকটি থামামাত্র ডিবি পুলিশ ঘিরে রাখে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে চোরাই চিনি পাওয়ায় দু'জন বাহককে আটক করা হয়। 

আটক দু'জন হলেন, আফজল হোসেন (২৪) ও মো. রুহুল আমিন (৩৩)। এরমধ্যে আফজলের বাড়ি সিলেটের সীমান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাটের তোয়াকুল ইউনিয়নের পাইকরাজ গ্রামে। রুহুলের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বরম সিদ্ধিপুর গ্রামে। বিভিন্ন রংয়ের প্লাস্টিকের বস্তায় ১৩০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মোট  ৬ হাজার ৫০০ কেজি চিনি। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী চিনির মূল্য প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। 

অবৈধ মালামাল বহনের কাজে ব্যবহার করায় চিনির সঙ্গে ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে জানিয়েছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, এ ঘটনায় বিকেলে এয়ারপোর্ট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। আটক দু'জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

লাক্কাতুরা সিলেটের একটি পুরোনো চা-বাগান। ন্যাশনাল টি কোম্পানি পরিচালিত এই চা-বাগানটির অবস্থান সিলেট নগরমুখী বিমানবন্দর সড়কের পাশে। চা-বাগান ঘিরে সড়কের একপাশে একটি বাজার রয়েছে। লাক্কাতুরা চা-বাগান বাজার নামে পরিচিত হলেও চা-বাগান পরিচালনার বাইরে এটি পরিচালিত হয় বলে এ ঘটনায় লাক্কাতুরা চা-বাগান কর্তৃপক্ষ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।