![মাদারীপুরে হাসপাতালে অক্সিজেন না দেওয়ায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ](uploads/2024/02/27/1709009900.Madaripur-news.jpg)
মাদারীপুরে সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন না দেওয়ায় এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার রাতে জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ব্যথার ইনজেকশন পুশ করার পর ছটফট করতে থাকেন শ্যামল দাস (৫৫) নামে ওই রোগী। দেড় ঘণ্টা অক্সিজেনের জন্য হাঁসফাঁস করতে থাকেন তিনি। দায়িত্বে থাকা নার্স অক্সিজেন সরবরাহ না করায় মারা যান শ্যামল দাস।
জেলার সদর হাসপাতালের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ স্বজন ও জনপ্রতিনিধিরা। অভিযুক্তের বিচার দাবি করেছেন তারা। স্বজনদের অভিযোগ, মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে রবিবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় জেলার পুরান বাজারের পান বিক্রেতা ও মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকার শ্যামল দাসকে।
হাসপাতালের নিচতলার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিয়াদ মাহমুদ চিকিৎসাপত্র দিয়ে ভবনের ছয়তলায় ভর্তি করানো হয় রোগী শ্যামল দাসকে। ভর্তির পরে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখে তাকে ব্যথার ইনজেকশন পুশ করেন দায়িত্বরত নার্স সুজাতা। এরপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেনের অভাবে ছটফট করতে থাকেন শ্যামল। এ সময় নার্সকে অক্সিজেনের কথা বললে ব্যস্ততা দেখিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দেন তিনি। এরপর রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
শ্যামল দাসের ছোট ভাই শংকর দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আমার ভাইকে ঠিকঠাক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি মারা যান।’
মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিব মাহমুদ কাওসার বলেন, ‘শুধু অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যে নার্স দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তার বিচার চাই।’
জেলা সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি কর্তব্যরত চিকিৎসক আমাকে জানিয়েছেন। সবকিছু পর্যালোচনা করে নার্সের দোষ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হচ্ছে, এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’